কীভাবে দু.র্ঘটনা? জামতাড়ার মৃ.ত্যু নিয়ে নোং.রা রাজনীতি কেন্দ্রের

বুধবার রাতে বিহারের জামতাড়া কাঁসিটার হল্ট স্টেশনের দুর্ঘটনার ক্ষত এখনও দগদগে। এখনও রেল লাইনের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে অসংখ্য মৃতদেহ। এমন আবহে ফের নোংরা রাজনীতির খেলা শুরু কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের। কত মানুষের প্রাণ গেল না গেল সেদিকে একবারও না তাকিয়েই গাজোয়ারি করে মৃতের সংখ্যা ঘোষণা করে দিল। কিন্তু যেখানে বৃহস্পতিবারও বহু মানুষের দেহ এখনও উদ্ধার সম্ভব হয়নি তার আগেই নিজেদের দোষ ঢাকতে একেবারে আসরে নেমে পড়ল কেন্দ্র। স্বাভাবিক ভাবেই এমন ঘটনার পর বিরোধীদের আক্রমণের মুখে পড়তে হচ্ছে মোদির রেলকে। বৃহস্পতিবার সেখানে দেশ তথা রাজ্যের সমস্ত সংবাদমাধ্যমে যেখানে মৃতের সংখ্যা কমপক্ষে ১৫ সেখানে রেল কীভাবে বড় গলায় দাবি করল যে মৃতের সংখ্যা মাত্র ২? বিহারের জামুই এলাকার বাসিন্দা দুই পরিযায়ী শ্রমিক সুচিন্দ্র কুমার যাদব ও ঠাকুরী মাঝির নাম জড়িয়ে সবকিছু ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা? নাকি সামনে লোকসভা ভোট বলে মৃতদেহ নিয়ে রাজনীতি এই প্রশ্ন মাথাচাড়া দিচ্ছে। এছাড়াও বিহারে সবেমাত্র রাজনীতিতে পালাবদল হয়েছে। বিজেপির হাত ধরে নীতি আদর্শ জলাঞ্জলি দিয়ে ফের মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নিয়েছেন নীতীশ কুমার। আর সেকারণেই প্রথম থেকে নিজেদের দোষ ঢাকতে মরিয়া চেষ্টা বিজেপির।

ট্রেনে আগুনের গুজব আর তা থেকে আতঙ্কের জেরে দুর্ঘটনা ঘটেছে জামতাড়ার বিদ্যাসাগর স্টেশন সংলগ্ন এলাকায়। আসানসোল-ঝাঁঝাগামী EMU প্যাসেঞ্জার ট্রেনে কাটা পড়েন যশবন্তপুরগামী অঙ্গ এক্সপ্রেসের একাধিক যাত্রী। ঘটনার তদন্তে ৩ সদস্যের বিভাগীয় কমিটি গঠন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন আসানসোল রেল ডিভিশনের ডিআরএম চেতনানন্দ সিং। বৃহস্পতিবার সকালে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন ডিআরএম। কথা বলেন স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শীদের সঙ্গে।

এরপর ডিআরএম জানান, ১২২৫৪ ভাগলপুর-জামেসেদপুর এক্সপ্রেস কেন দাঁড়িয়ে পড়েছিল, তার তদন্ত শুরু হবে। একইভাবে আসানসোল-ঝাঁঝা ইএমইউ প্যাসেঞ্জার লোকো চালক কেন ট্র্যাকের উপর লোকজন দেখতে পাননি, তার খোঁজখবর নেওয়া হবে। অঙ্গ এক্সপ্রেসের যাত্রীদের সঙ্গে কথা বলে ঘটনার সাক্ষীদের সঙ্গেও কথা বলা হবে। আমরা যা খবর পেয়েছি এখনও পর্যন্ত দূর্ঘটনায় ২ জনের প্রাণ গিয়েছে। তাঁদের পরিবারের পাশে আছে রেল।

ঘটনা ঠিক কী ঘটেছিল?

বিদ্যাসাগর রেল স্টেশনের কাছে কালাঝরিয়ায়তে লাইনের ধারে প্রচুর স্টোন চিপস জমা করা হয়েছিল বুধবার। যখন অঙ্গ এক্সপ্রেস ওই জায়গাটি পার করেছিল, তখন স্টোন চিপস ট্রেনের চাকায় ধাক্কা খেয়ে বগির নিচে ছিটকে পড়ে, ভয়ংকর আওয়াজ হতে থাকে। স্টোন চিপসের সঙ্গে থাকা ডাস্ট উড়তে থাকে। এমন সময় অনেকের অভিযোগ ট্রেনে আগুন লেগে যায়। আর তার জেরেই যাত্রীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। প্রাণভয়ে এদিকে ওদিকে দৌড়তে শুরু করেন যাত্রীরা।

ঠিক এই সময় আপ লাইনে আসানসোল-ঝাঁঝা প্যাসেঞ্জার চলে আসে। যাত্রীরা নিজেদের মতো ছোটাছুটি শুরু করেন। কেউ বা ট্রেনে উঠে যান কেউ বা রেললাইনের ধারে দাঁড়িয়ে পড়েন। ট্রেন চলে যাবার পর দেখা যায়, লাইনে পড়ে অনেকের মৃত্যু হয়েছে। অনেকে আহত হয়েছেন। এর পর যাত্রীরা নিজেরাই টর্চ নিয়ে লাইন ধরে খোঁজাখুঁজি করতে থাকেন।

আরও পড়ুন- দলত্যাগ বিরোধী আইনে বিধায়ক পদ খারিজ! হাইকোর্টের দ্বারস্থ হিমাচলের ৬ বিদ্রোহী কংগ্রেস বিধায়ক

Previous articleদলত্যাগ বিরোধী আইনে বিধায়ক পদ খারিজ! হাইকোর্টের দ্বারস্থ হিমাচলের ৬ বিদ্রোহী কংগ্রেস বিধায়ক
Next articleগাজায় ফের হামলা ইজরায়েলের! সাহায্য কেন্দ্রে চলল এলোপাথাড়ি গুলি, বাড়ছে মৃতের সংখ্যা