আজকের দিনে কী ঘটেছিল? চলুন দেখে নেওয়া যাক

১৮৩৫

কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের প্রতিষ্ঠা হল এদিন। মাউন্টফোর্ড জোসেফ ব্রামলিকে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের সুপারিন্টেনডেন্ট পদে নিয়োগ করা হয়। তাঁর সময়কালেই মেডিক্যাল কলেজের এই পদটিকে অধ্যক্ষের পদে রূপান্তরিত করা হয় । দ্বারকানাথ ঠাকুর-সহ দেশীয় অভিজাতদের অনেকেই এই প্রতিষ্ঠানে অর্থদান করেন। প্রথমদিকে এই কলেজে ইংরেজি মাধ্যমে পাঠদান করা হলেও পরে দেশীয় ভাষার ব্যবহার শুরু হয় এখান থেকে প্রথম ব্যাচে পাশ করে উমাচরণ শেঠ, রাজকৃষ্ণ দে, দ্বারকানাথ গুপ্ত প্রমুখ ঢাকা, চট্টগ্রাম, মুর্শিদাবাদ, পাটনা প্রভৃতি স্থানের হাসপাতালের ডাক্তার হিসেবে নিযুক্ত হন এবং আধুনিক পাশ্চাত্য চিকিৎসার প্রসার ঘটান।

১৯৮৬

চ্যালেঞ্জারে বিস্ফোরণ এদিন মার্কিন মহাকাশযান চ্যালেঞ্জার ফ্লোরিডা থেকে উৎক্ষেপিত হওয়ার ৭৩ সেকেন্ড পর মহাকাশে বিস্ফোরণের মুখে পড়ে। যানে উপস্থিত ৭ জন যাত্রীই মারা যান। এঁদের মধ্যে এক জন স্কুল শিক্ষয়িত্রী ছিলেন। তিনিই ছিলেন প্রথম আমেরিকান সিভিলিয়ান যাঁকে মহাকাশে পাঠানোর জন্য মনোনীত করা হয়েছিল।

১৮৬৫

১৮৬৫ লালা লাজপত রায় (১৮৬৫-১৯২৮) এদিন জন্মগ্রহণ করেন। ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাসে চরমপন্থী নেতা ত্রয়ী লাল-বাল-পালের অন্যতম। সাইমন কমিশনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ আন্দোলনে অংশ নেন। সেখানে পুলিশের লাঠিচার্জে মারাত্মকভাবে আহত হন। তারই পরিণতিতে মৃত্যু হয় এই মহান স্বাধীনতা সংগ্রামীর।

১৮১৩

জেন অস্টিনের বিখ্যাত গ্রন্থ ‘প্রাইড অ্যান্ড প্রেজুডিস’ প্রকাশিত হল এদিন। লেখিকার নাম ছাড়াই। বেরনো মাত্র সাড়া ফেলে দিল এই বই। এক বছরে প্রথম সংস্করণ নিঃশেষিত এর কারণ, মূলত, প্রধান চরিত্র এলিজাবেথ বেনেটের বিপুল জনপ্রিয়তা। শেষ জীবনে প্রায় অন্ধ হতে বসেছিলেন ঔপন্যাসিক জেন অস্টিন। তার কারণ, সম্ভবত আর্সেনিকের প্রভাব। সম্প্রতি অস্টিনের ব্যবহৃত তিন জোড়া চশমা পরীক্ষা করেছে ব্রিটিশ লাইব্রেরি। আর তাতেই এই তথ্য উঠে এসেছে।

২০১০

এদিন রাতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঘাতকদের মধ্যে সৈয়দ ফারুক রহমান, বজলুল হুদা, এ কে এম মহিউদ্দিন আহমেদ, সুলতান শাহরিয়ার রশিদ খান ও মুহিউদ্দিন আহমেদের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়। ১৯৭৫-এর ১৫ অগাস্ট রাতে ঘাতকরা সপরিবারে হত্যা করেছিল স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে। দীর্ঘ ৩৮ বছর বাংলাদেশের মানুষ অপেক্ষায় থেকেছে এই হত্যার বিচারের। অবশেষে এদিন অবসান হয় সেই প্রতীক্ষার। একে একে ফাঁসিতে ঝোলানো হল বঙ্গবন্ধুর দণ্ডপ্রাপ্ত খুনিদের মধ্যে পাঁচ জনকে।

১৯৩০

পণ্ডিত যশরাজ (১৯৩০-২০২০) এদিন হরিয়ানার হিসার জেলায় পিল মান্দোরি গ্রামে সাংগীতিক পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। মার্গসংগীতের মেবাতি ঘরানার যশস্বী শিল্পী। ঠুমরির উপাদানকে খেয়ালে যুক্ত করে তা শ্রোতাবান্ধব করে তুলেছিলেন যশরাজ। এ-ক্ষেত্রে তাঁকে পথিকৃৎ হিসেবে গণ্য করা হয়। ৮০ বছরেরও বেশি সংগীতজীবনে তিনি একাধিক পুরস্কার পেয়েছেন। পদ্মশ্রী, পদ্মভূষণ, পদ্মবিভূষণ সম্মানে সম্মানিত করা হয়েছে তাঁকে।

 

 

 

Previous articleToday’s market price : আজকের বাজার দর
Next articleএকনজরে আজকের পেট্রোল-ডিজেলের দাম