রামমন্দির উদ্বোধনকে স্বাগত জানালেও উদ্বোধনের আগে বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মধ্যে কতটা সম্প্রীতি বজায় থাকবে তা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছিলেন অযোধ্যার মামলাকারী ইকবাল আনসারি। ২২ জানুয়ারির পর থেকে অযোধ্যায় হিংসার ঘটনা না ঘটলেও সারা দেশ অশান্ত হয়েছে ধর্মীয় উস্কানিতে। রামমন্দির উদ্বোধনের পর দেশের অন্তত ৮টি রাজ্যে ২২টি হিংসার ঘটনা ঘটেছে। এই ৮ রাজ্য হলো কর্ণাটক, গুজরাট, উত্তর প্রদেশ, পশ্চিমবঙ্গ, মধ্যপ্রদেশ, কেরালা, মহারাষ্ট্র ও তেলেঙ্গানা। এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচ (HRW)।
এইচআরডব্লিউর প্রতিবেদন আরও বলেছে, হিন্দু জাতীয়তাবাদী ভারতীয় জনতা পার্টির (BJP) হাজার হাজার সমর্থক সারা দেশে মোটরসাইকেল নিয়ে মিছিল বের করেন। এই ঘটনার জেরে বেশ কয়েক জায়গায় সংঘাত-সংঘর্ষের শুরু হয়। এর মধ্যে সবচেয়ে বড় ঘটনা মহারাষ্ট্রে ঘটেছে। কর্ণাটকে আক্রান্ত হয়েছেন দলিত কিশোর। এমনকি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির রাজ্য গুজরাটেও ভিন্ন ধর্মের এলাকায় ঢুকে অশান্তির ঘটনা ঘটেছে। বিহারে আক্রান্ত হয় কবরস্থান।
বিপরীত ছবিও দেশের অনেক জায়গায় দেখা গিয়েছে যেখানে আক্রান্ত হয়েছেন হিন্দুপন্থীরা। বিনা প্ররোচনায় তাঁদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে তেলেঙ্গানা ও মহারাষ্ট্রে।
এইচআরডব্লিউর এশিয়া অঞ্চলের প্রধান অ্যালেইন পিয়ার্সন বলেছেন, ‘প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সুস্পষ্ট আগ্রাসনবিরোধী নির্দেশ দেওয়া সত্ত্বেও সেই বার্তা শোনা হয়নি। রাজনৈতিক সুরক্ষা ও দীর্ঘদিন ধরে প্রশ্রয় পাওয়ার ফলে এমন ঘটনা ঘটছে। কট্টর হিন্দুত্ববাদীদের এ ধরনের মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনার বিরুদ্ধে ভারত সরকারের কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন।’