বিতর্কিত ছবি পোস্ট! বিহারে তেজস্বীকে ‘একঘরে’ করতে মাস্টারস্ট্রোক বিজেপির

দিনকয়েক আগেই পাল্টি খেয়ে গেরুয়া শিবিরে নাম লিখিয়েছিলেন জেডিইউ (JDU) প্রধান নীতীশ কুমার (Nitish Kumar)। আর তারপরই আরজেডিকে (RJD) আলবিদা জানিয়ে মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ ও নিয়েছেন তিনি। আর নীতীশ হাত ছাড়তেই শনির দশা বিহারের প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রী তথা রাষ্ট্রীয় জনতা দল নেতা তেজস্বী যাদবের (Tejaswi Yadav)। এবার লালুপ্রসাদ যাদবের পুত্রর একটি ছবিকে কেন্দ্র করে নয়া অভিযোগ সামনে আনল বিজেপি। আর সেই ছবিকে কেন্দ্র করেই নতুন করে অশান্ত হয়ে উঠল বিহারের রাজনীতি।

তেজস্বীর বিরুদ্ধে ঠিক কী অভিযোগ?

সোশ্যাল মিডিয়ায় তেজস্বীর একটি ছবি ভাইরাল হয়েছে। যেখানে দেখা যাচ্ছে এক ব্যক্তির সৌজন্য বিনিময় করছেন তিনি। আর সেই ছবি নিয়েই এবার একসময়ের সঙ্গীকেই কাঠগড়ায় তুললেন নীতীশ। যে ছবিটি ভাইরাল হয়েছে, দাবি করা হচ্ছে, সেটি তেজস্বীর ‘জন বিশ্বাস যাত্রা’র। বিজেপির অভিযোগ, ছবিতে যে ব্যক্তিকে তেজস্বীর সঙ্গে দেখা যাচ্ছে তিনি একজন শার্পশুটার। নাম মহম্মদ কইফ ওরফে বান্টি। বিজেপির দাবি, আরজেডির প্রাক্তন সাংসদ মহম্মদ শাহবুদ্দিনের খুব কাছের লোক ছিলেন বান্টি। বহু অপরাধের সঙ্গেও জড়িত তিনি। তাঁর বিরুদ্ধে সাংবাদিক রাজদেও রঞ্জনকে খুন-সহ একাধিক অপরাধমূলক অভিযোগও রয়েছে। সিওয়ানের জড়িত ছিলেন বলেও অভিযোগ রয়েছে। যদিও এই ছবির সত্যতা যাচাই করেনি এখন বিশ্ব বাংলা সংবাদ। তবে তেজস্বীর বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ সামনে আসতেই শুরু হয়েছে জোর চর্চা।

এদিন এক্স হ্যান্ডলে তেজস্বী সেই ছবি পোস্ট করে বিজেপি ওবিসি মোর্চার সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক নিখিল আনন্দ লেখেন, “তেজস্বীর নেতৃত্বে আরজেডির এটিই নতুন রূপ। ঠিক যেন পুরনো বোতলে নতুন মদ। আরজেডি বরাবরই বিহারের রাজনীতিতে অপরাধীদের প্রশ্রয় দিয়ে এসেছে। তাদের নেতাদের সঙ্গে অপরাধীদের দীর্ঘ দিনের যোগসূত্র রয়েছে।” তবে এই বিষয়ে এখনও তেজস্বীর কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। কিন্তু বিরোধীদের অভিযোগ, লালুপুত্রকে বিহারের রাজনীতিতে একেবারে কোনঠাসা করতে এটা বিজেপির নয়া চাল। লোকসভা ভোটে যাতে বিহারে গেরুয়া দাপট বজায় থাকে সেই উদ্দেশে এই মাস্টারপ্ল্যান কী না তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। তবে যে তেজস্বী তাঁর পুত্রসম ছিলেন, শুধু তাই নয় ছিলেন উপ মুখ্যমন্ত্রীও। আর শিবির বদলে গেরুয়া বাহিনীর হাত শক্ত করেই পাল্টা চাল দিলেন নীতীশ। কারণ নীতীশ ও খুব ভালোভাবে জানেন বিহারের রাজনীতিতে তেজস্বীর গুরুত্ব। আর তারপরই এমন পদক্ষেপ নীতীশের? উঠেছে প্রশ্ন।

Previous articleসুপ্রিম নির্দেশেই ছাড়পত্র পাচ্ছে না কল্যাণী এইমস, জানালো রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ
Next articleসংঘাত সরিয়ে সমঝোতায় সমাধান! আপ-কংগ্রেসের আসন রফা ‘পাকা’