কংগ্রেস সাংসদ-বিধায়কদের গুলি করে মারার নিদান বিজেপি নেতার

কংগ্রেস সাংসদ ডি কে সুরেশ ও বিধায়ক বিনয় কুলকার্নিকে গুলি করার কথা বলেন বিজেপি নেতা কে এস এসওয়ারাপ্পা। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর কাছে তিনি আবেদন করবেন একটি আইন তৈরি করতে, যেখানে এই ধরনের মানুষদের গুলি করে মারা যাবে

ন্যায্য পাওনার দাবিতে ধর্নার পরেই কংগ্রেস নেতাদের আইন এনে গুলি করে মারার নিদান দিলেন কর্ণাটকের বিজেপি নেতা কে এস এসওয়ারাপ্পা। দেশ ভাগের চক্রান্ত চালাতে চাইছে কংগ্রেস নেতারা, এমনই অভিযোগ তুলে বিজেপি নেতার গুলি চালানোর বক্তব্যে সমালোচনা শুরু সোশ্যাল মিডিয়ায়।

বৃহস্পতিবার থেকে কেন্দ্রের বঞ্চনার বিরুদ্ধে দিল্লির যন্তর মন্তরে একাধিক রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে ধর্নায় বসেন কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী তথা কংগ্রেস নেতা সিদ্দারামাইয়া। আন্দোলনে নাম রাজ্যগুলির সাংসদ, মন্ত্রী ও বিধায়করাও যোগ দেন ধর্নামঞ্চে। অন্যদিকে বৃহস্পতিবারই কর্ণাটকের বিজেপি রাজ্য সভাপতির শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান ছিল। সেখানেই কংগ্রেসের ন্যায্য পাওনার জন্য দাবির সমালোচনা করতে গিয়ে মাত্রাজ্ঞানহীন হয়ে পড়েন বর্ষীয়ান বিজেপি নেতা এসওয়ারাপ্পা।

শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান থেকে কংগ্রেস সাংসদ ডি কে সুরেশ ও বিধায়ক বিনয় কুলকার্নিকে গুলি করার কথা বলেন বিজেপি নেতা কে এস এসওয়ারাপ্পা। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর কাছে তিনি আবেদন করবেন একটি আইন তৈরি করতে, যেখানে এই ধরনের মানুষদের গুলি করে মারা যাবে। কংগ্রেস সাংসদ ও বিধায়কদের তিনি দেশদ্রোহী বলেও উল্লেখ করেন। এরপরই সমাজসেবীরা প্রশ্ন তোলেন যদি তাঁরা এসওয়ারাপ্পার বিরুদ্ধে এধরনের মন্তব্য কেউ করে তাহলে তাঁকে তৎক্ষণাৎ গ্রেফতার করা হবে, ডি কে সুরেশকে মারা কথা বললে তাঁর বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেওয়া হয় না, এটাই ক্ষমতার মাহাত্ম্য।

যদিও শুক্রবারই কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া ঘোষণা করেন এয়ওয়ারাপ্পার বিরুদ্ধে আইননানুগ পদক্ষেপ নেওয়া হবে। পাশাপাশি তিনি প্রশ্ন তোলেন, এসওয়ারাপ্পা দাবি করেন তিনি আরএসএস-এর প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত। সেখানে কী এধরনের শিক্ষা দেওয়া হয়। উনি শুধুই হিংসা ছড়াতে পারেন।

Previous article১০০ দিনের বঞ্চিতদের পাওনা মেটাতে দক্ষিণ ২৪ পরগনায় তিনশোর বেশি ক্যাম্প অভিষেকের
Next articleবিলকিস মামলা: আত্মসমর্পণের পরই ধর্ষককে প্যারোলে মুক্তি দিল গুজরাট হাইকোর্ট