মধ্যরাতে থানায় ঢুকে আত্মঘাতী জঙ্গী হামলায় পাকিস্তানে মৃত ১০ পুলিশ কর্মী। আহত কমপক্ষে ৬ জন। প্রায় দুমাসের ব্যবধানে ফের জঙ্গী নিশানায় পাক প্রশাসন। অন্যদিকে নির্বাচনের (general election) মাত্র তিনদিন আগে এই হামলা প্রশ্ন তুলছে সাধারণ মানুষের নিরাপত্তায় শাসকের ভূমিকা নিয়ে। এখনও পর্যন্ত এই হামলার দায় কোনও জঙ্গিগোষ্ঠী স্বীকার করেনি।

সোমবার রাত ৩টে নাগাদ পাকিস্তানের ডেরা ইসমাইল খান (Dera Ismail Khan) জেলার চৌধওয়ান (Chaudhwan) থানায় আত্মঘাতী হামলা চালায় জঙ্গীরা। পাক পুলিশ কর্তার দাবি, প্রথমে বাইরে থেকে স্নাইপারে হামলা চালায়। তারপর ভিতরে ঢুকে এসে গ্রেনেড হামলা চালায়। তার ফলে ১০ পুলিশ কর্মীর মৃত্যুর পাশাপাশি গুরুতর আহত হন ৬ পুলিশকর্মী। হতাহতের সংখ্যা বাড়ার আশঙ্কা করছে পাক প্রশাসন।
গত ২২ ডিসেম্বর এভাবেই সেনাঘাঁটিতে আত্মঘাতী হামলা চালিয়েছিল আইএসআইএস (ISIS) সমর্থক জঙ্গিগোষ্ঠী। মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছিল ২৩ পাক সেনার। পাক প্রশাসনের সঙ্গে তালিবানদের সমঝোতার পর ছোট ছোট জঙ্গিগোষ্ঠীগুলি এভাবেই মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে প্রতিবেশী দেশে। আর তাদের মূল লক্ষ্য হচ্ছে প্রশাসনের নিরাপত্তা। বৃহস্পতিবার যেখানে সাধারণ নির্বাচন সেখানে পুলিশই যদি নিরাপদ না থাকে, তাহলে কীভাবে সাধারণ মানুষ নির্ভয়ে বেরিয়ে এসে ভোট দেবেন উঠছে সেই প্রশ্ন।

ইতিমধ্যেই গত সপ্তাহে জঙ্গীদের গুলিতে মৃত্যু হয়েছে দুই পাক রাজনৈতিক নেতার। তার মধ্যে একজন খাইবার পখতুমখোয়া প্রদেশ থেকে নির্বাচনে প্রার্থীও ছিলেন। হামলা চলে নির্বাচনী জনসভাতেও। মৃত্যু হয় সাধারণ মানুষের। আইএস গোষ্ঠী এই হামলার দায় স্বীকারও করেছে। তারপরেও নাগরিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ব্যর্থ পাক প্রশাসন।
