Saturday, November 8, 2025

নির্বাচনী বন্ড ইস্যুতে শীর্ষ আদালতের ধমকের মুখে SBI, মঙ্গলেই কমিশনকে বিস্তারিত রিপোর্ট জমার নির্দেশ

Date:

Share post:

টানা ২৬ দিন ধরে কী করছিলেন? ওই সময় কী একবারের জন্যও বন্ধ নথি খোলার প্রয়োজন মনে করেননি? নির্বাচনী বন্ড (Electoral Bond) ইস্যুতে সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court of India) ধমকের মুখে পড়তে হল স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়াকে (State Bank of India)। গত ফেব্রুয়ারি মাসেই নির্বাচনী বন্ডকে ‘অসাংবিধানিক’ বলে এসবিআইকে তা অবিলম্বে বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হয়। পাশাপাশি সাফ নির্দেশ দেওয়া হয় ২০১৯-এর ১২ এপ্রিল থেকে এখনও পর্যন্ত নির্বাচনী বন্ড সংক্রান্ত সমস্ত তথ্য ৬ মার্চের মধ্যে শীর্ষ আদালতে জমা দিতে হবে। কিন্তু সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের পরও সেই তথ্য আদালতে জমা দেওয়ার জন্য আরও সময় চাইল স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া। আর লোকসভা ভোটের (Loksabha Election) আগে এসবিআই-এর এমন ‘ধীরে চলো’ পদক্ষেপের পিছনে গেরুয়া ইন্ধনকেই কাঠগড়ায় তুলছেন বিরোধীরা। বিরোধীদের অভিযোগ, লোকসভা ভোটের আগে নিজেদের মুখোশ যাতে খুলে না যায় সেকারণেই এমন পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি এদিন প্রধান বিচারপতি চন্দ্রচূড়ের সাফ নির্দেশ, আগামীকালের মধ্যে সমস্ত তথ্য নির্বাচন কমিশনের (Election Commission of India) কাছে এসবিআইকে জমা দিতে হবে। আগামী ১৫ তারিখ বিকেল ৫টার মধ্যে মধ্যে সব তথ্য নির্বাচন কমিশনকে ওয়েবসাইটে আপলোডও করতে হবে। আর তা না করলে আদালত অবমাননার দায়ে বিপাকে পড়বে এসবিআই।

সোমবার নির্বাচনী বন্ডের তথ্যপ্রকাশ নিয়ে দু’টি আর্জি শোনার কথা ছিল শীর্ষ আদালতের। এদিন শুনানি চলাকালীন বন্ড সংক্রান্ত তথ্যপ্রকাশের জন্য অতিরিক্ত সময় চেয়ে (৬ মার্চ জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ছিল) সুপ্রিম কোর্টে আর্জি জানায় এসবিআই। সোমবার সেই আর্জি শোনে প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বাধীন পাঁচ সদস্যের সাংবিধানিক বেঞ্চ। এছাড়া এসবিআই-এর বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগ তুলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের আর্জি জানিয়ে আরও একটি অভিযোগ জমা পড়েছিল সুপ্রিম কোর্টের কাছে। এদিন দুটি বিষয় শোনে সুপ্রিম কোর্টের সাংবিধানিক বেঞ্চ। প্রধান বিচারপতি ছাড়াও সাংবিধানিক বেঞ্চে ছিলেন বিচারপতি সঞ্জীব খন্না, বিচারপতি বিআর গাভাই, বিচারপতি জেবি পরদিওয়ালা এবং বিচারপতি মনোজ মিশ্র।

বিরোধীদের অভিযোগ, নরেন্দ্র মোদি সরকার পরিচয় এবং অর্থের অঙ্ক গোপন রেখে রাজনৈতিক দলগুলিকে চাঁদা দেওয়ার সুবিধা দেওয়া হয়েছিল নির্বাচনী বন্ডে। সেই ব্যবস্থার দায়িত্বে ছিল এসবিআই। মূলত কালো টাকার লেনদেন রুখতেই এই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছিল মোদি সরকার। কিন্তু উল্টে দেখা গিয়েছে এর ফলে সবচেয়ে বেশি লাভবান হয়েছে বিজেপিই। ২০১৭-১৮ থেকে ২০২২-২৩-এর মধ্যে ছ’বছরে বিজেপির ঘরে ঢোকে রেকর্ড অঙ্কের টাকা। বিজেপি একাই পেয়েছিল ৬৫৬৪ কোটি টাকা।

 

spot_img

Related articles

কাশ্মীরের কুপওয়ারা সেক্টরে অনুপ্রবেশের চেষ্টা, সেনার গুলিতে খতম ২ জঙ্গি 

শনিবার সকালে ভূস্বর্গে ভারতীয় সেনার (Indian Army) সাফল্য। কাশ্মীরের (Kashmir) কুপওয়াড়ায় খতম দুই জঙ্গি। দুজনেই কেরান সেক্টরের নিয়ন্ত্রণ...

KIFF: শনিবারের সিনেপার্বণে ‘অরণ্যের দিনরাত্রি’, সিনেমার গানের আড্ডায় সুমন – প্রসেনজিৎ

শহর জুড়ে কুড়িটি প্রেক্ষাগৃহে ২১৫টি ছবির আসর নিয়ে শুরু হয়েছে ৩১তম কলকাতা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব (31st Kolkata International...

আজ সোনার মেয়ে রিচার সংবর্ধনায় সিএবির অনুষ্ঠান, মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে থাকবেন টলিতারকারাও

বাঙালি ক্রিকেটার হিসেবে বিশ্ব জয় করেছেন রিচা ঘোষ (Richa Ghosh)। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে শুভেচ্ছা ভালোবাসায় আপ্লুত শিলিগুড়ির...

মতুয়া-ফায়দা লোটার চেষ্টা: অনশন মঞ্চে হঠাৎ হাজির বাম-কংগ্রেস!

বাংলার শাসকদল তৃণমূলের বিরোধিতা করাই বাংলার বাম নেতৃত্ব ও কংগ্রেসের নেতা কর্মীদের স্বভাবসিদ্ধ। বিরোধিতার পর্যায়টা এক এক সময়ে...