বিধানসভায় চূড়ান্ত অসভ্যতা! চলতি বাজেট অধিবেশন থেকে সাসপেন্ড শুভেন্দু-সহ ৬ বিজেপি বিধায়ক

সন্দেশখালিকাণ্ড (Sandeshkhali) নিয়ে ফের বিধানসভায় (Assembly) চূড়ান্ত অসভ্যতার জের। ঘটনার জেরে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)-সহ ছ’জন বিজেপি বিধায়ককে (BJP) পুরো বাজেট অধিবেশনে সাসপেন্ড (Suspend) করলেন বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় (Biman Banerjee)। সাসপেন্ড (Suspend) হওয়া ছয় বিজেপি বিধায়ক হলেন— শুভেন্দু অধিকারী, অগ্নিমিত্রা পাল, বঙ্কিম ঘোষ, তাপসী মণ্ডল, মিহির গোস্বামী এবং শঙ্কর ঘোষ। চলতি বছরের রাজ্য বাজেট অধিবেশনে আর এক দিনও অংশ নিতে পারবেন না তাঁরা। সন্দেশখালির ঘটনা নিয়ে ইতিমধ্যে তৎপর রাজ্য পুলিশ। যারা দোষী তাঁদের সবাইকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে সোমবার সকালে হুগলি যাওয়ার আগে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে সেকথাও স্পষ্ট করে দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তারপরও গায়ের জোরে বিধানসভায় শুভেন্দুর নেতৃত্বে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টা বিজেপি বিধায়কদের। একেই হাতে কোনও ইস্যু নেই। কিন্তু যেহেতু সামনে লোকসভা নির্বাচন সেকারণে ঘোলা জলে মাছ ধরতে নোংরা রাজনীতির খেলায় মেতেছে বিজেপি। জোর করে রাজ্যকে অশান্ত করার লাগাতার চেষ্টা গদ্দারের।

সোমবার বাজেট অধিবেশনে ‘সন্দেশখালি সঙ্গে আছি’ লেখা টিশার্ট গায়ে দিয়ে বিধানসভার বাজেট অধিবেশনে ঢোকেন বিজেপি বিধায়কেরা। তাতেই আপত্তি জানান স্পিকার। তিনি গদ্দার শুভেন্দু-সহ বিজেপি বিধায়কদের টি শার্ট খুলে আসার কথা বললেও সেকথায় কান দেননি বিরোধী দলনেতা। উল্টে অধিবেশন চলাকালীন চূড়ান্ত বিশৃঙ্খলার অভিযোগ ওঠে শুভেন্দুর বিরুদ্ধে। পাশাপাশি বিক্ষোভ শুরু করেন বিজেপি বিধায়করাও। অধিবেশন কক্ষে স্লোগান দেওয়ার পাশাপাশি হুইসেল বাজিয়ে রীতিমতো হইচই পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়। এরপর স্পিকারের সাসপেনশনের পর বিধানসভা থেকে বিজেপি বিধায়কেরা ওয়াকআউট করেন। এর পরেই বিধানসভার মুখ্যসচেতক নির্মল ঘোষ বিজেপির পুরো পরিষদীয় দলকে সাসপেন্ড করার প্রস্তাব দেন। পরে পরিষদীয় মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় সেই প্রস্তাব সংশোধন করে শুভেন্দু-সহ ৬ জন বিধায়ককে সাসপেন্ড করার প্রস্তাব দেন। এরপরই ওই ছ’জনের আচরণ নিয়ে প্রশ্ন তুললে সাসপেন্ড করেন স্পিকার।

তবে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, সন্দেশখালিতে সিপিএম নেতা নিরাপদ সর্দারকে গ্রেফতারের প্রতিবাদে সোমবার সকালে সেখানে ১২ ঘণ্টা ধর্মঘটের ডাক দেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে, এদিন সকাল সকাল সন্দেশখালিতে পৌঁছতে গিয়ে স্থানীয়দের বিক্ষোভের মুখে পড়তে হয়েছে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসকেও। আর সবাই যখন সেখানে উপস্থিত সেখানে গদ্দার না গেলে কেন্দ্রের শীর্ষ নেতৃত্বের কাছে নিজের ইমেজ নিয়ে প্রশ্ন উঠতে পারে। তাই প্ল্যান করেই বিধানসভা থেকে ওয়াকআউট ও চূড়ান্ত বিশৃঙ্খলার পর দলবল নিয়ে বাসে করেই সন্দেশখালিকে অশান্ত করতে ছুটলেন শুভেন্দু।

 

 

 

 

Previous articleকৃষকদের দিল্লি অভিযানে সতর্ক প্রশাসন, দুই স্টেডিয়ামে তৈরি অস্থায়ী জেল
Next articleগাড়ি দু.র্ঘটনায় প্র.য়াত ২৪ বছরের অ্যাথলিট কেলভিন কিপটাম