“কোনও জনগোষ্ঠীকে তফসিলি মর্যাদা দেওয়ার অধিকার নেই”! ‘বিতর্কিত নির্দেশ’ বাতিল মনিপুর হাই কোর্টের

প্রায় ১০ মাসেরও বেশি সময় কেটে গেলেও অশান্তি থামছে না মনিপুরে (Manipur)। মণিপুরের মেইতেই জনগোষ্ঠীর সঙ্গে কুকি-সহ কয়েকটি তফসিলি জনজাতি সম্প্রদায়ের সংঘর্ষে এখনও পর্যন্ত কমপক্ষে দু’শো জনের মৃত্যু হয়েছে। ইতিমধ্যে ঘরছাড়ার সংখ্যা প্রায় ৬০ হাজার। এবার মেইতেই জনগোষ্ঠীকে তফসিলি জনজাতির মর্যাদা দেওয়ার বিষয়টি খতিয়ে দেখার নির্দেশ (Directions) যে অনুচ্ছেদে দেওয়া হয়েছিল, তা এবার মুছে দিল মনিপুর হাই কোর্ট (Manipur High Court)। লোকসভা নির্বাচনের (Loksabha Election) আগে আচমকা এমন সিদ্ধান্ত নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। বিরোধীদের দাবি, মনিপুরের জাতিগত হিংসার পিছনে হাই কোর্টের একটি রায় সবকিছু পরিস্থিতি ওলটপালট করে দেয় বলে খবর। পরে সেই পথেই হেঁটে ক্ষতে কিছুটা প্রলেপ লাগানোর চেষ্টা মণিপুরের ডবল ইঞ্জিন সরকারের।

সূত্রের খবর, গত বছরের ২৭ মার্চ হাই কোর্ট নির্দেশ দেয়, মনিপুরের মেতেইদের তফসিলি উপজাতির তালিকাভুক্ত করা যায় কিনা সেই নিয়ে চার সপ্তাহের মধ্যে সিদ্ধান্ত নিতে হবে রাজ্য সরকারকে। আদালতের এই রায়ের পরেই অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে গোটা মনিপুর। মেতেইদের পক্ষে আদালতের রায়ের বিরোধিতায় চরম অশান্ত হয়ে ওঠে কুকিরা। এদিকে কুকি জনজাতি সংগঠনের তরফে গত অক্টোবর মাসেই হাই কোর্টে ওই নির্দেশ পুনর্বিবেচনার আবেদন জানানো হয়েছিল। কিন্তু এতদিন পেরলেও তা নিয়ে কোনও পদক্ষেপ নেয়নি সরকার। কিন্তু আচমকাই লোকসভা ভোট এগিয়ে আসতেই বৃহস্পতিবার সেই আবেদনে সাড়া দিয়ে ‘বিতর্কিত’ অনুচ্ছেদটি বাদ দিল হাই কোর্ট।

এদিন হাই কোর্টের বিচারপতির বেঞ্চ সাফ জানিয়েছে, আইনের ভুল ব্যাখ্যার কারণে ওই নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। আবেদনকারীপক্ষ ভুল ধারণার কারণে আদালতকে এই সংক্রান্ত আইন ব্যাখ্যা করতে পারেনি। এ প্রসঙ্গেই সুপ্রিম কোর্টের একটি রায়ের উদাহরণ দিয়ে তিনি জানান, কোনও জনগোষ্ঠীকে তফসিলি হিসাবে মর্যাদা দেওয়ার অধিকার কোনও আদালতের নেই।

 

 

 

 

Previous articleকৃষক আন্দোলন দমনে নয়া ছক মোদি সরকারের, সমর্থকদের এক্স হ্যান্ডেল ব্লকের নির্দেশ
Next articleআগামিকাল চতুর্থ টেস্টে নামছে টিম ইন্ডিয়া, সিরিজ জয় লক্ষ্য রোহিতদের