ঘরের মাঠে দুরন্ত জয় বাগানের, জামশেদপুরকে হারাল ৩-০ গোলে

ম্যাচে এদিন প্রথম থেকে আক্রমণে ঝাঁপায় বাড়ায় সবুজ-মেরুন। যার ফলে ম্যাচের ৭ মিনিটের মাথায় ১-০ গোলে এগিয়ে যায় সবুজ-মেরুন।

ছবি : দেবস্মিত মুখোপাধ্যায়

ঘরের মাঠ যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে দুরন্ত জয় মোহনবাগান সুপার জায়ান্টের। এদিন জামশেদপুর এফসিকে হারালো ৩-০ গোলে। মোহনবাগানের হয়ে গোল তিনটি করেন পেত্রাতোস, জেসন ক্যামিন্স এবং সাদিকুর। এই জয়ের ফলে ১৬ ম্যাচে ৩৩ পয়েন্ট নিয়ে লিগ টেবিলে দ্বিতীয় স্থানে হাবাসের দল।

ম্যাচে এদিন প্রথম থেকে আক্রমণে ঝাঁপায় বাড়ায় সবুজ-মেরুন। যার ফলে ম্যাচের ৭ মিনিটের মাথায় ১-০ গোলে এগিয়ে যায় সবুজ-মেরুন। বাগানকে গোল করে এগিয়ে দেন পেত্রাতোস। জনি কাউকো জামশেদপুরের ডিফেন্সকে ভেঙে বল নিয়ে উপরে ওঠেন। গোলের সামনে দাঁড়িয়ে থাকা মনবীর সিং-কে তিনি পাস বাড়ান। মনবীর আবার কাটব্যাক দিয়ে পেত্রাতোসকে বল বাড়ান। অস্ট্রেলিয়ান তারকা বল পেয়ে তা সোজা গোলে শট নেয়। এবং তিনি কোনও ভুল করেননি। পেত্রাতোসের জোরালো শটে ১-০ এগিয়ে যায় মোহনবাগান। এরপর পাল্টা আক্রমণ চালায় জামশেদপুর এফসি। তবে পাল্টা আক্রমণ করতে ভোলেনি হাবাসের দল। এর পর আক্রমণে গেলেও গোলের ব্যাবধান বাড়াতে পারেনি মোহনবাগান। প্রথমার্ধে ১-০ গোলে এগিয়ে থাকে মোহনবাগান।

ম্যাচের দ্বিতীয়ার্ধেও চলে মোহনবাগেনের আক্রমণ। যার ফলে ম্যাচের ৬৮ মিনিটে ২-০ গোলে এগিয়ে যায় সবুজ-মেরুন। বাগানকে গোল করে এগিয়ে দেন জেসন ক্যামিন্স। কাউকোই প্রথম নিয়ে আক্রমণে ওঠেন। তিনি মনবীরকে পাস বাড়ান। মনবীর ওপেনিংয়ের জন্য কামিন্সের কাছে বল বাড়ান। কামিন্স বক্সের ভিতরে দুর্দান্ত রান করেন। রেহেনেশ তাঁর জায়গা ছেড়ে বেরিয়ে এলে কামিন্সের জন্য চ্যালেঞ্জ কঠিন হয়ে যায়। তবে তিনি জালে বল জড়াতে আর ভুল করেননি। এরপর ম্যাচের ৭০ মিনিটে জোড়া পরিবর্তন করে মোহনবাগান। কোলাসো এবং কাউকোকে তুলে নিয়ে আশিস এবং সাদিকুকে নামান হাবাস । আর মাঠে নেমেই গোল করেন সাদিকু। ম্যাচের ৮০ মিনিটে মোহনবাগানের হয়ে ৩-০ করে ফেললেন সাদিকু।এরপর আক্রমণে গেলেও গোলের ব্যবধান বাড়াতে পারেনি সবুজ-মেরুন।

আরও পড়ুন- এবার ঈশান-শ্রেয়সকে নিয়ে মুখ খুললেন কপিল দেব

Previous articleবাড়ল চুক্তিভিত্তিক কর্মীদের বেতন, নির্দেশিকা জারি অর্থ দফতরের
Next articleসিইএসসি ইউনিয়ন নির্বাচনে ঐতিহাসিক জয় পেল INTTUC