সিসিটিভি ফুটেজ ও ফরেনসিক নমুনা থেকে বেঙ্গালুরু পুলিশ রামেশ্বরম ক্যাফেতে (Rameswaram Cafe) বিষ্ফোরণের অনেকটা জট ছাড়িয়ে ফেলেছে। কম ক্ষমতা সম্পন্ন বিষ্ফোরকের কারণে যে ঘটনা শুক্রবার ঘটেছে তা কোনও টাইমার বোমার সাহায্যে হতে পারে বলেই পুলিশের প্রাথমিক তদন্তে উঠে এসেছে। কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া (Siddaramaih) ইতিমধ্যেই আহতদের সবরকম চিকিৎসার খরচ সরকারের পক্ষ থেকে বহন করার কথা ঘোষণা করেছেন। পাশাপাশি শনিবার ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যান তিনি।


শুক্রবার দুপুরে আচমকাই বিষ্ফোরণে কেঁপে ওঠে বেঙ্গালুরুর হোয়াইটফিল্ড (Whitefield) এলাকার প্রসিদ্ধ রামেশ্বরম ক্যাফে। তবে ঘটনায় কারও মৃত্যু হয়নি। ক্যাফের কর্মী ও গ্রাহক সহ মোট ১০ জন গুরুতর জখম হয়ে বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এরপরই পুলিশের কয়েকটি দল বিভিন্ন দিক খতিয়ে দেখে বিষ্ফোরণের তদন্তে নামে। দ্রুত শুরু হয় ফরেনসিক নমুনা সংগ্রহের কাজ। আইইডি (IED) বিষ্ফোরক প্রয়োগের তত্ত্ব না উড়িয়ে দিয়ে পুলিশ দাবি করে ঘটনাস্থলে হালকা মানের বিষ্ফোরক ব্যবহার করা হয়েছিল। এরপরই সিসিটিভি ফুটেজে এক মুখে মাস্ক ও টুপি পরা যুবককে একটি ব্যাগ ওই রেস্তোঁরায় ছেড়ে যেতে দেখা যায়। পুলিশের তদন্তে উঠে আসে ওই ব্যাগেই বিষ্ফোরক রাখা ছিল।


টেকসিটি পুলিশের তদন্ত অনুসারে মাস্কে মুখ ঢাকা ওই যুবক গ্রাহক হিসাবেই ক্যাফেতে আসে। ব্যাগটি রেখে সে একটি বাসে করে চলে যায়। তার প্রায় ঘণ্টাখানেক পরে ওই ব্যাগে রাখা বোমা বিষ্ফোরণ হয়। মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়ার দাবি পুলিশ ওই যুবকের খোঁজ শুরু করেছে। খুব দ্রুত তাঁকে গ্রেফতার করা হবে। তবে কোনও জঙ্গি সংগঠন এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত বলে স্বীকারোক্তি দেয়নি বলেও জানান মুখ্যমন্ত্রী। সেই সঙ্গে কর্ণাটকের উপমুখ্যমন্ত্রী শিবকুমার (DK Shivkumar) টেকসিটির বাসিন্দাদের নিরাপত্তার বিষয়ে নিশ্চিন্ত করেন।












