নিজের প্রেমিকের সঙ্গে বান্ধবীর অন্তরঙ্গ ভিডিও তুলে ব্ল্যাকমেল করার অভিযোগে গ্রেফতার এক স্কুল শিক্ষিকা৷ ধৃত স্কুল শিক্ষিকার প্রেমিক কলকাতা মেট্রোতে কর্মরত৷এই ঘটনায় বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে ফোন৷ ধৄতদের জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ৷জানা গিয়েছে, পঞ্চসায়র থানা এলাকার বাসিন্দা একটি বেসরকারি স্কুলের শিক্ষিকা সুদীপ্তা মিত্র। তার সঙ্গে একই স্কুলে পড়়াতেন নির্যাতিতা ৷ তিনি সার্ভেপার্ক এলাকার বাসিন্দা বলে জানা গিয়েছে ৷ ধৄত সুদীপ্তা মিত্রের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক ছিল কলকাতা মেট্রো রেলের কর্মী প্রসেনজিৎ রাউতের৷ তিনি নরেন্দ্রপুর থানা এলাকার বাসিন্দা ৷ তিনজনেই মাঝেমধ্যে নানান জায়গায় ঘুরতে যেতেন ও খাওয়া দাওয়া করতেন ৷

পুলিশ সুত্রে জানা গিয়েছে, সুদীপ্তার ইন্ধনে নির্যাতিতার সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে প্রসেনজিতের৷ জানা গিয়েছে, বেসরকারি স্কুলে পড়ানোর সময়েই সুদীপ্তার মাধ্যমে প্রসেনজিতের সঙ্গে নির্যাতিতার আলাপ হয়৷ নির্যাতিতাও প্রসেনজিতের সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন ৷ পরিকল্পনা করে নির্যাতিতাকে ফাঁসায়। প্রেমিকের সঙ্গে বান্ধবীর অন্তরঙ্গ ভিডিয়ো তুলে বারবার ব্ল্যাকমেল করার অভিযোগ উঠেছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত যুবতীর ইন্ধনে নির্যাতিতার সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক তৈরি করেন ওই যুবক। অভিযোগ, প্রসেনজিৎ ও সুদীপ্তা দুজনেই উপস্থিত ছিলেন ৷ দুজনেই রাতে নির্যাতিতার বাড়িতে থেকে যাওয়ার পরিকল্পনা করেন ৷
অভিযোগ, রাত্রিবেলা নির্যাতিতার সঙ্গে ওই যুবক শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত হন। আর গোটা ঘটনার ভিডিয়ো করেন যুবকের প্রেমিকা তথা নির্যাতিতার বান্ধবী। সেই ভিডিও দেখিয়ে সুদীপ্তা ও প্রসেনজিত নির্যাতিতার কাছ থেকে ২০ লক্ষ টাকা নেন, এছাড়া সোনার গয়নাও নেন বলে অভিযোগ ৷ ২০ লক্ষ টাকা দেওয়ার পরেও ফের ব্ল্যাকমেল করে টাকা চাওয়ায় নরেন্দ্রপুর থানার পুলিশের দারস্থ হন নির্যাতিতা৷ ঘটনার তদন্তে নেমে দুজনকেই গ্রেফতার করেছে পুলিশ৷
বারুইপুরের ডিএসপি মোহিত মোল্লা বলেন, অভিযোগের প্রেক্ষিতে পুলিশ তদন্ত করে দুই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে। তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। তদন্তের স্বার্থে এখনই এর চেয়ে বেশি কোনও তথ্য দেওয়া যাবে না।
