বায়ুসেনার বিমানে ভোটপ্রচারে প্রধানমন্ত্রী! নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ তৃণমূলের

নির্বাচনী আচরণবিধি অনুযায়ী নির্বাচনী প্রচারে কোনও রাজনৈতিক দল বা নেতা বা প্রার্থী বা নির্বাচনের সঙ্গে যুক্ত কোনও ব্যক্তির কোনও রকম সরকারি পরিবহনের ব্যবহারে সম্পূর্ণ ও চরমভাবে নিষেধাজ্ঞা জারি রয়েছে।

দেশের শিল্পপতিদের টাকা লুঠে বিজেপির ভোট বৈতরণী পারের দুর্নীতি ইলেক্টোরাল বন্ড ইস্যুতেই সামনে এসে পড়েছে। এবার বায়ুসেনার বিমানে ভোট প্রচার গিয়ে প্রশাসনকে নিজেদের স্বার্থে ব্যবহার করার স্পষ্ট ছবি তুলে ধরলেন খোদ নরেন্দ্র মোদি। নির্বাচন ঘোষণা হওয়ার পর মডেল কোড অফ কন্ডাক্ট লাগু হয়ে গেলেও অন্ধ্রপ্রদেশে বায়ুসেনার হেলিকপ্টার ব্যবহার করে ভোটের প্রচার সারলেন মোদি। নিয়ম ভাঙার বিস্তারিত বিবরণ তুলে ধরে নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ জানালেন তৃণমূল সাংসদ সাকেত গোখলে। সেই সঙ্গে কমিশনের পদক্ষেপ দাবি করা হয় সাংসদের তরফে।

১৬ মার্চ লোকসভা নির্বাচন ঘোষণা করে জাতীয় নির্বাচন কমিশন। সেই মতো শনিবার থেকেই লাগু হয় নির্বাচনী আচরণবিধি। অথচ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি রবিবার অন্ধ্রপ্রদেশের পালনাড়ু জেলার চিলাকালুরিপেটে নির্বাচনী প্রচার করতে উড়ে যান ভারতীয় বায়ুসেনার (Indian Air Force) বিমানে। তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ কমিশনে অভিযোগ জানান, বায়ুসেনার জেডপি ৫২৩৬ (ZP 5234) টেল নম্বরের হেলিকপ্টারে দেশের ৯৬তম লোকসভা এলাকায় ভোট প্রচারে যান মোদি, যা নির্বাচনী আচরণবিধি বিরোধী (model code of conduct)।

নির্বাচনী আচরণবিধি (MCC) অনুযায়ী নির্বাচনী প্রচারে কোনও রাজনৈতিক দল বা নেতা বা প্রার্থী বা নির্বাচনের সঙ্গে যুক্ত কোনও ব্যক্তির কোনও রকম সরকারি পরিবহনের ব্যবহারে সম্পূর্ণ ও চরমভাবে নিষেধাজ্ঞা জারি রয়েছে। কেন্দ্র সরকার, রাজ্য বা কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল প্রশাসনের, কেন্দ্র বা রাজ্য সরকারের চুক্তিভিত্তিক, দুই সরকারের যৌথ প্রকল্পের অধীন, স্থানীয় প্রশাসন, ব্যবসায়িক সমিতির, সমবায় সমিতি বা স্বশাসিত জেলা পরিষদ বা সরকারি তহবিল থেকে চলা যে কোনও সংস্থার পরিবহন ব্যবহারের ক্ষেত্রে এই নিষেধাজ্ঞা জারি রয়েছে নির্বাচনী আচরণবিধি অনুসারে। তারপরেও প্রধানমন্ত্রীর বায়ুসেনার হেলিকপ্টার ব্যবহার সম্পূর্ণভাবে আচরণবিধির লঙ্ঘন বলে অভিযোগ জানিয়েছেন কমিশনে। সেই সঙ্গে কমিশন এই বিষয়ে কী পদক্ষেপ নিচ্ছে তা জানানোরও অনুরোধ করা হয়েছে।

নিজের সোশ্যাল মিডিয়া (social media) হ্যান্ডেলে এই অভিযোগপত্র প্রকাশ করে সাকেতের দাবি এই একই রকম আচরণবিধি ভাঙার জন্য ১৯৭৫ সালে ভোটে লড়া বাতিল হয়েছিল ইন্দিরা গান্ধীর। পাশাপাশি কমিশন শনিবার নির্বাচনী নির্ঘণ্ট প্রকাশের সময় নিয়ম ভাঙলে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার যে ঘোষণা করেছিল, তাও স্মরণ করিয়ে দেন তিনি।

Previous articleনির্বাচনী বন্ড নিয়ে ‘ঢিলেমি’ নয়! এসবিআই-কে সময়সীমা বেঁধে ‘সম্পূর্ণ তথ্য’ প্রকাশের নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের
Next articleউদ্ধারকাজ চলছে, এখনই রাজনীতি করবেন না, গার্ডেনরিচ কাণ্ডে বিরোধীদের বার্তা অভিষেকের