ব্রিগেডেই মমতাকে প্রথমবার কাছ থেকে দেখলেন বর্ধমান পূর্বের তৃণমূল প্রার্থী শর্মিলা!

রবিবার ব্রিগেডে জনগর্জন – এর মধ্যেই লোকসভা নির্বাচনে (Loksabha Election) রাজ্যের ৪২ আসনের প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করেছে তৃণমূল কংগ্রেস (TMC)। সেই প্রার্থী তালিকায় পরতে পরতে চমক। আর সেই চমকের অন্যতম কেন্দ্র বর্ধমান পূর্ব (East Burdwan)। এই আসনে একেবারে নতুন মুখ এনেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। ঘাসফুল প্রতীকে। প্রার্থী করা হয়েছে ডাঃ শর্মিলা সরকার (Sharmila Sarkar)।

লোকসভার নির্বাচনে টিকিট পাওয়াটা তাঁর কাছে এখনও স্বপ্ন মনে হচ্ছে। ক্যালকাটা ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজের মনোরোগ বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডাঃ সরকারের শিকড় অবশ্য গ্রামেই। পূর্ব বর্ধমানের অগ্রদ্বীপ আরএস-এ। এমবিবিএস পড়তে আর জি কর মেডিক্যাল কলেজে চলে আসা ইস্তক কলকাতায়। তারপর এসএসকেএম হাসপাতালে মনোরোগ চিকিৎসায় এমডি। শর্মিলা বললেন, “সারা দেশেই মনের সমস্যা ভীষণ অবহেলিত। যদি জিততে পারি, দেশের দরবারে মানসিক সমস্যার বিভিন্ন দিকগুলি তুলে ধরার চেষ্টা করব। আসলে মানুষের খাদ্য, বস্ত্র, বাসস্থান, দৈনন্দিন চাওয়া পাওয়াগুলি সুনিশ্চিত হলে মনের অসুখও দূরে থাকে। আমি সেই চেষ্টাই করব।”

প্রার্থী হওয়ার বিষয় নিয়ে শর্মিলা তাঁর প্রাথমিক প্রতিক্রিয়ায় বলেন, “সময়টা কাটছে যেন ঘোরের মধ্যে। যেদিন প্রস্তাবটা এল, সারারাত ঘুমাতে পারিনি। কেননা জীবনের অন্যতম বড় সিদ্ধান্ত নিতে হবে। চিকিৎসক স্বামীকে সেকথা বললাম। প্রথমে একটু আপত্তি করলেও পরে বলল, ‘আমি জানি, তুমি লড়াই করতে জানো। পারবে। তাছাড়া এটা তোমার সিদ্ধান্ত।’ ক্লাস নাইনের মেয়ে বলল, ‘মা, তোমায় চিন্তা করতে হবে না। আমি নিজের পড়াশোনা ঠিক সামলে নেব।’ তারপর একটু স্বস্তি পেলাম। যাঁদের খবরের কাগজে, টিভির পর্দায় দেখেছি, আজ ব্রিগেডে তাঁদেরই সামনা সামনি দেখলাম। দিদিকে এত কাছ থেকে এই প্রথম দেখলাম।”

প্রার্থী হিসেবে নাম ঘোষণার পরই ফোনে শুভেচ্ছার বন্যা। শর্মিলার কথায়, “এখনও ঠিক বিশ্বাস করতে পারছি না, সত্যি!’

Previous articleBreakfast news: ব্রেকফাস্ট নিউজ
Next articleরাজনীতিকে ‘আলবিদা’ সায়ন্তিকার? ভাইরাল চিঠি ঘিরে জল্পনা তুঙ্গে