আজকের দিনে কী ঘটেছিল? চলুন দেখে নেওয়া যাক

১৮৮০

রাজশেখর বসু

(১৮৮০-১৯৬০) এদিন জন্মগ্রহণ করেন। একাধারে রসায়নবিদ এবং রসসাহিত্যিক। দুইয়ের মধ্যে কোনও যোগ নেই, আবার নেই বিরোধও। বেঙ্গল কেমিক্যাল থেকে ভুশণ্ডীর মাঠে রাজশেখর বসুর অবাধ যাতায়াত। প্রেসিডেন্সি কলেজের বিজ্ঞান শাখায় ভর্তি হন, দু’বছর পরে কেমিস্ট্রি এবং ফিজিক্সে সেকেন্ড ক্লাস অনার্স নিয়ে বিএ পাশ করেন। পরের বছর কেমিস্ট্রিতে এমএ পরীক্ষায় ফার্স্ট হলেন। এর পরে আবার বিএল পড়া। কিন্তু মাত্র তিনদিন আদালতে গিয়েই মোহভঙ্গ। রাজশেখরের গল্প পড়ে প্রফুল্লচন্দ্র বলেছিলেন, “এই বুড়া বয়সে তোমার গল্প পড়িয়া হাসিতে হাসিতে choked হইয়াছি।” এমনিতে হাসির গল্প লেখার বিপদ আছে। পাঠক ভাবেন, হেসেই কাজ শেষ, অনেক সময়ই তলিয়ে দেখেন না। কিন্তু পরশুরামের হাসির গল্পে সামাজিক মন থেকে ব্যক্তিমন সবই ধরা পড়ত ভাষার জাদুতে। ‘কজ্জলী’, ‘হনুমানের স্বপ্ন’, ‘গামানুষ জাতির কথা’, ‘ধুস্তরী মায়া’, ‘কৃষ্ণকলি’, ‘নীল তারা’, ‘আনন্দীবাঈ’, ‘চমৎকুমারী’ ইত্যাদি গল্পের ভিতরেই ছড়িয়ে আছে এমন হাজার ঐশ্বর্য। পাঠক জানেন, গল্পগুলো আস্বাদে কেমন আরাম-স্বস্তি। প্রমথনাথ বিশী লিখছেন— “শ্রীশ্রীসিদ্ধেশ্বরী লিমিটেড গল্পটি প্রকাশিত হওয়া মাত্র (১৯২২) বাঙালী পাঠকের কান ও চোখ সজাগ হয়ে উঠল, এ আবার কে এলো? Curtain Raiser হিসাবে গল্পটি অতুলনীয়। এক গল্পেই আসর মাত।” ৪২ বছর বয়সে প্রথম লেখা প্রকাশিত হয়, আর তাতেই হইহই ফেলে দিয়েছিলেন বাঙালি পাঠকসমাজে। এর পরে আর পাঠকের উৎসাহে ভাটা পরার কোনও অবকাশ দেননি রাজশেখর, থুড়ি পরশুরাম। এই নামে লিখতেন। আসলে ‘ভারতবর্ষ’ পত্রিকার জন্য সম্পাদক জলধর সেন গল্প দিতে বলেছিলেন, স্বনাম ব্যবহারে আপত্তি ছিল রাজশেখরের, তাই এই ব্যবস্থা। সেদিন কোনও কারণে বাড়িতে তারাচাঁদ পরশুরাম স্যাঁকরা এসেছিল। সেই নামটাই লেখায় বসিয়ে দেন। এর মধ্যে কোনও পৌরাণিক কটাক্ষ বা শ্লেষ নেই, এমনকী তা যে এর পরে স্থায়ী হতে পারে, তা-ও ভাবেননি।

১৮৬৯

রেভারেন্ড বিমলানন্দ নাগ (১৮৬৯ – ১৯৩৭) এদিন ঢাকার রাজনগরে জন্মগ্রহণ করেন। বি, এ, নাগ নামে সমধিক প্রসিদ্ধ। ১৮৯১–তে খ্রিস্টধর্ম গ্রহণ করেন এবং ১৯০০-তে ব্যাপটিস্ট মিশনের কাজে যোগদান করে সম্মানিত পদ পান। রাজনীতি-ক্ষেত্রে রাষ্ট্রগুরু সুরেন্দ্রনাথের শিষ্য ছিলেন। পরে কংগ্রেস ত্যাগ করে বাংলার ন্যাশনাল লিবারেল লিগের প্রথম সম্পাদক হন। কলিকাতা কর্পোরেশনের কাউন্সিলর, বেঙ্গল সিভিল সার্ভিস কমিশন, বঙ্গীয় ব্যবস্থাপক সভা প্রভৃতির সদস্য ছিলেন। ১৯৩৪-তে বার্লিনে অনুষ্ঠিত ওয়ার্ড ব্যাপটিস্ট কংগ্রেসের সহ-সভাপতি নির্বাচিত হয়ে সেখানে যান। ভারতীয়দের মধ্যে তিনিই সর্বপ্রথম এই সম্মানিত পদ পান।

১৯৬৮ ভিয়েতনাম যুদ্ধের সময় এদিন মাই লেই গণহত্যা সংঘটিত হয়। মাই লেই ছিল ভিয়েত কং-এর শক্ত ঘাঁটি। এদিন ওই গ্রামে ঢুকে পড়ে মার্কিন সেনা। তল্লাশির নামে অকথ্য নির্যাতন চালায় গ্রামবাসীদের ওপর। কমপক্ষে ৫০০ জন নিরস্ত্র গ্রামবাসীকে হত্যা করে তারা।

১৯৪০

বারনার্ডো বার্তোলুচ্চি (১৯৪০-২০১৮) এদিন জন্মগ্রহণ করেন। ইতালীয় চলচ্চিত্র পরিচালক ও চিত্রনাট্যকার। তাঁর পরিচালিত উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্রসমূহ হল ‘দ্য কনফরমিস্ট’, ‘লাস্ট ট্যাঙ্গো ইন প্যারিস’, ‘১৯০০’, ‘দ্য লাস্ট এমপেরর’, ‘দ্য শেল্টারিং স্কাই’, ‘স্টিলিং বিউটি’ ও ‘দ্য ড্রিমার্স’।

২০১৪ গণভোটের পর ক্রিমিয়া ইউক্রেন থেকে বিচ্ছিন্ন হওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। যোগ দেয় রুশ ফেডারেশনে। আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে বাধা ও প্রতিবাদ অগ্রাহ্য করে রাশিয়া পরে ক্রিমিয়াকে অঙ্গীভূত করে নেয়।

Previous articleজুন মালিয়ার সমর্থনে আজ বেলদায় ‘জনগর্জন’ সভা অভিষেকের, উপস্থিত থাকতে পারেন দেবও
Next articleট্র্যাডিশনাল আসন কেন সিপিএমকে? অধীরের বিরুদ্ধে ক্ষুব্ধ দক্ষিণ কলকাতা জেলা কংগ্রেস সভাপতি