লোকসভা নির্বাচন এগিয়ে এলেই বিরোধী রাজনৈতিক দলের বিরুদ্ধে কেন্দ্রীয় এজেন্সি দিয়ে হেনস্থা বেড়ে যায় বিজেপির। সোমবার, এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের তরফে একটি পোস্টে জানানো হয়, দিল্লির আঞ্চলিক দফতর তৃণমূলের ১০.২৯ কোটি টাকা বাজেয়াপ্ত করেছে। এই বিষয়ে জিজ্ঞাসা করা হলে তৃণমূল (TMC) নেতা কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh) তীব্র কটাক্ষ করে বলেন, মিঠুন চক্রবর্তী (Mithun Chakraborty) অ্যালকেমিস্টের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর ছিলেন। বিষয়টি তিনিই ভালো বলতে পারবেন।

এদিন বিকেলে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা নিজেদের এক্স হ্যান্ডেলে (X Handle) লেখে, তৃণমূল কংগ্রেসের ১০.২৯ কোটি টাকা বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। অ্যালকেমিস্ট গ্রুপের বিরুদ্ধে আর্থিক লেনদেনের অভিযোগ নিয়ে তদন্তের সূত্রেই ডিমান্ড ড্রাফ্টের মাধ্যমে লেনদেন হওয়া টাকা আপাতত বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।

এর প্রেক্ষিতে কুণালকে (Kunal Ghosh) প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, অ্যালকেমিস্ট গ্রুপের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর ছিলেন অভিনেতা তথা বিজেপি নেতা মিঠুন চক্রবর্তী। এই বিষয়ে কাকে কী টাকা দেওয়া হয়েছে, সেটা তিনি ভালো বলতে পারবেন। তদন্তকারী সংস্থার উচিৎ এই বিষয়ে বিজেপি নেতা মিঠুনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা।

আলকেমিস্ট প্রসঙ্গে।
2014 সালে হেলিকপ্টার ভাড়ায় ব্যবহার করেছিল তৃণমূল। তখন দলের সাধারণ সম্পাদক মুকুল রায়।
এর পেমেন্টের বিষয়ে জানা ছিল না। মুকুল তারপর বিজেপিতে যান।
পরে ইডি বলার পর পার্টি জানায় বকেয়া ভাড়া 48 ঘন্টায় মেটানো হবে। ইডি বলে তাদেরই দিতে। পার্টি ড্রাফটে পুরোটা…— Kunal Ghosh (@KunalGhoshAgain) March 11, 2024
ED অভিযোগ, ২০১৪ সালের ভোট প্রচারের সময় অ্য়ালকেমিস্টের তরফে তৃণমূলের কিছু প্রচারের বিল মেটানো হয়েছিল। কিন্তু প্রশ্ন উঠছে, অ্যালকেমিস্ট গ্রুপের যত টাকা লেনদেন নিয়ে অভিযোগ উঠছে, তার মধ্যে এই পরিমাণ খুব সামান্য। তাহলে বাকি টাকা কাদের সঙ্গে লেনদেন হয়েছে, সেটা জানানো হচ্ছে না কেন? কেন ইডি বেছে বেছে শুধু তৃণমূলের কথাই ফলাও করে স্যোশাল মিডিয়ায় পোস্ট করছে? এইসব নিয়ে অবশ্য কিছু জানায়নি কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।
