আদালতের স্থগিতাদেশকে হাতিয়ার করেই অশান্তি বিজেপির! নির্দেশনামা পোস্ট করে বক্তব্যের মোক্ষম প্রমাণ অভিষেকের

আদালতের স্থগিতাদেশকে হাতিয়ার করেই সন্দেশখালিতে অশাস্তি করে বিজেপি। সুযোগের সদব্যবহার করে একশ্রেণির সংবাদমাধ্যম। হাত-পা বাঁধা ছিল রাজ্যে পুলিশের। সোমবার হাই কোর্টের নির্দেশের পর আদালতের নির্দেশনামা পোস্ট করে নিজের বক্তব্যের মোক্ষণ প্রমাণ দিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Bandyopadhyay)। তিনি যে মন্তব্য করেছিলেন, তা যে সঠিক-মঙ্গলবার নিজের এক্স হ্যান্ডেলে সেটা পোস্ট করে প্রমাণ করে দিলেন অভিষেক।

এদিন সকালে নিজের এক্স হ্যান্ডলে কলকাতা হাই কোর্টের নির্দেশনামা পোস্ট করে অভিষেক লেখেন,
“ওই স্থগিতাদেশেরই সম্পূর্ণ সদ্ব্যবহার করেছে বিজেপি এবং বাংলা-বিরোধী কিছু গণমাধ্যম! ক্রমানুযায়ী, ৭ তারিখ স্থগিতাদেশ দেওয়া হয়েছিল। তার পরের দিন ৮ তারিখ থেকে হিংসা এবং বিক্ষোভ শুরু হয়কলকাতা হাই কোর্টর গতকালের নির্দেশে আমি নিশ্চিত শীঘ্রই ন্যায়বিচারের হবে“

আরও পড়ুন: সন্দেশখালি ইস্যুতে অবশেষে নীরবতা ভাঙলেন নুসরত! ইডি দফতরে শাহজাহান ঘনিষ্ঠ চিংড়ি ব্যবসায়ী

৮ ফেব্রুয়ারি থেকেই সন্দেশখালিতে শাহজাহান শেখ ও তাঁর অনুগামীদের গ্রেফতারির দাবিতে পথে নেমেছিলেন সন্দেশখালির মানুষ। এর পরেই ক্রমে এলাকায় উত্তেজনা ছড়ায়। উস্কানি দেয় বিরোধীরা। ৭ তারিখই রাজ্যে পুলিশের তদন্তে স্থগিতাদেশ দেয় আদালত। এর সুযোগ নেয় বিজেপি আর এক শ্রেণির বাংলা-বিরোধীমিডিয়া।

দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি নিয়েছে তৃণমূল। আদালত হাত-পা বেঁধে না দিলে রাজ্য পুলিশে শেখ শাজাহানকে গ্রেফতার করতে পারে। বুধবার রাতে সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছেন তৃণমূলের (TMC) সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। রাজ্য পুলিশের সীমা আদালতই বেঁধে দিয়েছে বলেই মত ছিল তাঁর। রবিবার, মহেশতলায় প্রকল্পের উদ্বোধনের পরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে অভিষেক অভিযোগ করেন, “শাহজাহানকে কেউ যদি গার্ড করে থাকে তাহলে তা বিচার ব্যবস্থা। হাই কোর্ট হাত-পা বেঁধে দিলে পুলিশ কী করবে?” তাঁর কথায়, “সারদাকর্তা সুদীপ্ত সেনকে কাশ্মীর থেকে গ্রেফতার করে এনেছিল এই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পুলিশ। পার্থ চট্টোপাধ্যায়, জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের বিরুদ্ধেও দল ব্যবস্থা নিয়েছে। তা হলে শাহজাহানকে গ্রেফতার না করার কী আছে?” কিন্তু শাহজাহানের ক্ষেত্রে বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে আদালতের নির্দেশ।

সোমবার, সন্দেশখালি মামলায় শেখ শাহজাহানকে পার্টি করে হাই কোর্টে জানায়, তাঁকে গ্রেফতারের আর কোনও বাধা নেই। কিছু সংবাদমাধ্যম ও বিজেপি আদালতের এই রায়ের অপব্যাখ্যা করে উল্টো প্রচারে নামে। এর মোক্ষম জবাব দিয়েছেন অভিষেক (Abhishek Bandyopadhyay)। এদিন, আদালতের নির্দেশনামা পোস্ট করে তিনি প্রমাণ করেন, যেটা বলেছিলেন সেটাই সঠিক। ৭ ফেব্রুয়ারির ওই নির্দেশনামায় স্বাক্ষর রয়েছে স্বয়ং কলকাতা হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতির। তাতে দেখা যাচ্ছে, নির্দেশনামাটি গত ১৭ জানুয়ারি হাই কোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চের একটি নির্দেশের বিরুদ্ধে ইডি দু’টি আবেদন সংক্রান্ত। ছবিতে একটি অংশ হাইলাইট করে দেওয়া হয়েছে। সেখানে স্পষ্ট, ইডির আবেদন সংক্রান্ত মামলায় রাজ্য পুলিশকে কোনও রকম পদক্ষেপ এবং তদন্ত না করার নির্দেশ দিয়েছে আদালত। অর্থাৎ পুলিশের তদন্তে স্থগিতাদেশের যে অভিযোগ তৃণমূলের (TMC) সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক করেছেন তা নির্ভুল।



Previous articleবীরভূমে উদ্ধার তাজা বোমা, আগ্নেয়াস্ত্রসহ গ্রেফতার ১
Next articleঅখিলেশের পথে ‘কাঁটা’, রাজ্যসভার ভোটাভুটির আগে পদ ছাড়লেন দলের মুখ্যসচেতক