Sunday, August 24, 2025

নির্বাচনী বন্ড ইস্যুতে শীর্ষ আদালতের ধমকের মুখে SBI, মঙ্গলেই কমিশনকে বিস্তারিত রিপোর্ট জমার নির্দেশ

Date:

Share post:

টানা ২৬ দিন ধরে কী করছিলেন? ওই সময় কী একবারের জন্যও বন্ধ নথি খোলার প্রয়োজন মনে করেননি? নির্বাচনী বন্ড (Electoral Bond) ইস্যুতে সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court of India) ধমকের মুখে পড়তে হল স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়াকে (State Bank of India)। গত ফেব্রুয়ারি মাসেই নির্বাচনী বন্ডকে ‘অসাংবিধানিক’ বলে এসবিআইকে তা অবিলম্বে বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হয়। পাশাপাশি সাফ নির্দেশ দেওয়া হয় ২০১৯-এর ১২ এপ্রিল থেকে এখনও পর্যন্ত নির্বাচনী বন্ড সংক্রান্ত সমস্ত তথ্য ৬ মার্চের মধ্যে শীর্ষ আদালতে জমা দিতে হবে। কিন্তু সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের পরও সেই তথ্য আদালতে জমা দেওয়ার জন্য আরও সময় চাইল স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া। আর লোকসভা ভোটের (Loksabha Election) আগে এসবিআই-এর এমন ‘ধীরে চলো’ পদক্ষেপের পিছনে গেরুয়া ইন্ধনকেই কাঠগড়ায় তুলছেন বিরোধীরা। বিরোধীদের অভিযোগ, লোকসভা ভোটের আগে নিজেদের মুখোশ যাতে খুলে না যায় সেকারণেই এমন পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি এদিন প্রধান বিচারপতি চন্দ্রচূড়ের সাফ নির্দেশ, আগামীকালের মধ্যে সমস্ত তথ্য নির্বাচন কমিশনের (Election Commission of India) কাছে এসবিআইকে জমা দিতে হবে। আগামী ১৫ তারিখ বিকেল ৫টার মধ্যে মধ্যে সব তথ্য নির্বাচন কমিশনকে ওয়েবসাইটে আপলোডও করতে হবে। আর তা না করলে আদালত অবমাননার দায়ে বিপাকে পড়বে এসবিআই।

সোমবার নির্বাচনী বন্ডের তথ্যপ্রকাশ নিয়ে দু’টি আর্জি শোনার কথা ছিল শীর্ষ আদালতের। এদিন শুনানি চলাকালীন বন্ড সংক্রান্ত তথ্যপ্রকাশের জন্য অতিরিক্ত সময় চেয়ে (৬ মার্চ জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ছিল) সুপ্রিম কোর্টে আর্জি জানায় এসবিআই। সোমবার সেই আর্জি শোনে প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বাধীন পাঁচ সদস্যের সাংবিধানিক বেঞ্চ। এছাড়া এসবিআই-এর বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগ তুলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের আর্জি জানিয়ে আরও একটি অভিযোগ জমা পড়েছিল সুপ্রিম কোর্টের কাছে। এদিন দুটি বিষয় শোনে সুপ্রিম কোর্টের সাংবিধানিক বেঞ্চ। প্রধান বিচারপতি ছাড়াও সাংবিধানিক বেঞ্চে ছিলেন বিচারপতি সঞ্জীব খন্না, বিচারপতি বিআর গাভাই, বিচারপতি জেবি পরদিওয়ালা এবং বিচারপতি মনোজ মিশ্র।

বিরোধীদের অভিযোগ, নরেন্দ্র মোদি সরকার পরিচয় এবং অর্থের অঙ্ক গোপন রেখে রাজনৈতিক দলগুলিকে চাঁদা দেওয়ার সুবিধা দেওয়া হয়েছিল নির্বাচনী বন্ডে। সেই ব্যবস্থার দায়িত্বে ছিল এসবিআই। মূলত কালো টাকার লেনদেন রুখতেই এই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছিল মোদি সরকার। কিন্তু উল্টে দেখা গিয়েছে এর ফলে সবচেয়ে বেশি লাভবান হয়েছে বিজেপিই। ২০১৭-১৮ থেকে ২০২২-২৩-এর মধ্যে ছ’বছরে বিজেপির ঘরে ঢোকে রেকর্ড অঙ্কের টাকা। বিজেপি একাই পেয়েছিল ৬৫৬৪ কোটি টাকা।

 

spot_img

Related articles

শান্তিপুরে মহিলা স্বয়ম্ভর গোষ্ঠীর ভোটে গোহারা বিজেপি! ২৬-৪-এ জয়ী তৃণমূল 

এসআইআর ইস্যু নিয়ে রাজ্যে বিজেপির মাতামাতির মধ্যে নদিয়ার শান্তিপুরে মহিলা স্বনির্ভর গোষ্ঠীর ক্লাস্টার কমিটির নির্বাচনে বড় সাফল্য পেল...

DHFC-র পারফরম্যান্স নিয়ে গর্বিত অভিষেক, দিলেন শুভেচ্ছা বার্তা

ডুরান্ড অভিষেকেই সকলকে চমকে দিয়েছে ডায়মন্ডহারবার এফসি(DHFC)। ডুরান্ড কাপের ফাইনালে হয়ত তারা পারেনি নর্থইস্ট ইউনাইটেডের কাছে। কিন্তু গোটা...

উড়ালপুল–সেতুর নীচে বেআইনি দখলদারি সরাতে ‘উচ্ছেদ অভিযান’! উদ্যোগী কেএমডিএ 

কলকাতার উড়ালপুল ও সেতুর নীচ থেকে বেআইনি দখলদারি সরাতে উদ্যোগী হল কলকাতা মেট্রোপলিটন ডেভেলপমেন্ট অথরিটি (কেএমডিএ)। ইতিমধ্যেই চারটি...

ফের জেলা সফরে মুখ্যমন্ত্রী, ২৬ অগাস্টে বর্ধমানে প্রশাসনিক বৈঠক 

চলতি সপ্তাহ থেকেই ফের শুরু হচ্ছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জেলা সফর। আগামী মঙ্গলবার, ২৬ অগাস্ট তিনি পৌঁছাবেন বর্ধমান।...