প্রেমিকা বা পরিজন নিয়ে শহরের নামী রেস্তোরাঁয় যাবেন? সাবধান! সতর্ক করছে পুলিশ

রেস্তোরাঁর ম্যানেজাররা স্পষ্ট বলছেন তাঁদের অনলাইনে বুকিংয়ের কোনও ব্যবস্থাই নেই। তাড়াতাড়ি বুকিং করা নম্বরে ফোন করে দেখা গেল নম্বরটিরও আর কোনও অস্তিত্বই নেই।

প্রেমদিবস পালনে নামীদামি রেস্তোরাঁয় খাওয়াটা তো ‘আ মাস্ট থিং’। সবাই যখন রেস্তোরাঁয় ভিড় জমাবেন তখন আপনি জায়গা পাবেন তো? এই আশঙ্কাতেই সবাই ঝপাঝপ অনলাইনে রেস্তোরাঁর বুকিং করছেন কী? এবছর প্রেমদিবসে ঠিক সেভাবেই সিট বুকিং করে শেষে না খেয়েই ফিরতে হল অনেক যুগলকে। কলকাতা পুলিশকেও এবার মাঠে নেমে সতর্ক করা হচ্ছে অনলাইন বুকিংয়ের দিকে না যেতে।

প্রেমদিবসে প্রেমিকার হাত ধরে দামী রেস্তোরাঁয় খেতে গিয়ে শহরের অনেক যুগলই এক গুরুতর সমস্যার মুখে পড়লেন। অনলাইনে বুকিং করা রেস্তোরাঁয় আগে থেকে পেমেন্ট করার পরও সেখানে গিয়ে দেখতে পেলেন তাঁদের কোনও বুকিংই নেই। রেস্তোরাঁয় খেতেও পেলেন না, অথচ অ্যাকাউন্ট থেকে টাকাও কাটা গেল।

রেস্তোরাঁর ম্যানেজাররা স্পষ্ট বলছেন তাঁদের অনলাইনে বুকিংয়ের কোনও ব্যবস্থাই নেই। তাড়াতাড়ি বুকিং করা নম্বরে ফোন করে দেখা গেল নম্বরটিরও আর কোনও অস্তিত্বই নেই। অর্থাৎ পুরো বিষয়টাই অনেকটা জামতারা গ্যাংয়ের মতো অ্যাকাউন্ট থেকে মুহূর্তে টাকা গায়েব। বুধবার এই ঘটনা শহরের একাধিক রেস্তোরাঁয় একই ঘটনা। প্রেম দিবসের দিনটাকেই বেছে নেওয়াটা প্রতারকদের জন্য সুবিধাজনক, কারণ এই দিনে সদ্য বাস্তব জীবনের দরজা খুলে ফেলা কিশোর কিশোরীরা এই দিন তাড়াহুড়ো করে অনেক বুকিং করে।

কলকাতা পুলিশ আপাতত সেই তদন্তে সবার আগে সতর্ক করছে। সাইবার ক্রাইম বিভাগ খোঁজ চালাচ্ছে এই গুপ্ত প্রতারকদের। সতর্ক করা হচ্ছে বুকিং করার আগে।

Previous articleফের পথ দেখাল বাংলা! নজির গড়ল রাজ্য সরকারের টেলি মিডিসিন প্রকল্প
Next articleযমজ সন্তান সহ ভারতীয় বংশদ্ভূত দম্পতির রহস্যজনক মৃত্যু ক্যালিফোর্নিয়ায়