শঙ্কর-হলধরের বাড়িতে হামলা! সোমবার ফের অশান্ত সন্দেশখালি, বিক্ষোভকারীদের সর্তক করল পুলিশ    

রবিবারই তাঁর হাতে দায়িত্ব তুলে দিয়েছিল দল। তার কিছু সময় কাটতে না কাটতেই ফের সন্দেশখালির (Sandeskhali) বেড়মজুরে নতুন করে ছড়িয়ে পড়ল অশান্তি। এবার হলধর আড়ির বাড়ি সংলগ্ন খড়ের গাদায় আগুন লাগানোর অভিযোগ। তৃণমূল (TMC) নেতার পরিবারের দাবি, বিরোধীরা ইচ্ছে করেই এমন ঘৃণ্য কাজ করেছে। সূত্রের খবর ধৃত অজিত মাইতির বাড়ির কাছেই হলধরের বাড়ি। অজিত মাইতিকে অঞ্চল সভাপতির পদ থেকে রবিবার সরিয়ে নয়া দায়িত্ব হলধরের হাতে যেতেই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে পরিস্থিতি। এরপর সোমবার সকালে তাঁর বাড়িতেই হামলা চালানোর পাশাপাশি বাড়ি সংলগ্ন খড়ের গাদায় আগুন লাগিয়ে দেওয়ার অভিযোগ সামনে এল। হলধর আড়িকে বেড়মজুর (Bermajur) ১ নম্বর অঞ্চলে আহ্বায়ক পদে নিযুক্ত করেছে তৃণমূল কংগ্রেস।

সোমবার সকাল থেকে দফায় দফায় অশান্ত হয়ে ওঠে সন্দেশখালির বেড়মজুর। তবে পুলিশের চেষ্টায় বর্তমানে নিয়ন্ত্রণে রয়েছে পরিস্থিতি। এদিকে হলধরের বাড়িতে আক্রমণ প্রসঙ্গে তিনি সাফ জানান, গ্রামবাসীদের জমি কেড়ে নেওয়া-সহ নানারকম অত্যাচার করেছেন শেখ সিরাজউদ্দিন, অজিত মাইতিরা। রবিবার দল দায়িত্ব দেওয়ার পরই আমার উপর নেমে আসে আক্রমণ। ইতিমধ্যে অশান্তি এড়াতে তাঁর বাড়ির সামনে বসানো হয়েছে পুলিশ পিকেট। পাশাপাশি এদিন সন্দেশখালিতে বিক্ষোভের মুখে পড়েন পঞ্চায়েত সদস্য শঙ্কর সর্দার। পাশাপাশি এদিন বেলার দিকে বেড়মজুরের নেতার বাড়িতেও চলে ভাঙচুর। এরপরই খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে বিশাল পুলিশ বাহিনী। পরে পুলিশ আধিকারিকরা পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে গেলে তাঁদের উপর চড়াও হয় বিক্ষোভকারীরা। পুলিশের তরফে বার বার সতর্ক করা হয়, আইন নিজের হাতে তুলে নেওয়া যাবে না। কিন্তু বিক্ষোভকারীরা সেদিকে কর্ণপাত করেনি বলে অভিযোগ।

তবে সন্দেশখালির অজিতকে ঘিরে বিস্তর জলঘোলা পরিস্থিতির মধ্যে রাজ্যের মন্ত্রী পার্থ ভৌমিক রবিবার জানিয়েছিলেন, অজিতকে যে এলাকা দেখভাল করতে বলা হয়েছিল, সেখানে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে হলধর ও শক্তিপদ রাউতকে। তাঁদের যুগ্ম কনভেনর করা হয়েছে। তারপরেই সোমবার হলধর ও শঙ্করের বাড়িতে হামলার ঘটনা ঘটল। তবে সময় যত গড়াচ্ছে পুলিশ বারবার সবরকম চেষ্টা করলেও বিরোধীদের লাগাতার উস্কানিতে অশান্ত হয়ে উঠছে সন্দেশখালি। ইতিমধ্যে সবরকম প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া সত্ত্বেও গাজোয়ারি করে গ্রামে ঢুকে গ্রামবাসীদের বিভ্রান্ত করার পাশাপাশি তাঁদের জোর করে হামলার নেপথ্যে বিরোধীদের প্ররোচনাকেই কাঠগড়ায় তুলছে রাজনৈতিক মহল।

 

 

 

 

Previous articleআশঙ্কা ছিলই, খট্টরের কাছে নিরাপত্তারও দাবি জানান রাঠি! নেতার মৃত্যুতে বাড়ছে রহস্য
Next articleফের পিছলো শাহজাহানের আগাম জামিনের শুনানি