কৃষকদের কৃষি বিমার পুরো টাকাই দেবে রাজ্য,বিধানসভায় কৃষিমন্ত্রী

তিনি জানান, আগামী অর্থ বছরের শুরু থেকেই আলু সহ সমস্ত অর্থকরী ফসলের চাষিরা এই সুবিধা পাবেন।

রাজ্যের কৃষকদের কৃষি বিমার পুরো টাকাই দেবে রাজ্য সরকার। কেন্দ্রের টাকার বদলে সম্পূর্ণ টাকাই দেবে রাজ্য সরকার। কৃষককে আর বিমার প্রিমিয়াম দিতে হবেনা। রাজ্য সরকারই এই সংক্রান্ত সমস্ত খরচ বহন করবে । রাজ্য বিধানসভায় সোমবার কৃষি দফতরের বাজেট আলোচনার শেষে জবাবি ভাষণে জানালেন কৃষিমন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় । তিনি জানান, আগামী অর্থ বছরের শুরু থেকেই আলু সহ সমস্ত অর্থকরী ফসলের চাষিরা এই সুবিধা পাবেন।

কৃষকদের স্বার্থে এরাজ্যেই প্রথম এধরণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে মন্ত্রীর দাবি। তিনি জানান, ২০২৩ সালের খারিফ মরশুমে প্রায় ৬০ লক্ষ কৃষক বাংলা শস্য বিমা যোজনা প্রকল্পের আওতায় নাম নথিভুক্ত করেছেন। ২০১৯ সালে এই প্রকল্প শুরু হওয়ার পর থেকে এখনও পর্যন্ত ৯৮ লক্ষ কৃষককে এই প্রকল্পের আওতায় ফসলের ক্ষতি বাবদ ২ হাজার ৮৩৮ কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে। কৃষিক্ষেত্রে রাজ্যের সাফল্য তুলে ধরে কৃষিমন্ত্রী বিধানসভায় জানান, ২০১০-১১ আর্থিক বছরের নিরিখে এই সময় ধানের উৎপাদন ৫৬ লক্ষ মেট্রিক টন বেড়েছে। ২২-২৩ আর্থিক বছরে রাজ্যে প্রায় ১৫৯ লক্ষ মেট্রিক টন চাল উৎপাদন হয়েছে। ধান উৎপাদনে রাজ্য দেশের মধ্যে প্রথম স্থানে পৌঁছে গেছে। এই সরকারের আমলে রাজ্যে ডালের উৎপাদন ২৬০ শতাংশ, তৈলবীজ উৎপাদন ১৮০ শতাংশ এবং সামগ্রিক ভাবে খাদ্যশস্যের উৎপাদন ১২৯ শতাংশ বেড়েছে। বিভিন্ন কৃষি প্রকল্প ও রাজ্যকে সারের বরাদ্দ নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে বঞ্চনার অভিযোগ নিয়ে কৃষিমন্ত্রী বিধানসভায় সরব হন। তিনি অভিযোগ করেন, বাজেটে সারের ভর্তুকির অঙ্ক কমিয়ে দিয়েছে কেন্দ্র। রাজ্যে আলু চাষিদের ভাতে মারতে এনপিকে সারের বরাদ্দ কমিয়ে দেওয়া হয়েছে।দিল্লির কাছে ৫.৭৩ লক্ষ টন সার চাওয়া হয়েছিল। মিলেছে মাত্র ৭৫ হাজার টন।

এরই পাশাপাশি তিনি জানান, তৃণমূল কংগ্রেস ক্ষমতায় আসার পর রাজ্যে কৃষকদের আয় বেড়েছে আগের তুলনায় তিন গুণ। রিজার্ভ ব্যাঙ্কের রিপোর্ট থেকেই এই তথ্য সামনে এসেছে। কৃষি দফতরের কাজে আরোও গতি আনতে রাজ্য পাবলিক সার্ভিস কমিশনের মাধ্যমে ১২২ জন আধিকারিককে খুব শীঘ্রই নিয়োগ করার কথাও কৃষিমন্ত্রী ঘোষণা করেন। এর আগে শাসক দলের বেশ কয়েকজন সদস্য কৃষি দফতরের বাজেট আলোচনায় অংশ নেন। তবে বিরোধী বিজেপির কোনও বিধায়কই কৃষি দফতরের বাজেট আলোচনার সময় বিধানসভায় উপস্থিত ছিলেন না। একমাত্র বিরোধী আই এস এফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকি আলোচনায় অংশ নিয়ে কৃষি দফতরের লোকাভাব, কৃষি জমির চরিত্র বদল নিয়ে সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। আলোচনার শেষে কৃষি দফতরের বাজেট প্রস্তাব সভায় গৃহীত হয়।

Previous articleওয়াক আউট বিরোধীদের, বিহারে আস্থাভোটে জিতলেন নীতীশ
Next articleকেরলের কাছে ১০৯ রানে হার বাংলার