‘গাছই দেখতে ভালো’, পদ্মশ্রী পেয়েও নির্বিকার ৫হাজার সন্তানের পিতা

রুক্ষ জমিকে সবুজ করাই যেন তাঁর চ্যালেঞ্জ। যাকেই দেখছেন বলছেন তোমরাও গাছ লাগাও।

রাষ্ট্রীয় সম্মানের মাঝেও নির্বিকার, পদ্মশ্রী পুরস্কার পেয়েও পুরস্কারের চমক না, গাছের সবুজই তাঁর প্রিয়। সেই জন্যই হয়তো একদিন রুক্ষ পুরুলিয়াকে সবুজ করার স্বপ্ন দেখা দুখু মাঝির সমাজের প্রতি অবদান তাঁর পদ্মশ্রীরও ওপরে তাঁকে বসিয়ে রাখবে। একেই হয়তো বলে প্রকৃত সমাজ সেবক।

ছোটবেলায় দুখু মাঝি কোনও এক আধিকারিকের কাছে শুনেছিলেন গাছ লাগানো ভালো। বাঘমুণ্ডির রুক্ষ জমিতে সেটা কতটা ভালো তা বোঝা হয়তো সেদিন সম্ভব হয়নি তাঁর পক্ষে। কিন্তু মনে মনে বিশ্বাস করেছিলেন সেই কথাটা। প্রথম প্রথম চাষের প্রয়োজনে লাক্ষা, কুলগাছ লাগানো দিয়ে শুরু করেন। তারপর আম-কাঁঠাল থেকে বটগাছও লাগানো শুরু করেন তিনি।

এমন সমাজকর্মীকে বহু বছর আগেই চিনেছিল বন দফতর। আগেও বন দফতরের থেকে স্বীকৃতি পেয়েছেন তিনি। বছর ৭৮-এর দুখু সেসব কিছুরই পরোয়া করেননি। নিজের চাষের কাজের বাইরে তাঁর নেশা ফাঁকা জমি দেখলেই একটি গাছ পোঁতা। সেই নেশার টানে ঘুরে বেড়ান সাইকেল চালিয়ে। এপর্যন্ত পাঁচ হাজারের বেশি গাছ লাগিয়েছেন। আর শুধু গাছ লাগানইনি, তাদের যত্নও করেছেন। স্বপ্ন দেখেন আরও অন্তত দুহাজার গাছ লাগানোর।

এবার কেন্দ্র সরকার তাঁকে পদ্মশ্রী-র জন্য বেছে নিয়েছে। কিন্তু পদ্মশ্রীতে মজে নেই গাছদাদু। রুক্ষ জমিকে সবুজ করাই যেন তাঁর চ্যালেঞ্জ। যাকেই দেখছেন বলছেন তোমরাও গাছ লাগাও। চোখে পদ্ম-সম্মান দেখার থেকেও সবুজ গাছই দেখতে তাঁর ভালো লাগে বলে জানাচ্ছেন পুরুলিয়ার দুখু মাঝি।

Previous article“৭ দিনের মধ্যে টাকা না মেটালে…”, বকেয়া আদায় কেন্দ্রকে চরম হুঁশিয়ারি মুখ্যমন্ত্রীর
Next article“দেশবাসীর ভালবাসায় আমি ধন্য”, পদ্মভূষণে উচ্ছ্বসিত উষা উত্থুপ!