যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে রাম পুজো! বাধা অধ্যাপক-পড়ুয়াদের

পার্কিং লটের ৪ নম্বর গেটে সারাদিন ব্যাপী এই পুজো ও প্রদর্শনের আয়োজন হচ্ছিল। তার আগেই প্রতিবাদে সামিল পড়ুয়ারা।

বেলা ১২.৩০ : পুজো

বেলা ১.০০ : সুন্দরকাণ্ড পাঠ

বেলা ৩.০০ : হোমযজ্ঞ

বিকাল ৪.০০ : দ্বীপ উৎসব

সন্ধ্যা ৭.০০ : মহাপ্রসাদ

রামমন্দির উপলক্ষ্যে এই সব অনুষ্ঠানের আয়োজন হচ্ছে। কোথায় জানেন? রাজ্যের শিক্ষার পীঠস্থান যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে। আবার অযোধ্যার অনুষ্ঠানের সরাসরি সম্প্রচারেরও আয়োজন করা হয়েছে। আর সেই পোস্টার সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়ার পরই প্রতিবাদে সামিল যাদবপুরের পড়ুয়া থেকে অধ্যাপকরা।

কলকাতা তথা রাজ্যের শ্রেষ্ঠ উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়। শিক্ষামন্ত্রকের সর্বশেষ তালিকায় রাজ্যের সর্বোচ্চ স্থানে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়। বরাবর শিক্ষা থেকে সমাজ সচেতনতামূলক কার্যকলাপে এগিয়ে আসতে দেখা গিয়েছে যাদবপুরের পড়ুয়া থেকে অধ্যাপকদেরও। মুক্তচিন্তার পীঠস্থান হিসাবে পড়ুয়াদের সঙ্গে শিক্ষক-অধ্যাপকদের সম্পর্কও এখানে আত্মর্জাতিক মানের পরিচয় দেয়। এবার সেই যাদবপুরেই তৈরি হচ্ছিল রাম পুজো ও রামমন্দির উদ্বোধনের সম্প্রচার মঞ্চ।

বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এবিষয়ে কিছুই জানতেন না। পার্কিং লটের ৪ নম্বর গেটে সারাদিন ব্যাপী এই পুজো ও প্রদর্শনের আয়োজন হচ্ছিল। তার আগেই প্রতিবাদে সামিল পড়ুয়ারা। পড়াশোনার পরিবেশ নষ্ট হওয়ার পাশাপাশি প্রতিবাদীদের দাবি নিরাপত্তা সংক্রান্ত সমস্যার সম্মুখিনও হতে হবে বিশ্ববিদ্যালয়কে। সহ উপাচার্য ও রেজিস্ট্রারের কাছে এবিষয়ে আবেদন জানান তাঁরা।

রামমন্দির উদ্বোধনের আগে পুজোর আয়োজন ও তার প্রতিবাদ ঘিরে বেশ গরম যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ। কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া আদৌ কোনও ধর্মীয় অনুষ্ঠান যাদবপুরে হওয়া সম্ভব কি না, তা নিয়ে যেমন প্রশ্ন উঠছে। তেমনই পুজোর আয়োজনকারীরা দাবি করছেন পুজো আটকানোর পিছনে কলকাঠি নাড়ছে ব়্যাগিং-সমর্থক পড়ুয়ারা। ২২ জানুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ে যে পরিস্থিতিই থাকুক না কেন, তার আগে সোশ্যাল মিডিয়া বাগযুদ্ধে উত্তপ্ত।