“গরীবদের বঞ্চিত করে ধর্ম নিয়ে বিভাজন করা হচ্ছে। কিন্তু আমাদের নেত্রী বার বার বলেছেন ধর্ম যার যার উৎসব সবার। আমরা বাড়ির ভিতরে ধর্ম করব। বাইরে নয়। রাজনীতি করব মানুষের দাবি নিয়ে। মানুষের দরকার রোটি-কাপড়া-মকান। ধর্মের টুপি পরিয়ে আসল সমস্যাকে ভুলিয়ে দেওয়া হচ্ছে।” সোমবার সংহতি মিছিলের মঞ্চ থেকে এমনই বার্তা দিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
সর্বধর্ম সমন্নয়ের বার্তা দিয়ে সোমবার সংহতি মিছিলের মঞ্চ থেকে অভিষেক বলেন, আজকের দিনটা আমার কাছে গর্বের। কারণ যেদিন দেশে একটি নির্দিষ্ট ধর্মীয় অনুষ্ঠানকে ঘিরে ভেদাভেদ চলছে, তখন বাংলায় ধর্মীয় সংহতি যাত্রা হচ্ছে। নাম না করে বিজেপি সরকারকে তোপ দেগে অভিষেক বলেন, একটি রাজনৈতিক দল গাজোয়ারি করে জিততে পারেনি। এরপর প্রতিহিংসার বশবর্তী হয়ে বাংলার আবাস, একশোর দিনের কাজের টাকা দেয়নি। পাশাপাশি রাজ্যবাসিকে সজাগ হওয়ার বার্তা দিয়ে তিনি জানান, আজ মূল বিষয়বস্তুকে বাইরে রেখে ধর্মীয় বিষয় নিয়ে মাতামাতি হচ্ছে। আমি যখন মানুষের দ্বারা নির্বাচিত জন প্রতিনিধি তখন আমি মানুষের সমস্যাকে গুরুত্ব দেব। ধর্মীয় বিষয় দিয়ে আসল সমস্যা ভুলিয়ে দেওয়া হচ্ছে। বিষয়বস্তুকে সামনে রেখে ভোট দিতে হবে বাংলার বঞ্চনাকে সামনে রেখে ভোট দিতে হবে। কানে শুনে নয়, চোখে দেখে ভোট দেবেন।
দুর্গাপুজোর সময়, ঈদের সময় সবাই একসঙ্গে মিলে করি। রমজানে ‘রাম’ থাকলে, দীপাবলিতে ‘আলি’ থাকলে তা বৈচিত্র্যের মধ্যে ঐক্য নিয়ে গিয়েছে। বক্তৃতা চলাকালীন আজান শুরু হলে বক্তৃতা থামিয়ে দেন অভিষেক।
উল্লেখ্য, সোমবার দুপুর ৩টেয় হাজরা থেকে শুরু হয়েছিল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে সংহতি মিছিল। এই কর্মসূচিতে প্রথমে কালীঘাটের মন্দিরে গিয়ে পুজো করেন মমতা। তারপর একে একে গুরুদ্বার, মসজিদ এবং গির্জায় গিয়ে প্রার্থনা করেন। মিছিলে তাঁর সঙ্গে ছিলেন বিভিন্ন ধর্মের প্রতিনিধিরা। তাঁদের পিছনে হাঁটতে দেখা যায় তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদককে। তাঁকে ঘিরে ছিলেন তৃণমূলের নবীন প্রজন্ম। অনন্যা বন্দ্যোপাধ্যায়, কাজরি বন্দ্যোপাধ্যায়দের দেখতে পাওয়া যায়। এছাড়াও অভিষেকের অদূরেই ছিলেন মন্ত্রী জাভেদ খান, দমকল মন্ত্রী সুজিত বসু। তাঁদের সঙ্গে নিয়েই মমতা পৌঁছন পার্ক সার্কাস ময়দানে সংহতি মিছিলের সভা মঞ্চে।