আজকের দিনে কী ঘটেছিল? চলুন দেখে নেওয়া যাক

১৯৭৬

অচিন্ত্যকুমার সেনগুপ্ত

(১৯০৩-১৯৭৬) এদিন শেষনিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। একদিকে আধ্যাত্মিকতার গভীরে অবগাহন অন্যদিকে নতুন সমাজ গড়ার স্বপ্ন দেখা কল্লোল গোষ্ঠীর পুরোভাগে ছিলেন তিনি। “কারা ওরা?/ চেনেন না ওদের?/ওরা বিরাট এক নৈরাজ্যের-এক নেই রাজ্যের বাসিন্দে। /ওদের কিছু নেই/ভিটে নেই, ভিত নেই, রীতি নেই, নীতি নেই,/আইন নেই কানুন নেই বিনয় নেই ভদ্রতা নেই/ শ্লীলতা-শালীনতা নেই/ ঘেঁষবেন না ওদের কাছে। (ছন্নছাড়া)। আবার এই কবিতারই পরের দিকে, রাস্তার বখাটে ছেলেরা একজন গাড়ি চাপা পড়া ভিখিরিকে নিয়ে কবির ট্যাক্সিতে উঠে পড়তেই, অচিন্ত্যকুমার বলে ওঠেন, “রক্তে মাখামাখি সেই দলা-পাকানো ভিখিরিকে/ ওরা পাঁজাকোলা করে ট্যাক্সির মধ্যে তুলে নিল। চেঁচিয়ে উঠল সমস্বরে-আনন্দে ঝংকৃত হয়ে—/প্রাণ আছে, এখনো প্রাণ আছে/…তারপর সহসা শহরের সমস্ত কর্কশে-কঠিনে/ সিমেন্টে-কংক্রিটে।/ ইটে-কাঠে-পিচে-পাথরে-দেয়ালে-দেয়ালে/বেজে উঠল এক দুর্বার উচ্চারণ/ এক প্রত্যয়ের তপ্ত শঙ্খধ্বনি—/ প্রাণ আছে, এখনো প্রাণ আছে,/ প্রাণ থাকলেই স্থান আছে, মান আছে/ সমস্ত বাধা-নিষেধের বাইরেও/ আছে অস্তিত্বের অধিকার। …শুধু প্রাণই আশ্চর্য সম্পদ/ এক ক্ষয়হীন আশা/ এক মৃত্যুহীন মর্যাদা।” জীবন এবং মৃত্যু, ড্রয়িং-রুম ও ফুটপাথ, বৈভব ও দারিদ্র্য, জাগতিক কামনা-বাসনা এবং বৈরাগ্য সব কিছুকেই এককলমে ধরার হিম্মত বাংলা সাহিত্যে যাঁরা দেখাতে পেরেছেন, তাঁদের অন্যতম অচিন্ত্যকুমার সেনগুপ্ত। রবীন্দ্রনাথ তাঁকে একটি চিঠিতে লিখেছিলেন, “তোমার কল্পনার প্রশস্ত ক্ষেত্র ও অজস্র বৈচিত্র্য দেখে আমি মনে মনে তোমার প্রশংসা করেছি।”

