“৭ দিনের মধ্যে টাকা না মেটালে…”, বকেয়া আদায় কেন্দ্রকে চরম হুঁশিয়ারি মুখ্যমন্ত্রীর

আর সাত দিন দেখা হবে। তার মধ্যে যদি কেন্দ্র ও রাজ্যের বকেয়া নাম এটায় সেক্ষেত্রে বৃহত্তর আন্দোলনে যাবে তৃণমূল। শুক্রবার রাজ্যপালের সঙ্গে চা চক্র সেরে কেন্দ্রের মোদি সরকারকে চরম সময়সীমা দিয়ে দিলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

বকেয়া আদায় ইতিমধ্যেই দিল্লিতে সাংসদের সঙ্গে নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করে এসেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে প্রধানমন্ত্রীর তরফ থেকে বলা হয়েছিল কেন্দ্রীয় এবং রাজ্যের উভয় অফিসাররা বসে আলোচনা করবেন। ইতিমধ্যে সেই বৈঠক হয়ে গিয়েছে। কিন্তু রাজ্য সরকারের দাবি, সেই বৈঠক হয়ে হয়ে গেলেও, এখনও বকেয়া অর্থ কিন্তু মেলেনি ১০০ দিনের কাজ, গ্রামীণ রাস্তা সহ একাধিক ক্ষেত্রে। বিষয়টাকেই মনে করিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, প্রচুর গরীব মানুষ কাজ করেছেন, কিন্তু টাকা আটকে রয়েছে। আগামী সাত দিনের মধ্যে কেন্দ্রীয় সরকার যদি টাকা না দেয়, তাহলে বড়সড় আন্দোলনের পথে যাবে তৃণমূল।

বকেয়া পাওনা নিয়ে নবান্নর বক্তব্য শুনতে মঙ্গলবার দিল্লিতে বৈঠকে ডেকেছিলেন প্রধানমন্ত্রী সচিবালয় ও গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রকের অফিসাররা। সেই বৈঠকের পর নবান্ন কর্তাদের দাবি ছিল, তাঁরা দিল্লির সমস্ত সন্দেহ ও কৌতূহল নিরসন করতে পেরেছেন। পয়েন্ট ধরে ধরে জবাব দিতে পেরেছেন। এর পরই শুক্রবার কড়া হুঁশিয়ারি এল স্বয়ং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের থেকে। উল্লেখ্য, মোদি এবং মমতার বৈঠকের পর বাংলাকে প্রায় ৫৪৮৮.৮৮ কোটি টাকা দিয়েছে কেন্দ্র। সেই সময় জানানো হয়েছিল, কর বাবদ এই অর্থ দেওয়া হয়েছে। তবে সেই সময় শুধু বাংলাকে নয়, অন্যান্য রাজ্যকেও টাকা দেওয়া হয়েছিল। সমস্ত রাজ্যগুলিকে মোট ৭২ হাজার ৯৬১ কোটি ২১ লাখ টাকা দেওয়া হয়। সেই সময় সবথেকে বেশি অর্থ পেয়েছিল উত্তরপ্রদেশ। তবে বাংলার প্রতি কেন্দ্রের এই বিমাতৃসুলভ আচরণ আর সহ্য করা হবে না বলে স্পষ্ট জানালেন মমতা।

অন্যদিকে, দক্ষিণেশ্বর মন্দিরের জমি রেলকে কোনও ভাবেই দেওয়া হবে না বলে এদিন জানিয়ে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। এদিন বিকেলে মুখ্যমন্ত্রী রাজভবনে পৌঁছালে তাকে স্বাগত জানান রাজ্যপাল তাঁদের দুজনের মধ্যে বেশ কিছুক্ষণ কথোপকথন চলে। রাজভবনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সমাজের বিভিন্ন ক্ষেত্রের বিশিষ্টজনেরা। এদিন রাজভবনে সদ্য পদ্মসম্মানপ্রাপ্ত উষা উত্থুপকেও দেখা যায়। মুখ্যমন্ত্রী ও রাজ্যপাল বিশিষ্ট অতিথিদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। এর আগে সকালে রেড রোডের কুচকাবাজার অনুষ্ঠানে ও মুখোমুখি হয়েছিলেন রাজ্যপাল এবং মুখ্যমন্ত্রী। রেড রোডে রাজ্যপালকে স্বাগত জানান মুখ্যমন্ত্রী।

Previous articleভাওয়াইয়া ‘সংগ্রামী’র কাছে অনুপ্রেরণা পদ্মশ্রী সম্মান
Next article‘গাছই দেখতে ভালো’, পদ্মশ্রী পেয়েও নির্বিকার ৫হাজার সন্তানের পিতা