বাংলার প্রতি কেন্দ্রীয় সরকারের বিমাতৃ সুলভ আচরণ ও কেন্দ্রের বঞ্চনার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়ে রেড রোডে (Red Road) ধরনা দিচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেস (TMC)। শনিবার ছিল ধরনার দ্বিতীয় দিন। এদিন ধরনা মঞ্চ থেকে লোকসভার আগে মাস্টার স্ট্রোক দেন তৃণমূল নেত্রী। তিনি ঘোষণা করেন, আগামী ২১ ফেব্রুয়ারি ১০০ দিনের কাজে ২১ লক্ষ বঞ্চিত মানুষকে তাঁদের ন্যায্য মজুরি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে পাঠিয়ে দেবে রাজ্য সরকার। এরপর আনুষ্ঠানিক ভাবে এদিনের রাজনৈতিক কর্মসূচির ঘোষণা করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত গান বাজনার মাধ্যমে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান চলে। বেশিরভাগ গান ছিল দেশাত্মবোধক, প্রতিবাদী ও ঐক্যের।
গান প্রথমদিনও হয়েছে। প্রথমদিন ধরনা মঞ্চে সমবেত সংগীত করতে দেখা গিয়েছিল একদল তৃণমূল ছাত্র-যুবকে। আর এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের বক্তব্য শেষের পর শুধু গান চলল-ই না, বরং রীতিমতো গানের “দিদিমণি”র ভূমিকায় দেখা গেল তাঁকে। তিনি শুধরে দিলেন সুর তাল লয়ের ভুল-ত্রুটিও।
ধরনা মঞ্চে উপস্থিত বাবুল সুপ্রিয়, ইন্দ্রনীল সেন, দোলা সেন, চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য, কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্য়ায়, অরূপ বিশ্বাস, ফিরহাদ হাকিম, সোহম প্রমুখ। একের পর এক গান ধরলেন কখনও ইন্দ্রনীল সেন তো কখনও বাবুল সুপ্রিয়। আর সেই গানের সুরে গলা মেলালেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে। গলা মেলালেন দোলা সেন, কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্য়ায়, সোহম সহ ছাত্র যুবদের ব্যান্ড ‘জয়ী’। ধরনা মঞ্চে বসে থাকা সবাইকেই গানের সুরে সুর মেলাতে দেখা গেল। আর সবাইকেই মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়, গলা ছেড়ে গান গাওয়ার পরামর্শ দিলেন।