নরেন্দ্রপুরে মৃত ছাত্রের পেটে মদ-পকেটে কন্ডোম! ময়নাতদন্তের রিপোর্টে চাঞ্চল্যকর তথ্য

নরেন্দ্রপুরের ইঞ্জিনিয়ারিং ছাত্রের রহস্যমৃত্যুতে নয়া মোড়। ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্ট (Report) সামনে আসতেই চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে এসেছে। মৃত অপ্রতিম দাসের লিভারে (Liver) মদের নমুনা পাওয়া গিয়েছে। শুধু তাই নয়, একটি কন্ডোমের প্যাকেট মিলেছে ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের দ্বিতীয় বর্ষের ওই ছাত্রের প্যান্টের পকেটে। তদন্তকারীদের প্রাথমিক তদন্তে অনুমান, মত্ত অবস্থায় জলাশয়ে পড়ে যেতে পারেন অপ্রতিম। সেখানেই শ্বাসরোধ হয়ে মৃত্যু হয় তাঁর। জলে ডুবেই অপ্রতিমের মৃত্যু হয়েছে বলে নিশ্চিত পুলিশ। তবে, দুর্ঘটনাবশত তিনি পড়ে গিয়েছিলেন, না কি কেউ তাঁকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দিয়েছেন সেই খুঁজে দেখার চেষ্টা চলছে।

মহামায়াতলার বাসিন্দা ছিলেন অপ্রতিম। তাঁর বাবা-মায়ের মধ্যে সম্পর্ক ভালো ছিল না। অপ্রতিমের বাবা তাঁদের সঙ্গে থাকতেন না। ফরতাবাদে মৃতের মামার বাড়ি। সেই বাড়ির পাশেই একটি ক্লাবে বৃহস্পতিবার রাতে বিয়ের অনুষ্ঠান গিয়েছিলেন ওই ছাত্র। প্রত্যক্ষদর্শীদের বয়ান অনুযায়ী, খেতে খেতেই উঠে যান অপ্রতিম। শৌচাগারে যাওয়ার কথা বলে উঠে যান বলে জানাচ্ছেন কেউ কেউ। কারও দাবি, ফোনে কোনও মেসেজ পেয়েই উঠে যান ওই ছাত্র। তার পর থেকেই তাঁর খোঁজ মিলছিল না। রবিবার দুপুরে নরেন্দ্রপুরের ঢালিপাড়া এলাকার একটি পুকুরে তাঁর দেহ ভাসতে দেখেন স্থানীয়রা।

ছেলের মৃত্যু নিয়ে একে অপরের বিরুদ্ধে দোষারোপ করেন অপ্রতিমের বাবা-মা। তাঁর মা অভিযোগ, ছেলেকে খুন করেছেন বাবা। বাবার পাল্টা অভিযোগ, মা-ই খুন করেছেন ছেলেকে। তাঁর বাবার একাধিক বিবাহ-বহির্ভূত সম্পর্ক রয়েছে বলেও অভিযোগ মৃত পড়ুয়ার মায়ের। কিন্তু ময়নাতদন্তের রিপোর্টের (Report) পরে এই রহস্যমৃত্যু নয়া মোড় নিল।

Previous articleচুঁচুড়ায় অসুস্থ রোগীর বাড়িতে হানা, ইডির বিরুদ্ধে আদালতে যাচ্ছে পরিবার
Next articleসংশোধনাগারে খাবারের মান নিয়ে নওশাদের অভিযোগ নস্যাৎ কারামন্ত্রীর