বিজেপিতে যাওয়ার প্রশ্নই ওঠে না, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সৈনিক হয়েই রাজনীতিতে থাকবো: সায়ন্তিকা

তাঁর দাবি, ওই চিঠিতে তাঁর কোনও স্বাক্ষর নেই। শুধু তাই নয়, ইস্তফা দেওয়ার হলে তিনি দলীয় নেতৃত্বের কাছেই দিতেন, সোশ্যাল মিডিয়ায় নয়

“যতদিন রাজনীতিতে থাকবো, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সৈনিক হয়েই থাকবো। বিজেপির মতো দলে নাম লেখানোর প্রশ্নই ওঠে না।” বিশ্ববাংলা সংবাদে একান্ত সাক্ষাৎকারে এমনটাই জানালেন অভিনেত্রী তথা তৃণমূলের রাজ্য সম্পাদক সায়ন্তিকা বন্দোপাধ্যায়। শুধু তাই নয়, খুব তাড়াতাড়ি তিনি ফের বাঁকুড়া যাবেন এবং দলের প্রার্থী অরূপ চক্রবর্তীর সমর্থনে প্রচার চালাবেন। এবং তাঁর ইস্তফা সংক্রান্ত যে চিঠি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছিল, তা সম্পূর্ন ফেক বলেই উড়িয়ে দিয়েছেন সায়ন্তিকা। তাঁর দাবি, ওই চিঠিতে তাঁর কোনও স্বাক্ষর নেই। শুধু তাই নয়, ইস্তফা দেওয়ার হলে তিনি দলীয় নেতৃত্বের কাছেই দিতেন, সোশ্যাল মিডিয়ায় নয়।

লোকসভা ভোটের দলীয় প্রার্থিতালিকায় নিজের নাম না থাকায় তৃণমূলের পদ থেকে ইস্তফা দিতে চেয়েছেন অভিনেত্রী-নেত্রী সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায়। দলকে পদত্যাগপত্রও পাঠিয়েছেন তিনি। এমন খবরে শোরগোল পড়ে যায়। কিন্তু বিষয়টি একেবারেই তা নয়। সায়ন্তিকা জানান, “টিকিট না পেয়ে নিশ্চয় অভিমান হয়েছিল। একটু শকড হয়েছিলাম। অভিমান তো নিজের পরিবারের উপরই হয়, পাশের বাড়ির লোকের উপর তো হয় না।” দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, অভিষেক তাঁর সঙ্গে কথা বলেছেন বলেও জানান সায়ন্তিকা।

বিজেপির তরফে কি কোনও প্রস্তাব এসেছিল? উত্তরে সায়ন্তিকা বলেন, “আমাদের প্রার্থী তালিকা ঘোষণার অনেক আগেই প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। প্রার্থী তালিকায় আমার নাম না থাকার পরেও প্রস্তাব আসে। বিজেপি আসলে ঘোলা জলে মাছ ধরতে পছন্দ করে। কিন্তু যতদিন রাজনীতিতে আছি, ততদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সৈনিক হয়েই থাকবো। কিন্তু বিজেপিতে যাবো না। ওরা মহিলাদের সম্মান দেয় না। আর আমি একজন মহিলা। আর যেখানে প্রার্থী হওয়ার প্রশ্ন, আমাদের দলে যিনি বা যাঁরা প্রার্থী হয়েছেন, তাঁরা সকলেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সৈনিক। সব কেন্দ্রেই প্রার্থী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ওনাকে দেখেই মানুষ ভোট দেন। তাই দল একটা, প্রতীক একটা। যিনিই প্রার্থী হোন তিনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রার্থী, তৃণমূলের প্রার্থী ”

২০২১ সালের বিধানসভা ভোটে বাঁকুড়া বিধানসভা কেন্দ্রে তৃণমূল প্রার্থী হয়েছিলেন সায়ন্তিকা। সেই সময় একে একে অনেকেই দল ছেড়ে বিজেপিতে গিয়েছেন। শুধুমাত্র মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্যই রাজনীতিতে আসা। রাজনীতি তাঁর পেশা নয়। তাই তৃণমূল ছাড়ার প্রশ্নই ওঠে না বলে জোর গলায় জানান সায়ন্তিকা। বিধানসভায় বিজেপি প্রার্থী নীলাদ্রিশেখর দানা-র কাছে হেরে যান তিনি। তবে ভোটে হারলেও অভিনেত্রীকে সাংগঠনিক দায়িত্ব দেওয়া হয়। দলের রাজ্য সম্পাদকও করা হয় তাঁকে। তারপর থেকে তিন বছর বাঁকুড়াতে মাটি কামড়ে পড়েছিলেন। তিলে তিলে সংগঠন করেছেন।

 

 

Previous articleডার্বি অতীত, হাবাসের লক্ষ্য এবার কেরালা
Next articleCAA-NRC মানছি না-মানব না! স্লোগান তুলে বুধে শিলিগুড়িতে প্রতিবাদ-মিছিল তৃণমূল সুপ্রিমোর