চূড়ান্ত রাজনৈতিক প্রতিহিংসা! গ্রেফতার অরবিন্দ কেজরিওয়াল; মুখ্যমন্ত্রী তিনিই থাকছেন, দাবি আপের

বেশ কিছু শীর্ষ নেতৃত্বকে গ্রেফতার করে দিল্লি পুলিশ। তাঁদের দাবি আরবিন্দ কেজরিওয়ালকে গ্রেফতার করা যায় না। কারণ কেজরিওয়াল একটি মতাদর্শ।

লোকসভার নির্বাচনী আচরণবিধি লাগু হওয়ার পর ভারতের ইতিহাসে প্রথমবার গ্রেফতার হলেন কোনও রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। আবগারি দুর্নীতি মামলায় দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে গ্রেফতার করল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। এই নিয়ে লোকসভা ভোটের আগে দেশের দুই মুখ্যমন্ত্রীকে গ্রেফতার করল কেন্দ্রীয় এজেন্সি। তবে গ্রেফতারির পরেও কেজরিওয়ালই দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী থাকছেন বলে দাবি আপ নেতৃত্বের। জেল থেকে তিনিই দিল্লির শাসন পরিচালনা করবেন বলে জানানো হয়। বিজেপির রাজনৈতিক প্রতিহিংসার নির্লজ্জ নিদর্শন ভোটের আগে বিরোধী দলের শীর্ষ নেতা-নেত্রীদের গ্রেফতারি।

বৃহস্পতিবার দিল্লির রাউস এভিনিউ আদালত কেজরিওয়ালের রক্ষাকবচ তুলে নেয়। তার কয়েকঘণ্টার মধ্যেই কেজরিওয়ালের বাড়িতে হানা দেয় ইডির আট সদস্যের একটি তদন্তকারী দল। তাঁরা প্রথমেই বাজেয়াপ্ত করেন কেজরিওয়ালের মোবাইল। ফলে আপের অন্যান্য নেতারাও তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেননি। তারপরই তাঁর বাড়ির বাইরে জমায়েত হন আপের শীর্ষ নেতৃত্ব থেকে দিল্লি বিধানসভার স্পীকারও। প্রায় দুঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ ও তল্লাশির পর কেজরিওয়ালকে প্রথমে আটক ও পরে গ্রেফতার করে ইডি-র সদর দফতরে নিয়ে যাওয়া হয়।

তবে গ্রেফতারির সময়ও অরবিন্দ কেজরিওয়াল দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী পদত্যাগ করেননি। আপ নেত্রী অতসী জানান, অরবিন্দ কেজরিওয়ালই দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী থাকছেন। জেল থেকেও তিনিই শাসন পরিচালনা করবেন। সেই সঙ্গে সুপ্রিম কোর্টে ইডি-র পদক্ষেপের বিরুদ্ধে আবেদন জানায় আপ এবং দ্রুত শুনানির আবেদনও জানানো হয়। যদিও বৃহস্পতিবার রাত পর্যন্ত সেই মামলা গৃহিত হয়নি।

গ্রেফতারির পর আপ নেতৃ্ত্ব কেজরিওয়ালের বাড়ির বাইরে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। বেশ কিছু শীর্ষ নেতৃত্বকে গ্রেফতার করে দিল্লি পুলিশ। তাঁদের দাবি আরবিন্দ কেজরিওয়ালকে গ্রেফতার করা যায় না। কারণ কেজরিওয়াল একটি মতাদর্শ। পাশাপাশি বিজেপির ঘৃণ্য রাজনীতির বিরোধিতা করা হয় বিরোধীদের পক্ষ থেকে।

 

 

Previous articleCAA আতঙ্কে মৃত যুবক, পরিবারের পাশে তৃণমূল-সিপিএম দুই প্রার্থী
Next articleবিজেপির ‘তৈরি’ আতঙ্কে মৃত যুবক, পরিবারের পাশে তৃণমূল নেতৃত্ব