উন্নয়ন নয় চক্রা.ন্তের রাজনীতি, নাটক করতেই দিল্লিতে ছুটেছে! শুভেন্দুকে তো.প কুণালের

অধিকারী পরিবারের প্রায় সবাই তৃণমূলের কোনও না কোনও পদে ছিলেন। যদি সেই সময় কোনও দুর্নীতি হয়েই থাকে, সেক্ষেত্রে তো তাদেরও সেই দুর্নীতির দায় নিতে হবে

ফের শুভেন্দু অধিকারীকে তোপ দাগলেন তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক তথা মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। কুণালের অভিযোগ, শুভেন্দু চক্রান্ত করতেই দিল্লি গিয়েছে। কুণালের কথায়, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দিল্লি যাবেন শুনেই মিথ্যাচার ও চক্রান্ত করতে আগেভাগে সেখানে ছুটে গিয়েছে শুভেন্দু অধিকারী। শুভেন্দু যে রাজনীতি করছে, সেটা উন্নয়নের রাজনীতি নয়, চক্রান্তের রাজনীতি। এর আগেও যখন শুভেন্দুরা হুমকি দিয়েছিল, তখন কোনও না কোনও চক্রান্তের ছক কষেছিল। এখনও হয়ত তাই করছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দিল্লি যাবেন শুনেই, রাজনৈতিক নাটক করছে শুভেন্দু। ও তো নিজেও একসময় রাজ্যের মন্ত্রী ছিল। অধিকারী পরিবারের প্রায় সবাই তৃণমূলের কোনও না কোনও পদে ছিলেন। যদি সেই সময় কোনও দুর্নীতি হয়েই থাকে, সেক্ষেত্রে তো তাদেরও সেই দুর্নীতির দায় নিতে হবে।

ক্যাগ রিপোর্ট নিয়ে শুভেন্দুকে পাল্টা দিয়ে কুণাল বলেন, ক্যাগ-এর রিপোর্ট সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন, কেন ভিত্তিহীন সেটা ব্যাখ্যা দিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চিঠি লিখে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীকে। ২০০৩-০৪ সালে বামেদের দুর্নীতির দায় তৃণমূল কেন নেবে? শুভেন্দু কাল্পনিক নাটক করে প্রচারে থাকার চেষ্টা করছে।

সিএএ প্রসঙ্গ উঠলে কুণাল বলেন, এটা বিজেপির নাটক। ভোট এলেই কুমিরছানার মতো সব বেরিয়ে আসে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তো বলেই দিয়েছেন, বাংলার প্রত্যেকটা মানুষকে ভোট দেওয়ার অধিকার দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শুভেন্দুর ধর্মীয় মেরুকরণের নাটক, যতদিন রাজ্যের মন্ত্রী ছিলেন ততদিন সব ঠিক ছিল। ইডি-সিবিআইয়ের গ্রেফতারির মুখে পড়তেই দলবদল।

১০০ দিন ও আবাস যোজনার পাওনা নিয়ে তৃণমূল মুখপাত্র বলেন, ২১ লক্ষ মানুষকে যারা ছোট করে দেখে, অপমান করে বঞ্চনা করে, তাদের হিসেব চাওয়া মানায় না। টাকা কি বিজেপির বাবার সম্পত্তি? বাংলা থেকে বাংলার মানুষের থেকে টাকা তুলে এখন তাদের হকের টাকা আটকে রেখেছে।

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সেনাপতিত্বের তৃণমূল কংগ্রেস কেন্দ্রের বঞ্চনার বিরুদ্ধে লড়াই করছে। কখনও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ধরনায় বসেছেন, কখনও অভিষেক। দুজনকে সামনে রেখেই আন্দোলন চলছে। অভিষেক এখন দিল্লি গিয়েছে, ওর চোখের চিকিৎসাও রয়েছে। বিরোধীরা এর মধ্যেও ফাটল ধরার চেষ্টা করছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বাংলার মানুষের হৃদয়ে আছেন। ইদানিং বিরোধীদের মধ্যে অভিষেকের প্রতি যে প্রেম আসক্তি জেগে উঠছে, সেটা ভালো লক্ষণ। আর কিছুদিন পর বিজেপি নিজেই বলবে অভিষেক ব্যানার্জি জিন্দাবাদ।

আরও পড়ুন- চাকরিপ্রার্থীদের জন্য সুখবর! মঙ্গলে বাম জমানার প্যানেলের ৩২৮ জনের তালিকা: জানালেন কুণাল

 

Previous articleচাকরিপ্রার্থীদের জন্য সুখবর! মঙ্গলে বাম জমানার প্যানেলের ৩২৮ জনের তালিকা: জানালেন কুণাল
Next articleনিয়োগ মামলায় চাকরি প্রার্থীদের পক্ষে সওয়াল করতে গিয়ে সিবিআই-কে তু.লোধনা কল্যাণের