ফের জেলায় জেলায় আধার-বিভ্রাট। মিলল আধার বাতিলের চিঠি। এরফলে বন্ধ ব্যাঙ্ক ও সরকারি পরিষেবাও। প্রতিদিনই তালিকায় নতুন নতুন জেলা যোগ হচ্ছে। উত্তর থেকে দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব বর্ধমান, আধার লিঙ্ক নিষ্ক্রিয় হওয়ার চিঠি পেয়ে মাথায় হাত বাসিন্দাদের। এরপর ফের আধারা বাতিলের চিঠি গেল নদীয়া, মালদহ, চোপড়াতেও। এছাড়াও কাকদ্বীপ, বাগদা থেকে পূর্বস্থলী, ফের আধারের গেরোয় চোখে আঁধার দেখছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। হাঁসনাবাদের বেশ কিছু মানুষের আধার বাতিল হয়ে গিয়েছে। তাঁরা ব্যাঙ্কে গিয়ে সমস্যার মুখে পড়েন। কোনও কাজ করতে পারছেন না।

আধার বাতিল হয়ে যাওয়াওই পরিবারগুলির অভিযোগ, হঠাৎ করেই মঙ্গলবার তাঁদের কাছে বাতিলের চিঠি আসে। বুধবার সকালে এঁদের মধ্যে কয়েকজন ব্যাঙ্কে গিয়ে দেখেন তাঁরা টাকা তুলতে পারছেন না। তাঁদের পরিবারের কয়েকজন তামলিনাড়ুতে কাজ করেন। সেখান থেকে কোনও টাকায় তাঁরা পাঠাতে পারছেন না। ফলে রাতারাতি আধার বাতিল হয়ে যাওয়ার হাঁসনাবাদের ৩৬টি পরিবার অথৈ জলে পড়েছেন তাঁরা কী করবেন বুঝতে পারছেন না। কোচবিহারেও পাঁচজন বাসিন্দার আঁধারকার্ড নিস্ক্রীয় হয়েছে বলে জানা গেছে। এরা প্রত্যেকেই দিনহাটার বাসিন্দা৷ জানা গেছে পাঁচজনের মধ্যে তিনজন দিনহাটা ১ ব্লকের বাসিন্দা বাকি দুজন দিনহাটা ২ ব্লকের বাসিন্দা৷ তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য মুখপাত্র পার্থপ্রতিম রায় দাবি করেন, রাজবংশী সমাজের মানুষদের উপর বেছে বেছে এই ধরনের অন্যায় ও চক্রান্ত করছে কেন্দ্র সরকার। সাধারণ মানুষ যাতে হয়রান হয় তাই এসব চক্রান্ত করা হচ্ছে বলে অভিযোগ। ইতিমধ্যেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আধার বাতিল নিয়ে সরব হয়েছেন। আধার নিয়ে ফেডারেশনও মুখ্যমন্ত্রীর কাছে চিঠি লিখেছে।

