সারা বিশ্ব জুড়ে বাঙালির বসবাস। আর লন্ডনে অবস্থিত প্রায় ১০লক্ষ বাঙালিকে একত্রিত করতে ২০-২১ এপ্রিলে লন্ডনের সত্তাভিস পতিদার সেন্টার, ওয়েম্বলিতে অনুষ্ঠিত হতে চলেছে ‘লন্ডন মহোৎসব’। এই প্রথম এক অভূতপূর্ব আঙ্গিকে সাজানো হচ্ছে এই কার্নিভাল। দুদিনব্যাপী এই উৎসবে ভারত ও বাংলাদেশের নামী শিল্পোদ্যোগী, সঙ্গীতশিল্পী, সাহিত্যিক, নাট্যকার, চলচ্চিত্র অভিনেতা, নৃত্যশিল্পী, ফ্যাশন ডিজাইনার, চিকিৎসক উপস্থিত থাকবেন। থাকবে বই, শাড়ি, গয়না, হস্তশিল্প, খাবারের বহু স্টল। বাণিজ্যের সঙ্গে শিল্পের এক অসাধারণ মেলবন্ধনও ঘটবে লন্ডন মহোৎসবে। এমনই দাবি আয়োজকদের।
মঙ্গলবার কলকাতা রোয়িং ক্লাবে একটি সাংবাদিক সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। সেখানে উপস্থিত ছিলেন লন্ডন মহোৎসবের সভাপতি শঙ্কু বসু, সহ সভাপতি অরুনাভ বন্দ্যোপাধ্যায় এবং সেক্রেটারি সায়ন্তন দাস অধিকারী। সাংবাদিক সম্মেলনে জানানো হয়, দুদিনের এই উৎসবের প্রাক সন্ধ্যায় অর্থাৎ ১৯ এপ্রিল হবে এক তারকাখচিত আমন্ত্রণমূলক অনুষ্ঠান। ব্রিটিশ পার্লামেন্টের হাউজ অফ লর্ডসে প্রদান করা হবে ‘বেঙ্গল ব্রিটিশ আইকন অ্যাওয়ার্ড’।
বলা বাহুল্য, প্রাপকেরা সবাই নিজ নিজ ক্ষেত্রে দিকপাল। উপস্থিত থাকবেন লর্ড স্বরাজ পলসহ বহু সাংসদ। এছাড়া ওই সন্ধ্যায় ব্রিটিশ পার্লামেন্ট হাউজ অব লর্ডসে দেওয়া হবে ‘বেঙ্গল ব্রিটিশ আইকন অ্যাওয়ার্ড’। পাশাপাশি লন্ডন মহোৎসবের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর হিসাবে থাকবেন অভিনেত্রী ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত। অনুষ্ঠানটি সফল করতে যে উপদেষ্টারা আছেন তাঁদের মধ্যে আছেন পশ্চিমবঙ্গের বিধায়ক দেবাশিস কুমার, শিক্ষাবিদ সত্যম রায়চৌধুরী, প্রকাশক ত্রিদিব চ্যাটার্জি, চলচিত্র প্রযোজক ফিরদৌসল হাসান ও শিল্প পরিচালক শঙ্কু বোস। এই আয়োজনের মিডিয়া পার্টনার আজকাল। সাহিত্য বিষয়ক পার্টনার ডাক বাংলা। উল্লেখ, লন্ডন মহোৎসবের শিল্পীদের তালিকায় রয়েছেন, লোপামুদ্রা মিত্র ও জয় সরকার, সাহানা বাজপেয়ী ও সামন্তক, রাঘব চ্যাটার্জি, সুরজিৎ চট্টোপাধ্যায় ও অন্বেষা, দেবলীনা কুমার, দেবশঙ্কর হালদার, তথাগত সেনগুপ্ত ও আরও অনেকে।