রেল বা আকাশ পথে আগেই জুড়েছিল অযোধ্যা-কলকাতা। এবার অযোধ্যার রামমন্দির প্রতিষ্ঠার সঙ্গে এবার নতুন সম্পর্ক স্থাপিত হল সিটি অফ জয়-এর। কলকাতা টাঁকশালক দেওয়া হল অযোধ্যার উপহার রক্ষার দ্বায়িত্ব। দেশের নিরাপদ শহরের তালিকায় কলকাতাকে সেরার স্বীকৃতি দিয়েছে কেন্দ্র সরকার। এবার সেই নিরাপদ হাতে উঠতে চলেছে মূল্যবান উপহার রক্ষার দ্বায়িত্ব।

রামমন্দির প্রতিষ্ঠা উপলক্ষ্যে দেশ-বিদেশ থেকে রামলালার ভক্তরা সাজিয়ে আনছেন উপহারের ডালি। তার মধ্যে সোনা-রুপা-প্ল্যাটিনামের উপহারও রয়েছে। মন্দির উদ্বোধনের আগেই পৌঁছে গিয়েছে অসংখ্য মূল্যবান ধাতুর তৈরি উপহার। ২২ জানুয়ারি মন্দির উদ্বোধনের সময়ে মন্দির সাধারণ ভক্তদের জন্য বন্ধ হয়ে গেলেও পরে আবার খুলে দেওয়া হবে সাধারণ ভক্তদের জন্য মন্দিরের দরজা। সেই সময়ও অনেক সোনা বা মূল্যবান ধাতুর উপহার পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

এই উপহার উত্তরপ্রদেশের মন্দিরে কতটা নিরাপদ তা নিয়ে হয়তো দ্বিধায় মন্দির কর্তৃপক্ষ তথা কেন্দ্র সরকার। তাই বেছে নেওয়া হয়েছে কলকাতা টাঁকশালকেই। প্রাথমিকভাবে ঠিক করা হয়েছে ধাতুর উপহারকে গলিয়ে ধাতুর বাট তৈরি করে ফেলা হবে। সেই রূপে টাঁকশালে জমা থাকবে উপহার। তবে এই দীর্ঘ পদ্ধতিতে সময় লাগবে অনেক। তাই আগে থেকেই প্রস্তুতি নিয়েছে কলকাতা টাঁকশাল ও রিজার্ভ ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ।

ইতিমধ্যেই অযোধ্যায় পৌঁছে গিয়েছেন কলকাতা টাঁকশাল ও দিল্লি থেকে রিজার্ভ ব্যাঙ্কের আধিকারিকরা। মন্দির উদ্বোধনের পরেও ১৫ দিন তাঁরা অযোধ্যায় থাকবেন। উদ্বোধনের অনুষ্ঠান শেষ হয়ে গেলে কেন্দ্র সরকার, রামমন্দির ট্রাস্টরে সদস্য ও রিজার্ভ ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষের মধ্যে বৈঠক হবে। সেই বৈঠকে সিদ্ধান্ত হবে কিভাবে বাকি উপহার সংরক্ষণ করা হবে।