সুপ্রিম নির্দেশেই ছাড়পত্র পাচ্ছে না কল্যাণী এইমস, জানালো রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ

শুধু কল্যাণী এমসই নয়, রবিবার একই সঙ্গে ভার্চুয়াল মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী রাজকোট, মঙ্গলাগিরি, ভাটিন্ডা, রায়বরেলী এবং জম্মু এমসেরও উদ্বোধন করবেন বলে খবর।

নয়া বিতর্কে কল্যাণী এইমস (Kalyani AIIMS)। রবিবার হাসপাতালের উদ্বোধন করতে চলেছেন প্রধানমন্ত্রী। কিন্তু দূষণ সংক্রান্ত ছাড়পত্র আছে কি? পরিবেশ সংক্রান্ত ছাড়পত্রের তোয়াক্কা না করেই ঢাক ঢোল পিটিয়ে কল্যাণীর এইমস- এর উদ্বোধন আসল ভোট বৈতরণী পাড় হওয়ার চেষ্টা।এবার বড় অভিযোগ আনল রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ (WBPCB)। কল্যাণী এইমসের নতুন বিল্ডিংয়ের জন্য পরিবেশ সংক্রান্ত কোনও ছাড়পত্র নেয়নি কর্তৃপক্ষ। এ নিয়ে নিজেদের বক্তব্য জানাতে আজ পরিবেশ ভবনে একটি সাংবাদিক বৈঠক ডাকে দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ। সেখানে স্পষ্ট করে জানিয়ে দেওয়া হয় সুপ্রিম কোর্টের অর্ডার মেনেই এখন কোনও EC দেওয়া যাচ্ছে না। যেহেতু ভায়ালেশন ক্যাটাগরিতে আবেদন জমা পড়েছে তাই আইন মেনেই সেখানে এই সংক্রান্ত কোনও ছাড়পত্র আপাতত মিলবে না।

আধা খ্যাচড়া পরিকাঠামো এবং উদ্বোধনের আগেই নিয়োগ সহ একাধিক বিতর্ক তাঁদের প্রত্যাশা পূরণ নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিয়েছে। তার সঙ্গে যুক্ত হল পরিবেশ আইনকে বুড়ো আঙুল দেখানোর বিতর্ক। রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ শনিবার জানায়, ২০ হাজার বর্গমিটারের থেকে বড় কোনও প্রজেক্ট হলে পরিবেশ দূষণ সংক্রান্ত ছাড়পত্র প্রয়োজন হয়। এটা রাজ্য সরকারের গাইডলাইন নয়, একেবারে কেন্দ্র সরকারের নির্দেশ। এইচ এস সি সি ইন্ডিয়া লিমিটেড কল্যাণী এইমস- এর নতুন ভবন তৈরির দায়িত্বে আছে। শুধু এটাই নয়, ভারত সরকারের বড় বড় হাসপাতাল তৈরি করার দায়িত্ব পেয়েছে এই কোম্পানিই। ২০২২ সালের ৬ অক্টোবর এরা রাজ্য পরিবেশ মূল্যায়ন কমিটির কাছে আবেদন করে। এই ধরণের প্রজেক্ট সাধারণত দুটি কমিটি দেখে। একটা স্টেট এক্সপার্ট অ্যাপ্রেসাল কমিটি (State Expert Appraisal Committee) এবং অন্যটা হল স্টেট এনভায়ারমেন্ট ইমপ্যাক্ট অ্যাসেসমেন্ট অথোরিটি (State Environment Impact Assessment Authority)। দুটোই ভারত সরকারের নিয়ন্ত্রণাধীন। ২০২২ সালে যখন আদেবন জমা পড়ে তখনই বেশ কিছুটা কন্সট্রাকশন হয়ে গেছিল। যেটা ভারত সরকারের নির্দেশিত গাইডলাইনের বিরোধী। তাই কোম্পানি ভায়ালেশন ক্যাটাগরিতে অ্যাপ্লাই করে বলে এদিন পর্ষদ জানায়। এই ধরণের কেসে ড্যামেজ কস্ট দেওয়া বাধ্যতামূলক। যেহেতু এটা প্রায় ১ হাজার কোটি টাকার প্রজেক্ট সেক্ষেত্রে প্রায় ৫ কোটি টাকা জরিমানা ধার্য করা হয়। তার সঙ্গে আরও একটি পেনাল্টি হিসেবে প্রায় ১০ কোটি টাকা জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। সব মিলিয়ে ১৫ কোটি ১০ লক্ষ ৭২ হাজার ৫০০ টাকা দিতে বলা হয়। কিন্তু কন্সট্রাকশন কোম্পানি বারবার জানায় যে এটা যেহেতু হেলথ সেক্টর তাই কিছুটা ছাড় দেওয়া যেতে পারে। যদিও পরিস্কার ভাবে জানানো হয় যে EC নেওয়া বাধ্যতামূলক। কিন্তু ফেব্রুয়ারিতে সুপ্রিম কোর্টের স্থগিতাদেশের কারণে আপাতত রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ কাউকেই ইসি দিতে পারছে না। এটা শুধু AIIMS বলে নয় , যারা ভায়ালেশন ক্যাটাগরিতে অ্যাপ্লাই করেছে তাদের কাউকেই দেওয়া যাবেনা। এদিন WBPCB-এর চেয়ারম্যান ডক্টর কল্যাণ রুদ্র জানান এই নিয়ে কোর্টে কেস করা হয়েছে। যদিও দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের বিজ্ঞপ্তিতে কোথাও লেখা হয়নি যে, রবিবার প্রধানমন্ত্রী কল্যাণী এইমসের উদ্বোধন করতে চলেছেন। তবে শুধু কল্যাণী এমসই নয়, রবিবার একই সঙ্গে ভার্চুয়াল মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী রাজকোট, মঙ্গলাগিরি, ভাটিন্ডা, রায়বরেলী এবং জম্মু এমসেরও উদ্বোধন করবেন বলে খবর।

Previous articleসন্দেশখালি নিয়ে ‘উদাসীন’, ভালবাসার মরশুমে যশেই রঙিন বসিরহাটের সাংসদ নুসরত!
Next articleবিতর্কিত ছবি পোস্ট! বিহারে তেজস্বীকে ‘একঘরে’ করতে মাস্টারস্ট্রোক বিজেপির