‘দলবিরোধী কথা’, কংগ্রেস থেকে বহিষ্কার ‘বিতর্কিত’ প্রমোদ কৃষ্ণমকে

শনিবার রাতে কংগ্রেস হাইকম্যান্ডের তরফে উত্তরপ্রদেশ কংগ্রেসের সুপারিশ মেনে ছয় বছরের জন্য বহিষ্কার করা হয় তাঁকে। কংগ্রেস মহাসচিব কে সি বেণুগোপাল প্রকাশিত একটি বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয় অনুশাসনহীনতা ও দল বিরোধী বক্তব্য পেশের জন্য তাঁকে বহিষ্কার করা হয়।

একদিকে যখন বিজেপি বিরোধী শক্তিগুলি একজোট হয়ে লোকসভা ও রাজ্যসভায় নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করে এসেছে, সেই সময় বারবার বিজেপি ও রামমন্দিরের সপক্ষে বক্তব্য পেশ করে গিয়েছিলেন উত্তরপ্রদেশের প্রাক্তন কংগ্রেস নেতা প্রমোদ কৃষ্ণম। এবার তাঁকে ছয়বছরের জন্য দল থেকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নিল কংগ্রেস হাইকম্যান্ড। আর এই সিদ্ধান্তের পরদিনই কৃষ্ণমের প্রতিক্রিয়া তিনি নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে রয়েছেন।

উত্তরপ্রদেশের কংগ্রেস নেতা আচার্য প্রমোদ কৃষ্ণম একাধিকবার উত্তরপ্রদেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে লোকসভায় কংগ্রেসের হয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন। কিন্তু কোনওবার জিততে পারেননি। ২০১৯ সালেও লক্ষ্ণৌ থেকে পরাজিত হন তিনি। তবে সম্প্রতি প্রকাশ্যে বক্তব্য পেশ করে লাইমলাইটে এসেছিলেন এই নেতা। রামমন্দিরের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের সোনিয়া গান্ধী, মল্লিকার্জুন খাড়গে, রাহুল গান্ধীকে আমন্ত্রণ জানানো হয়। তবে বিজেপি বিরোধী নীতি থেকে তাঁরা সেই আমন্ত্রণ প্রত্যাখ্যান করেন। সেই সময় কংগ্রেসের সেই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করেন কৃষ্ণম।

শনিবার লোকসভার অধিবেশনের শেষদিনে কেন্দ্রের ক্ষমতাসীন দল বিজেপি রামমন্দির নিয়ে আলোচনার সময় কংগ্রেস সেই আলোচনায় রামমন্দিরের বিরোধিতা করেন। আলোচনা থেকে ওয়াকআউট না করে আলোচনায় অংশগ্রহণ করেই বিরোধিতাকে উপযুক্ত বলে মনে করেন কংগ্রেস নেতারা, বক্তব্য রাখেন সাংসদ গৌরব গোগোই। আর এরই বিপরীতে রামমন্দিরকে সমর্থন করে বক্তব্য রাখতে থাকেন কৃষ্ণম। এমনকি রামমন্দিরের জন্য নরেন্দ্র মোদিকে তিনি ধন্যবাদও জানান।

এরপরই শনিবার রাতে কংগ্রেস হাইকম্যান্ডের তরফে উত্তরপ্রদেশ কংগ্রেসের সুপারিশ মেনে ছয় বছরের জন্য বহিষ্কার করা হয় তাঁকে। কংগ্রেস মহাসচিব কে সি বেণুগোপাল প্রকাশিত একটি বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয় অনুশাসনহীনতা ও দল বিরোধী বক্তব্য পেশের জন্য তাঁকে বহিষ্কার করা হয়।

Previous articleমোদি রাজ্যে ছানি অপারেশনের নামে ছেলেখেলা , দৃষ্টিহীন হয়ে যাওয়ার অভিযোগ গুজরাটে!
Next articleঅন্তঃসত্ত্বা পরিণীতি চোপড়া! ফের জল্পনা নেটপাড়ায়