Monday, November 3, 2025

নির্দিষ্ট সময়সীমা বেঁধে দিয়ে মালদ্বীপ থেকে ভারতীয় সেনাকে সরে যাওয়ার ‘আর্জি’ জানিয়েছিল সে দেশের ‘চিনপন্থী’ সরকার। সামরিক ক্ষেত্রে মালদ্বীপকে নিঃশর্তে সহযোগিতা করবে চিন। দ্বিপাক্ষিক বোঝাপড়াকে আরও ‘জোরদার’ করার লক্ষ্যে সোমবারই মহম্মদ মুইজ্জুর সরকারের সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষর হয়েছে। সম্প্রতি,এই আবহেই এ বার সামরিক ক্ষেত্রে চিন-মলদ্বীপ আরও কাছাকাছি আসার ইঙ্গিত দিল। কূটনৈতিক শিবিরের একাংশের অনুমান, বিগত কয়েক বছর ধরে নয়াদিল্লি যে সামরিক সহযোগিতার হাত মালদ্বীপের দিকে বাড়িয়ে দিয়েছিল, এ বার তার বিকল্প হিসাবে চিনকে অগ্রাধিকার দিচ্ছে মহম্মদ মুইজ্জুর সরকার।

চিনের আন্তর্জাতিক সামরিক বোঝাপড়া সংক্রান্ত বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত সেনা আধিকারিক তথা মেজর জেনারেল জিয়াং বাওকুনের সঙ্গে বৈঠক করেন মালদ্বীপের প্রতিরক্ষামন্ত্রী মহম্মদ ঘাসান মামুন।এরপরই সামরিক বোঝাপড়া নিয়ে দুই দেশের মধ্যে চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। চুক্তি অনুযায়ী স্থির হয়, নিঃশর্তে মালদ্বীপকে সামরিক ক্ষেত্রে সহযোগিতা করবে চিন। পরে এই চুক্তির বিষয়ে নিজেদের এক্স হ্যান্ডলে একটি পোস্ট করে মালদ্বীপের প্রতিরক্ষা মন্ত্রক। যদিও এই বিষয়ে দুই পক্ষই মুখে কুলুপ এঁটেছে।জানা গিয়েছ, মালদ্বীপকে ১২টি ‘পরিবেশবান্ধব’ অ্যাম্বুল্যান্স উপহার দিয়েছে চিন। সব মিলিয়ে চিন-মলদ্বীপ ঘনিষ্ঠতা যে ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে, তা স্পষ্ট। ক্ষমতায় আসার পরেই মালদ্বীপ থেকে ভারতীয় সেনা সরানোর জন্য সরকারি ভাবে দিল্লিকে আর্জি জানিয়েছিল মুইজ্জু সরকার। ২ ফেব্রুয়ারি নয়াদিল্লিতে মালদ্বীপ প্রশাসনের শীর্ষকর্তাদের সঙ্গে একটি বৈঠক হয় কেন্দ্রের।

ভারত-মলদ্বীপ টানাপড়েনের মধ্যেই চিন সফরে গিয়েছেন মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট মহম্মদ মুইজ্জু। সেখানে গিয়ে চিনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংকে প্রশংসায় ভরিয়ে দিয়ে মুইজ্জু বলেছেন, মালদ্বীপের উন্নয়নে চিনের ভূমিকাই বেশি। চিনই মালদ্বীপের সবচেয়ে কাছের বন্ধু। চিনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে আলোচনায় মুইজ্জু আরও বলেন, চিনই হল সবচেয়ে পুরনো বন্ধু ও ঘনিষ্ঠতম সহযোগী।

কূটনৈতিক শিবিরের বক্তব্য, ভারতকে অবমাননা করার পিছনে বেজিংয়ের অদৃশ্য রিমোট কাজ করেছে। ভারতের থেকে অনেক পরে মালদ্বীপের সঙ্গে পাকাপোক্ত সম্পর্ক তৈরির কাজ শুরু করেছিল বেজিং। ২০১১ সালে সে দেশে দূতাবাস খোলে চিন। কিন্তু এর মধ্যেই দ্বীপরাষ্ট্রটিকে কার্যত হাতের মুঠোয় নিয়ে নিয়েছে শি জিন পিংয়ের সরকার। সহজ সুদে ঋণ দিয়ে সেখানে একের পর এক রাস্তা ও বন্দর তৈরি করিয়েছে চিন। মলদ্বীপের বিমানবন্দর ঢেলে সাজিয়েছে।

 

Related articles

ঝুলনকে নিয়েই সাফল্যের উদযাপন স্মৃতিদের, বাঙালির গর্ব বিশ্বকাপজয়ী রিচা

পঙ্কজ রায় থেকে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় বা ঝুলন গোস্বামী, ক্রিকেট বিশ্বের দরবারে বাংলার মুখ অনেকেই। কিন্তু সৌরভ-ঝুলনদের পাশে ছিল...

মায়ানগরীতেই স্বপ্নপূরণ, এক নজরে ব্যাটে বলে ধামাকাদার ম্যাচের স্কোর বোর্ড

মুম্বইকে বলা হয় মায়ানগরী। কত স্বপ্ন এখানে সফল হয়। এই মুম্বইয়ের ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে ২০১১ সালে ২ এপ্রিল ওয়ানডে...

ক্রিকেটে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ভারতের মেয়েরা: শুভেচ্ছা প্রধানমন্ত্রী, মুখ্যমন্ত্রীর ও ক্রীড়ামন্ত্রীর

রবিবারের মধ্যরাতে রচিত হল নতুন ইতিহাস। প্রথমবার বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ভারতের মহিলা ক্রিকেট ব্রিগেড। ইতিহাস রচনা হওয়ার রাতে ভারতীয়...

দীপ্তি-শেফালিদের হাত ধরেই বিশ্ব জয়ের তৃপ্তি, ইতিহাস সৃষ্টি হরমনপ্রীতদের

বিশ্বসেরা ভারত(India)। মহিলাদের একদিনের বিশ্বকাপে দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন টিম ইন্ডিয়া। মুম্বই ইতিহাস সৃষ্টি ভারতীয় মহিলা দলের। প্রোটিয়াদের ...
Exit mobile version