সন্দেশখালি পৌঁছে কী শুধুই আত্মতুষ্টি শুভেন্দুর? মিলল না ধর্ষণ শ্লীলতাহানির অভিযোগ

মঙ্গলবার সেই মাটিতে পা রেখে তিনি যা করলেন তা যে নিছক ভোটের ময়দানে ফায়দা তোলা তা আর অপ্রকাশিত থাকল না। যেন পুলিশকে নাস্তানাবুদ করে সন্দেশখালি পৌঁছানোই ছিল বিজেপির মূল লক্ষ্য, সাধারণ মানুষের কথা শোনা নয়।

কখনও বাসন্তী হাইওয়ে, কখনও উত্তর চব্বিশ পরগণার রামপুরের গিয়ে শুধুই সন্দেশখালি ‘পৌঁছানোর’ কথা বলেছেন শুভেন্দু অধিকারী। রেশন মামলায় ইডি সন্দেশখালি যাওয়ার পর থেকে বারবার যেভাবে উত্তেজনা ছড়িয়েছে সেখানে, তাতে পরিস্থিতি সামলাতে পুলিশকে ১৪৪ ধারা জারি করতে হয়েছে। একের পর এক প্রশাসনিক পদক্ষেপের পরেও বিজেপি ও বিরোধীরা যে শুধুই সন্দেশখালিতে অশান্তি তৈরি করতে সেখানে পা রাখতে চেয়েছে, তার প্রমাণ মিলল মঙ্গলবার।

প্রথমে স্থানীয় তৃণমূলনেতাদের বিরুদ্ধে বেনিয়মের অভিযোগ তুলে সরব হয়েছিল বিজেপি ও বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। সেই পরিস্থিতিতে তৃণমূল দলীয় কর্মীদের ওপর ওঠা অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত করেছে। গ্রেফতার হয়েছেন তৃণমূলনেতা উত্তম সর্দার। তারপরেও বিজেপি রাজ্য সভাপতির সঙ্গে প্রতিযোগিতায় নেমে সন্দেশখালি যাওয়ার চেষ্টা করেছেন শুভেন্দু। ব্যর্থ হয়ে রাজ্যের মহিলাদের সম্মান নিয়ে খেলায় মেতেছিলেন বিরোধীদলগুলির সঙ্গে। তবে মুখ্যমন্ত্রী সেই বিষয়েও পুলিশকে স্বতঃপ্রণোদিত মামলা দায়েরের নির্দেশ দেন। পুলিশ সন্দেশখালির অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ধর্ষণের ধারা যোগ করে এবং আরেক তৃণমূলনেতা শিবপ্রসাদ হাজরাকেও গ্রেফতার করা হয়।

বারবার রাজ্যকে প্যাঁচে ফেলার পরিকল্পনা বিফলে যাওয়ায় কেন্দ্র থেকে কমিশন এনে এমনকি রাজ্যপালকেও ইন্ধন দিয়ে সন্দেশখালি পাঠান শুভেন্দু অধিকারী। অবশেষে মঙ্গলবার সেই মাটিতে পা রেখে তিনি যা করলেন তা যে নিছক ভোটের ময়দানে ফায়দা তোলা তা আর অপ্রকাশিত থাকল না। যেন পুলিশকে নাস্তানাবুদ করে সন্দেশখালি পৌঁছানোই ছিল বিজেপির মূল লক্ষ্য, সাধারণ মানুষের কথা শোনা নয়। সেখানে পৌঁছে বিজেপিকর্মীদের বেছে রাখা কয়েকটি বাড়িতে ‘পায়ের ধুলো’ দিলেন।

তবে এতকিছু করেও প্রকাশ্যে কোনও ধর্ষণের অভিযোগ আনতে পারলেন না শুভেন্দু অধিকারী। রাজ্যকে কালিমালিপ্ত করার যে খেলা তিনি শুরু করেছিলেন সন্দেশখালির মানুষ সেটা শেষ করলেন। সাধারণ মানুষ তাঁকে দেখে বেরিয়ে এলেন না। উল্টে পুলিশি নিরাপত্তার খাতিরে দিন আনা দিন খাওয়া মানুষগুলোর সারাদিনের কাজ চৌপাট হল। সাধারণ মানুষ প্রমাণ করলেন তাঁদের নিয়ে রাজনীতি করার খেলায় তাঁরা নেই।

Previous articleটি-২০ বিশ্বকাপে কি রোহিতই যোগ্য অধিনায়ক, কী বললেন মহারাজ?
Next articleবাতিল আধার! সমাধানে নতুন পোর্টাল চালু রাজ্যের, কীভাবে আবেদন? জানুন