Thursday, August 28, 2025

নেতাজির জন্মদিনে জাতীয় ছুটি নয় কিন্তু ২২ জানুয়ারি ছুটি! তৃণমূলের সুরে কেন্দ্রকে নিশানা সুজনের

Date:

রাজনৈতিক সৌজন্য দেখিয়ে সিপিএম (CPIM) নেতা সুজন চক্রবর্তীকে মালদহে নেতাজি জন্মজয়ন্তী পালন অনুষ্ঠানে সামিল করেছিলেন তৃণমূল (TMC) নেতা কৃষ্ণেন্দুনারায়ণ চৌধুরী (Krishnendu Narayan Chowdhuri)। মঞ্চে বলতে উঠে তৃণমূলের সুরে সুর মিলিয়েই কেন্দ্রকে তুমুল আক্রমণ করলেন সুজন চক্রবর্তী (Sujan Chakraborty)। নেতাজির জন্মদিনে জাতীয় ছুটি ঘোষণা না করা নিয়ে কেন্দ্রের মোদি সরকারের বিরুদ্ধে তোপ দাগেন সিপিএম নেতা। একই সঙ্গে ২২ জানুয়ারি রামমন্দির উদ্বোধন উপলক্ষ্যে কেন্দ্রীয় সরকারের অর্ধদিন ছুটি ঘোষণা নিয়েও কটাক্ষ করেন তিনি।

মালদহের শহরে সুভাষচন্দ্র বসুর জন্মদিবস উপলক্ষ্যে অনুষ্ঠানের আয়োজন করে ইংরেজবাজার পুরসভা। উপস্থিত ছিলেন তৃণমূল নেতা কৃষ্ণেন্দু নারায়ণ চৌধুরী-সহ তৃণমূল নেতৃত্ব। দলীয় কাজে এই মুহূর্তে মালদহে রয়েছেন সুজন চক্রবর্তীও। এদিন এই অনুষ্ঠানে নেতাজিকে শ্রদ্ধা জানানো ইচ্ছে প্রকাশ করেন সিপিএম নেতা। সৌজন্যের খারিতে রাজি হন কৃষ্ণেন্দুনারায়ণ। মঞ্চে উঠে কেন্দ্রের বিজেপি সরকারকে নিশানা করেন সিপিএমের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য। তিনি বলেন, ‘‘দিল্লিতে যে দল সরকার চালাচ্ছে, তারা ২৩ জানুয়ারি সরকারি ছুটি ঘোষণা করেনি। অথচ, ২২ জানুয়ারি তারা অর্ধদিবস ছুটি ঘোষণা করে।’’ তাঁর কথায় সমর্থন জানান তৃণমূল নেতৃত্বও। এর আগে এদিন রেড রোডের অনুষ্ঠানে থেকে নেতাজির জন্মদিন জাতীয় ছুটি ঘোষণা না করার জন্য মোদি সরকারকে তীব্র কটাক্ষ করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও।

তবে, ইংরেজবাজার পুরসভার উদ্যোগে নেতাজি মোড়ে সুভাষচন্দ্রের জন্মদিন পালনের অনুষ্ঠানের জন্য রাজনীতির কোনও সম্পর্ক নেই বলে মত দুপক্ষের। ইংলিশবাজার পুরসভার চেয়ারম্যান তথা তৃণমূল নেতা কুষ্ণেন্দু নারায়ণ চৌধুরী জানান, পুরসভার তরফে নেতাজিকে শ্রদ্ধাজ্ঞাপনের আয়োজন করা হয়। সেখানে সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী শ্রদ্ধা জানাতে চান। ‘‘আমরা পুরসভার পক্ষ থেকে মাল্যদান করছিলাম। ঠিক ওই সময় সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী এখানে আসেন। আমরা তাঁকেও আমন্ত্রণ জানাই মাল্যদান করতে। এটা আণাদের সৌজন্য, আমাদের নাগরিক দায়িত্ব।’’

সুজনের কথায়, ‘‘মালদহ শহরে যে ভাবে স্কুল, ক্লাব, পুরসভা থেকে বামেরা— সবাই মিলে প্রোগ্রাম করে সেটা খুবই ভাল। আর আমরা সবাই নেতাজির ভক্ত। দেশপ্রেমিক মানুষ। এখানে বামফ্রন্ট যেমন রয়েছে, ক্লাব এবং পুরসভাও ছিল। তাঁরাই অর্গানাইজ করেছে। এর সঙ্গে কোনও দলের সম্পর্ক আছে বলে আমার মনে হয় না।’’

Related articles

উন্মুক্ত শৌচমুক্ত ৯৪ পুরসভা, স্বচ্ছতার শংসাপত্র বাংলাকে

শহরাঞ্চলে আর খোলা শৌচের দৃশ্য নেই। পুরসভাগুলির উদ্যোগ এবং পুর দফতরের তদারকিতে উন্মুক্ত শৌচমুক্ত হয়েছে কলকাতা সহ রাজ্যের...

ফাঁকা কেন্দ্রগুলিতে দ্রুত ইআরও–এইআরও নিয়োগের নির্দেশ কমিশনের 

ফাঁকা পড়ে থাকা একাধিক বিধানসভা কেন্দ্রে দ্রুত ইলেক্টোরাল রেজিস্ট্রেশন আধিকারিক (ইআরও) এবং অ্যাসিসটেন্ট ইলেক্টোরাল রেজিস্ট্রেশন আধিকারিক (এইআরও) নিয়োগের...

নথিভুক্ত অথচ নিষ্ক্রিয় রাজনৈতিক দলগুলিকে শুনানিতে তলব করল কমিশন 

নির্বাচন কমিশনের নির্দেশে ফের সক্রিয় হল রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দফতর। নথিভুক্ত হলেও কার্যত নিষ্ক্রিয় রাজনৈতিক দলগুলিকে শুনানিতে...

সুখবর! পুজোর আগে পার্ট টাইম কর্মীদের বেতন বাড়াল রাজ্য 

পুজোর আগে রাজ্যের আংশিক সময়ের কর্মীদের জন্য বড় সুখবর দিল নবান্ন। বিভিন্ন দফতর ও সরকার অধীনস্থ সংস্থায় কর্মরত...
Exit mobile version