১৯০৪

যোগেন্দ্রনাথ মণ্ডল

(১৯০৪-১৯৬৮) এদিন জন্মগ্রহণ করেন। পরাধীন ভারতে বাঙালি নমঃশূদ্র সম্প্রদায়ের অন্যতম উজ্জ্বল প্রতিনিধি ছিলেন। বরিশাল থেকে করাচির ক্ষমতার অলিন্দ হয়ে বনগাঁ, এই হল যোগেন্দ্রনাথ মণ্ডলের জীবন। ১৯৩৭ সালে অবিভক্ত বাংলার প্রাদেশিক আইনসভায় নির্দল প্রার্থী হিসাবে লড়াই করে হারান কংগ্রেস প্রার্থীকে। নেতাজি ও শরৎচন্দ্র বসুর অনুগামী ছিলেন যোগেন্দ্রনাথ। ১৯৪০ সালে নেতাজিকে কংগ্রেস থেকে বহিষ্কারের পর কংগ্রেস ছেড়ে মুসলিম লিগে যোগ দেন তিনি। সুরাবর্দি মন্ত্রিসভার সদস্য হন যোগেন্দ্রনাথ। তখনই বাবাসাহেব আম্বেদকরের সঙ্গে হাত মেলান। ১৯৪৬-এর কনস্টিটুয়েন্ট অ্যাসেম্বলির নির্বাচনে আম্বেদকর বোম্বাই থেকে হেরে যাওয়ার পরে যোগেন্দ্রনাথই তাঁকে বাংলা থেকে জিতিয়ে এনেছিলেন। ১৯৪৬ সালে সাম্প্রদায়িক হিংসা শুরু হলে নমঃশূদ্র সম্প্রদায়কে তাতে জড়িয়ে পড়তে বারণ করেন তিনি। তাঁর দাবি ছিল, কংগ্রেস ও মুসলিম লিগের মধ্যে বিবাদে বোড়ে হতে পারে নমঃশূদ্র সম্প্রদায়। ১৯৪৭ সালে দেশভাগের পর পাকিস্তানের প্রথম আইনসভার ৬৯ জন সদস্যের একজন ছিলেন যোগেন্দ্রনাথ। সেই আইনসভার অস্থায়ী চেয়ারম্যানও নির্বাচিত হন তিনি। এর পর লিয়াকত আলি খানের মন্ত্রিসভায় আইন ও শ্রমমন্ত্রকের দায়িত্ব পান তিনি। ১৯৫০ সালের ৮ অক্টোবর পাকিস্তানি প্রশাসনের হিন্দুদের ওপর বৈষম্যের অভিযোগে মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগ করেন তিনি। এর পর চলে আসেন ভারতে। ভারতে এসে তত্কালীন ২৪ পরগনা জেলার বনগাঁয় বসবাস শুরু করেন তিনি।

১৮৬০

আন্তন পাভলোভিচ চেখভ

(১৮৬০-১৯০৪) এদিন জন্মগ্রহণ করেন। আধুনিক ছোটগল্পের রূপদক্ষ স্রষ্টাদের কথা উঠলে তিনটি নাম অবধারিতভাবে আসতে বাধ্য— গি দ্য মপাসাঁ, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এবং আন্তন চেখভ। প্রথম জন ফরাসি, দ্বিতীয় জন বাঙালি আর তৃতীয় জন রুশ। মস্কোতে চেখভ পড়েছিলেন ডাক্তারি। রাশিয়ায় কলেরা মহামারী দেখা দেওয়ায় বছরখানেক কষে ডাক্তারি করেন, কিন্তু ওই পেশার মেহনত চেখভের দুর্বল শরীরে সয়নি। তাছাড়া ততদিনে লেখক হিসেবে খ্যাতি ছড়িয়ে পড়ায় বাকি জীবনটা কলম চালিয়েই পার করেন। আন্তন চেখভের গল্পের বিশেষত্বই হচ্ছে, অন্তরালের মানসিকতাকে পর্যবেক্ষণ, পরীক্ষা করা। সুখ, দুঃখ, আশা, হাস্যরস, হঠকারিতা মানুষের জীবনে যেভাবে আরও দশটা ঘটনার মতো প্রতিভাত হয়, সেই সাদামাটা, সর্বজনীন জীবনধারার স্বাভাবিক অথচ প্রায় অদৃশ্য স্রোত তুলে ধরার ক্ষমতা চেখভের ছোটগল্পগুলোকে অমরত্ব দান করেছে।

১৯৬৩

রবার্ট ফ্রস্ট

(১৮৭৪-১৯৬৩) এদিন প্রয়াত হন। মার্কিন কবি। লিখেছেন প্যাচপেচে তুষার, জোনাকি, হেমলকের ডাল থেকে খসে পড়া বরফ নিয়ে অপূর্ব সব কবিতা। তিনিই একমাত্র কবি যিনি চারবার পুলিৎজার পুরষ্কার পেয়েছেন।

 

 

 

Previous articleBreakfast news : ব্রেকফাস্ট নিউজ
Next articleএকনজরে আজকের পেট্রোল-ডিজেলের দাম