দেশে ফিরেই চিনের প্রশংসা, মুইজ্জুর কথায় বাড়ছে কূটনৈতিক পারদ

ইতিমধ্যেই ভারতকে সেনা সরানোর সময়সীমা বেঁধে দিয়েছে মালদ্বীপ প্রশাসন। সেই পরিস্থিতিতে চিনের ভূয়সী প্রশংসা নতুন করে প্রতিবেশি ভারতের সঙ্গে মালদ্বীপের কূটনৈতিক সম্পর্ক আরও খারাপ দিকে নিয়ে যেতে পারে।

শনিবারই চিন সফর সেরে মালদ্বীপ পৌঁছেছেন মালদ্বীপের রাষ্ট্রপতি মহম্মদ মুইজ্জু। আর ফিরেই চিনের প্রশংসায় তিনি পঞ্চমুখ। এমনকি চিনের পথে চললেই চিনের মতো মালদ্বীপও অর্থনৈতিকভাবে এগিয়ে যেতে পারবে বলেও বার্তা দেন তিনি। ইতিমধ্যেই ভারতকে সেনা সরানোর সময়সীমা বেঁধে দিয়েছে মালদ্বীপ প্রশাসন। সেই পরিস্থিতিতে চিনের ভূয়সী প্রশংসা নতুন করে প্রতিবেশি ভারতের সঙ্গে মালদ্বীপের কূটনৈতিক সম্পর্ক আরও খারাপ দিকে নিয়ে যেতে পারে।

মুইজ্জুর কথায় মালদ্বীপের সার্বভৌমত্বকে সম্মান করে চিন। সেজন্য দুই দেশের মধ্যে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে। দু’দেশই পরস্পরের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। এর আগে মুইজ্জু বলেছিলেন, আমরা ছোট হতে পারি কিন্তু আমাদেরও আত্মসম্মান রয়েছে। সেই ইঙ্গিত ছিল নয়াদিল্লির দিকেই। যদিও এখনও পর্যন্ত এবিষয়ে প্রকাশ্যে কড়া কোনও প্রত্যুত্তর দেয়নি মোদি সরকার। তবে সব মিলিয়ে আগের সরকারের ভারতবন্ধু নীতি বদল করে মালদ্বীপের বর্তমান মুইজ্জু সরকার যে পুরোপুরি চিন-ঘেঁষা নীতি নিয়ে চলেছে ঘটনা পরম্পরায় তা স্পষ্ট।

মুইজ্জু এমনটাও স্পষ্ট ঘোষণা করেন মালদ্বীপের লক্ষ্যে পৌঁছাতে সবরকম সাহায্য করবেন বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন জিনপিং। তাঁর এই কথায় মালদ্বীপের চিনের ওপর যে নির্ভরতা অনেকটাই বাড়তে চলেছে তা বলাই বাহুল্য। তবে তা ভারতের নিরাপত্তার জন্য কতটা ভালো তা নিয়েই উঠছে প্রশ্ন। ভবিষ্যতে মালদ্বীপ ও চিনের সম্পর্ক আরও ভালো হতে চলেছে বলেও দাবি করেন মুইজ্জু। তাঁর এই বক্তব্য ভারতের চাপ আরও বাড়াতে চলেছে তাতে সন্দেহ নেই।

Previous articleসেনার গোলাবারুদ কারখানায় ভয়াবহ বিস্ফোরণ, মৃত ১ কর্মী
Next articleবোলারদের দাপট, রঞ্জিট্রফির দ্বিতীয় দিনে চালকের আসনে বাংলা