এক বিপদ ঠেকাতে আরেক বিপদ ঘিরে ধরল উত্তর ২৪ পরগণার গারুলিয়ায়। গঙ্গাভাঙন ঠেকাতে কাজের শুরুতেই তলিয়ে গেল তিনটি বাড়ি। অল্পের জন্য রক্ষা পেলেন বাসিন্দারা। ঘটনায় সোমবারই বৈঠকে বসছে পুরসভা কর্তৃপক্ষ। যদিও এই ঘটনায় প্রশ্ন উঠেছে সেচ দফতরের কাজের প্রক্রিয়া নিয়ে।
শীতের শুরু থেকেই উত্তর ২৪ পরগণার গঙ্গাতীরবর্তী এইসব এলাকা ভাঙনপ্রবণ হয়ে ওঠে। এবছর ভাঙন শুরু হতেই তৎপর হয় সেচ দফতর। দেড় কোটি টাকা বরাদ্দ হয় এই এলাকায় ভাঙন রোধের কাজ করতে। তবে কংক্রিটের না, প্রাথমিকভাবে শাল খুঁটি দিয়ে মাটির বস্তার কাজের পরিকল্পনা নেওয়া হয়।
গারুলিয়া পুরসভা এলাকার আট নম্বর ওয়ার্ডে চলছিল শালের খুঁটি পোঁতার কাজ। শুক্রবার সেই এলাকার বাড়িগুলির দেওয়া তারপরই ফাটল দেখা যায়। বিপত্তি বাঁধে রাতে। চন্দন চৌধুরী নামে এক বাসিন্দা জানান দেওয়ালে আওয়াজ শুরু হতেই তাঁরা সপরিবারে ঘর ছেড়ে বেরিয়ে আসেন। তারপরই এক এক করে তাঁদের তিনটি ঘর গঙ্গায় তলিয়ে যায়। একইভাবে ওই এলাকার আরও দুটি পরিবারের ঘর তলিয়ে যায় গঙ্গায়।
গারুলিয়া পুরসভা কর্তৃপক্ষ পরিবারগুলির পরিস্থিতি জানতেন। সেই মতো পুরসভা সেচ দফতরের সঙ্গে যোগাযোগও করে দ্রুত। তবে অসহায় পরিবারগুলির বিষয়ে এবং ভাঙন সংক্রান্ত বিষয়ে আলোচনার জন্য সোমবার পুরপ্রধানের সঙ্গে বসবেন স্থানীয় কাউন্সিলর দুর্গাবতী চৌধুরি।