হোয়াটসঅ্যাপে ‘নিয়ম ভেঙে’ মোদির প্রচার! Meta-র কাছে প্রশ্ন রাজনীতিকদের

হোয়াটসঅ্যাপ বিজনেস অ্যাকাউন্ট থেকে বিনামূল্যে প্রচার চালিয়ে যাচ্ছে বিজেপি। তাহলে কেন মেটা-র নীতি এখানে প্রয়োগ হচ্ছে না বা মেটা কী নজরদারি চালাতেও ভুলে গিয়ে হোয়াটসঅ্যাপকে প্রোপাগান্ডা প্ল্যাটফর্ম করে তুলেছে, প্রশ্ন কংগ্রেসের

শনিবারই প্রকাশিত হয়েছে ১৮ তম লোকসভা নির্বাচনের নির্ঘণ্ট। নির্বাচনী প্রচারের ওপর বিধিনিষেধ ও নজরদারির বিরাট ফিরিস্তি দিয়েছে জাতীয় নির্বাচন কমিশন। অথচ সেদিনও দেখা গেল সোশ্যাল মিডিয়া হোয়াটসঅ্যাপে (Whatsapp) পুশ ম্যাসেজ হিসাবে প্রচার চালাচ্ছে একেবারে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির দফতর। প্রশ্ন উঠছে, সেই প্রচারে উন্নয়নের ফিরিস্তি দেওয়া প্রধানমন্ত্রীর দফতর যেভাবে নাগরিক ‘ফিডব্যাক’ (feedback) নিচ্ছে তা নির্বাচন বিধির কতটা সমর্থক। সেই সঙ্গে কংগ্রেসের পক্ষ থেকে ভার্চুয়াল মিডিয়া কোম্পানি মেটা (Meta)-র কাছে প্রশ্ন তোলা হয়েছে সংস্থার একাধিক নিয়ম ভাঙলেও কীভাবে তারা বিজেপির এই প্রচারকে সমর্থন জানাচ্ছেন।

গোটা দেশে প্রায় এক সপ্তাহ ধরে হোয়াটসঅ্যাপে ‘বিকসিত ভারত সম্পর্ক’ নামে একটি বিজনেস অ্যাকাউন্ট (Business Account) থেকে মেসেজ আসছে। কোনওভাবেই কোনও ব্যক্তি এই ধরনের সংগঠনের সঙ্গে ফোন নম্বরের আদান প্রদান না করে থাকলেও তাঁরা এই মেসেজ পাচ্ছেন। মেসেজে কী রয়েছে? বলা হচ্ছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির দফতর থেকে এই মেসেজটি দেওয়া হচ্ছে যেখানে দেশের ১৪০ কোটি মানুষের জন্য নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন সরকার কী করেছে তার বিবরণ দেওয়া হচ্ছে। সঙ্গে নরেন্দ্র মোদির স্বাক্ষরিত একটি চিঠি দেওয়া হচ্ছে। অর্থাৎ নির্বাচনের আগে পুরদস্তুর বিজেপির প্রচার।

কেরালা কংগ্রেসের পক্ষ থেকে এখানেই প্রশ্ন তোলা হয়েছে, হোয়াটসঅ্যাপ নিজেই যেখানে ওয়েবসাইটে (website) প্রচার করছে যে কোনও ধরনের রাজনৈতিক দল, রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব, প্রার্থী, রাজনৈতিক প্রচার করে না, সেখানে কীভাবে এত লক্ষ লক্ষ মানুষের কাছে পৌঁছে যাচ্ছে বিজেপির রাজনৈতিক প্রচারের মেসেজ? রাজনৈতিক বিষয়ে নিজেদের নীতি থেকে সরে আসছে হোয়াটসঅ্যাপ, না বিজেপির জন্য তাঁদের বিকল্প নীতি তৈরি হয়েছে?

মেসেজটি ডিকোড করলে দেখা যাচ্ছে সেটি একটি বিজনেস অ্যাকাউন্ট থেকে আসছে। সেক্ষেত্রে কী বিজনেস অ্য়াকাউন্ট থেকে খোলাখুলিভাবে রাজনৈতিক প্রচার সমর্থন করছে মেটা (Meta) নিজেই। অথচ তাদেরই ওয়েবসাইটে প্রকাশিত নীতিতে দেখা যাচ্ছে ‘পেইড ফর বাই’ (paid for by) অর্থাৎ কার দ্বারা ক্রয় করা হয়েছে তার বিধিবদ্ধ সতর্কীকরণ থাকতে হবে। কিন্তু এক্ষেত্রে তো হোয়াটসঅ্যাপ বিজনেস অ্যাকাউন্ট থেকে বিনামূল্যে প্রচার চালিয়ে যাচ্ছে বিজেপি। তাহলে কেন মেটা-র নীতি এখানে প্রয়োগ হচ্ছে না বা মেটা কী নজরদারি চালাতেও ভুলে গিয়ে হোয়াটসঅ্যাপকে প্রোপাগান্ডা প্ল্যাটফর্ম করে তুলেছে, প্রশ্ন কংগ্রেসের।