জনগণের গর্জন,বাংলা বিরোধীদের বিসর্জন: ব্রিগেডে ভিডিও প্রকাশ করে তোপ তৃণমূলের

বিজেপি নেতাদের বক্তব্য তুলে ধরে 'বহিরাগত'দের কটাক্ষ করা হয়েছে। কখনও দিল্লিতে অভিষেকের আন্দোলন, আবার কখনও রেড রোডে মমতা বন্দোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) ধর্নার ঝলক দেখা গেছে ভিডিওতে। দুজনেই দৃপ্ত কণ্ঠে 'স্বৈরাচারী' সরকার উৎখাতের ডাক দিয়েছেন।

বাংলার গর্জন শুনলো ব্রিগেড, হুংকার পৌঁছল দিল্লিতে। রবিবাসরীয় দুপুরে তৃণমূলের ‘জনগর্জন সভা’য় (Janogarjon Sabha)দিল্লি বধের ডাকে সামিল ছোট থেকে বড় প্রত্যেকেই। আর সেখানেই তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee) প্রকাশ্যে আনলেন কেন্দ্রীয় বঞ্চনার দলিল। ১০ মিনিটের ভিডিও দেখানো হল জায়েন্ট স্ক্রিনে। ১০০ দিনের টাকা না পাওয়া, আবাসের ঘর না পাওয়া, দিন আনা দিন খাওয়া মানুষের কষ্টের কাহিনী চোখ ভেজালো ব্রিগেডের জনতার। সঙ্গে উঠে এল খবরের ঝলক, যেখানে এতদিন ধরে বাংলাকে যেভাবে বঞ্চনা করেছে গেরুয়া সরকার, তার প্রমাণ মিলেছে। সংবাদমাধ্যমের ক্লিপিংস তুলে ধরে ‘জমিদার’দের বিরুদ্ধে তোপ দেগেছে তৃণমূল কংগ্রেস (TMC)। বিদ্যাসাগরের মূর্তি ভাঙা থেকে সারদা মায়ের ছবি নিয়ে কুৎসা, রবীন্দ্রনাথ – স্বামী বিবেকানন্দের বিষয়ে ভুল তথ্য দেওয়া বিজেপি নেতাদের বক্তব্য তুলে ধরে ‘বহিরাগত’দের কটাক্ষ করা হয়েছে। কখনও দিল্লিতে অভিষেকের আন্দোলন, আবার কখনও রেড রোডে মমতা বন্দোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) ধর্নার ঝলক দেখা গেছে ভিডিওতে। দুজনেই দৃপ্ত কণ্ঠে ‘স্বৈরাচারী’ সরকার উৎখাতের ডাক দিয়েছেন।

এদিন ব্রিগেডে বড় চমক দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সভা মঞ্চ থেকেই ঘোষিত হল লোকসভা নির্বাচনের ৪২ জন প্রার্থীর নাম। তালিকা পড়লেন অভিষেক, প্রার্থীদের নিয়ে র‍্যাম্পে হাঁটলেন স্বয়ং সুপ্রিমো। তালিকা ঘোষণায় এই অভিনবত্ব নজর কেড়েছে। দলীয় কার্যালয়ে বসে প্রার্থীতালিকা ঘোষণা করার দস্তুর বদলে গেল এই বছর, চমকে দিল তৃণমূল। কেন্দ্রীয় প্রকল্পে বঞ্চনার অভিযোগে ‘জনগর্জন’ সভায় এদিন শুরু থেকেই বিজেপিকে আক্রমণ করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সাম্প্রদায়িকতা ইস্যুতে কটাক্ষ করেন মোদি সরকারকে। ব্রিগেডে তৃণমূলের (Brigade Rally)’জনগর্জন সভা’ (Jana garjana sabha)। থেকে বিজেপিকে চাঁচাছোলা নিশানা করলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। পদ্ম নেতাদের ফের ‘বহিরাগত’ বলে তোপ দাগেন তিনি। বলেন, ‘কেউ বলছে, তৃণমূল একে একে ছেড়ে চলে যাচ্ছে, কদিন পর তৃণমূল দলটাই থাকবে না। আমরা ঠিক করেছিলাম, এদের কাছে টাকা-পয়সা আছে, ইলেকশন কমিশন আছে, ইডি-সিবিআই আছে। তৃণমূলের কাছে মানুষ আছে। একটা প্রতিযোগিতা হোক। আগামীর রায় বাংলা-বিরোধীরা বিদায়।’ এক কথায়, মোদি কি গ্যারান্টি = জিরো ওয়ারেন্টি। চোর চুরি করে জেলে যেত, এখন চোর চুরি করে বিজেপিতে যায়, এটাই মোদির গ্যারান্টি বলেও কটাক্ষ করেন তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক।


Previous articleএপ্রিলে কেন্দ্র না দিলে ১ মে থেকে আবাসের টাকাও দেবে রাজ্য, ব্রিগেডে ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর
Next articleআম্বানিদের অনুষ্ঠানে বহুমূল্য লকেট হারিয়েছেন জুকারবার্গ ঘরনী!