ফের মানবিক মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) সরকার! এবার থেকে প্রতিবছর রাজ্যের সাহায্যপ্রাপ্ত স্কুল (School) ও মাদ্রাসার (Madrasa) একাদশ শ্রেণির পড়ুয়াদের ট্যাব (Tab) বা স্মার্ট ফোন (Smart Phone) দেওয়ার বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করল সরকার। বিজ্ঞপ্তিতে সাফ জানানো হয়েছে প্রত্যেক পড়ুয়াকে তাঁদের অ্যাকাউন্টে সরাসরি ১০ হাজার টাকা করে দেবে রাজ্য। দিন কয়েক আগেই রাজ্যের তরফে যে বাজেট (Budget) পেশ করা হয়েছিল সেখানে শিক্ষাখাতে একাদশ শ্রেণির পড়ুয়াদের জন্য ১০ হাজার টাকা করে আর্থিক অনুদানের ঘোষণা করা হয়েছিল। বিকাশ ভবন থেকে জারি করা বিজ্ঞপ্তিতে সাফ জানানো হয়েছে, আগামী অর্থবর্ষ অর্থাৎ ২০২৪-’২৫ থেকেই সরকার, সরকার পোষিত ও মাদ্রাসা বোর্ডের পড়ুয়াদেরও মোবাইল বা ট্যাব কেনার জন্য আর্থিক অনুদান দেওয়া হবে। সব মিলিয়ে প্রায় ২০ লক্ষ পড়ুয়ার অ্যাকাউন্টে ১০ হাজার টাকা করে দেওয়া হবে বলে সরকারি সূত্রের খবর। এর জন্য ২০২৪-২৫ অর্থবর্ষের রাজ্য বাজেটে ৯০০ কোটি টাকা বরাদ্দও করা হয়েছে।
মূলত, কোভিডকালে বাড়িতে বসে যাতে অনলাইনে বাংলার পড়ুয়ারা উচ্চশিক্ষার সুযোগ নিতে পারে সেই বিষয়টি মাথায় রেখেই ‘তরুণের স্বপ্ন’ নামক প্রকল্পের মাধ্যমে তাঁদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ১০ হাজার টাকা করে পাঠানোর সূচনা করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে কোভিডকাল অতিক্রম হলেও রাজ্য সরকার কিন্তু পড়ুয়াদের অগ্রগতির কথা মাথায় রেখে সেই প্রকল্প কিন্তু বন্ধ করে দেয়নি। উল্টে ‘মানবিক’ মুখ্যমন্ত্রী সিদ্ধান্ত নেন, এবার থেকে প্রতি বছর রাজ্যের সাহায্যপ্রাপ্ত স্কুল ও মাদ্রাসার দ্বাদশ শ্রেনীর পড়ুয়াদের মোবাইল বা ট্যাব কেনার জন্য অর্থসাহায্য করা হবে। সেই মতো চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে রাজ্যের সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত স্কুল ও মাদ্রাসার ৯.৭৭ লক্ষ পড়ুয়াদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ১০ হাজার টাকা করে পাঠানো হয়। পরে ফেব্রুয়ারি মাসে রাজ্য বাজেটে ঘোষণা করা হয়, শুধুমাত্র দ্বাদশ নয়, একাদশ শ্রেণি থেকেই দেওয়া হবে এই ট্যাব। আর রাজ্যের এই সিদ্ধান্তে চরম খুশি পড়ুয়া থেকে শুরু করে অভিভাবকরা।
চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দ্বাদশ শ্রেনীর পড়ুয়াদের হাতে একটি অনুষ্ঠান মঞ্চ থেকে ‘তরুণের স্বপ্ন’ প্রকল্পে ট্যাব তুলে দিয়েছিলেন। সেই সময়ে বাংলার প্রায় ১০ লক্ষ পড়ুয়ার হাতে প্রায় ১০০০ কোটি টাকা তুলে দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেই। এরপর গত জানুয়ারি মাসে রাজ্যের ৯.৭৭ লক্ষ পড়ুয়ার হাতে ১০ হাজার টাকা করে তুলে দেওয়ার জন্য রাজ্যের খরচ হয় ৯৭৭ কোটি টাকা।