তুঙ্গে সংঘা.ত! রাজ্যপাল আরিফকে পাল্টা ‘আইনের পাঠ’ পড়ালেন বিজয়ন

“কেউ আইনের ঊর্ধ্বে নন”! রাজ্যপালের (Governor) বিরুদ্ধে ফের পাল্টা তোপ দাগলেন কেরলের (Kerala) মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন (Pinarai Vijayan)। রাজ্যপালের সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর সম্পর্ক বিগত কয়েকবছর ধরেই তলানিতে ঠেকেছে। একের পর এক বিরোধী পদক্ষেপের জেরে দুই প্রধানের সংঘাতের রাস্তা আরও চরমে পৌঁছেছে। প্রতিদিনই কোনও না কোনও বিষয়কে কেন্দ্র করে রাজ্য-রাজ্যপাল সংঘাতে জড়িয়ে পড়েন। এমন চিত্র একেবারেই কেরলের রাজনীতিতে নতুন নয়। তবে গত শনিবার রাজ্যপাল আরিফ মহম্মদের (Arif Mohammed) বিরুদ্ধে ‘গো ব্যাক’ স্লোগান, ‘কালো পতাকা’ দেখানোর ঘটনা সংঘাতের মাত্রা আরও কয়েক গুণ বাড়িয়েছে। এবার রাজ্য প্রশাসনের বিরুদ্ধে রাজ্যপালের ক্ষোভের পাল্টা জবাব দিলেন মুখ্যমন্ত্রী বিজয়ন।

শনিবার কেরলের কোল্লাম জেলায় একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিতে যাচ্ছিলেন রাজ্যপাল আরিফ মহম্মদ। তাঁর কনভয় নীলমেন এলাকায় পৌঁছতেই বিক্ষোভের মুখে পড়েন তিনি। আর তাতেই রেগে যান আরিফ। গাড়ি থেকে নেমে রাস্তার পাশে ধর্নায় বসে পড়েন। অবিলম্বে বিক্ষোভকারীদের গ্রেফতারের দাবি জানিয়ে ঘটনার জন্য পুলিশ এবং প্রশাসনকে কাঠগড়ায় তুলেছিলেন রাজ্যপাল। এবার সেই অভিযোগের বিরুদ্ধে পাল্টা সরব হলেন কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন। তিনি পাল্টা প্রশ্ন তোলেন, ‘‘এবার থেকে সিআরপিএফ কি সরাসরি কেরল শাসন করবে? নাকি রাজ্যপাল যেভাবে চাইবেন সিআরপিএফ কি সেই পথে কাজ করবে?’’ তবে এখানেই থেমে থাকেননি মুখ্যমন্ত্রী। পিনারাই আরও প্রশ্ন তোলেন, ক্ষমতায় যাঁরা থাকবেন, তাঁদের মানুষের এমন বিক্ষোভের মুখে পড়তে হয়। তবে এ ধরনের বিক্ষোভে প্রতিক্রিয়া জানাতে কিছু ‘পদ্ধতি’ অবলম্বন করতে হয়। পাশাপাশি এদিন রাজ্যপালের রাস্তায় নেমে পড়ার ঘটনার চরম নিন্দা করে বিজয়ন বলেন, ‘‘বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে পুলিশ কী ব্যবস্থা নিচ্ছে তা দেখার জন্য গাড়ি থেকে কাউকে নেমে আসতে দেখেছেন কি?’’

এছাড়াও এদিন মুখ্যমন্ত্রী মনে করিয়ে দেন নিজের সঙ্গে পুলিশি নিরাপত্তা রাখতেও অস্বীকার করেছেন রাজ্যপাল। বিজয়ন মনে করিয়ে দেন, রাজ্যপাল একবার বলেছিলেন কেরল পুলিশ সেরা, তা হলে তারা কি তাঁর জন্য যথেষ্ট নয়? কেরল বা ভারত কি কখনও এক জন উচ্চপদস্থ ব্যক্তিকে এমন ব্যবহার করতে দেখেছেন?’ তবে রাজনৈতিক মহলের মতে, বাজেট অধিবেশনের শুরুর দিনেই ফের নয়া সংঘাতের সূচনা। লিখিত ভাষণের শুধু শেষ অনুচ্ছেদটি পড়ে বিতর্কের সৃষ্টি করেছিলেন রাজ্যপাল। তারপরেই চলতি বছর প্রজাতন্ত্র দিবস উপলক্ষে রাজভবনের অনুষ্ঠান বয়কট করেন মুখ্যমন্ত্রী বিজয়ন ও তাঁর মন্ত্রিসভার সদস্যরা। তারপর থেকেই ক্রমশ চড়তে শুরু করেছে রাজনৈতিক পারদ।

 

 

 

Previous article‘আত্মীয়তায় সীমাবদ্ধ’, ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী সম্পর্কে খোলামেলা নারায়ণ মূর্তি
Next articleরবিবারের ‘মন কি বাত’ জুড়ে সংবিধান আর রামমন্দিরের ইতিহাস!