এক গ্রেফতারিই ভোটের আগে ঐক্যবদ্ধ করে দিল বিরোধী শিবিরকে।
লোকসভার ভোটপ্রক্রিয়া শুরু হয়ে যাওয়ার পর দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী তথা আপ সুপ্রিমো অরবিন্দ কেজরিওয়ালের গ্রেফতারির তীব্র নিন্দা করেছে সমস্ত বিজেপি বিরোধী দল। তৃণমূল কংগ্রেস, কংগ্রেস, সমাজবাদী পার্টি, আরজেডি, এনসিপি (শারদ পাওয়ার গোষ্ঠী), ডিএমকে, শিবসেনা (উদ্ধব গোষ্ঠী), সিপিএম-সহ দেশের বিরোধী দলগুলি একযোগে ভোটের মুখে এই নজিরবিহীন কাণ্ডের সমালোচনা করেছে। বিরোধীদের অভিযোগ, মোদি সরকারের নির্দেশে নির্বাচিত মুখ্যমন্ত্রীকে ভোটের আগে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে হেনস্থা করেছে বিজেপির শাখা সংগঠন ইডি। এর আগে ঝাড়খন্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেনকেও চক্রান্ত করে জেলে পাঠানো হয়েছে। ভয় দেখিয়ে বিরোধীদের মুখ বন্ধ করতে বিজেপির অস্ত্র এখন ইডি-সিবিআই। বিজেপির প্রতিহিংসার নীতি কার্যকর করতে গিয়ে এই সংস্থাগুলির বিশ্বাসযোগ্যতা ধ্বংস হয়েছে। অজিত পাওয়ার, অশোক চৌহান, হিমন্ত বিশ্বশর্মা, শুভেন্দু অধিকারীর মতো দুর্নীতিগ্রস্তরা বিজেপিতে যোগ দেওয়ায় তদন্ত থেকে ছাড় পেয়েছেন। এতেই প্রমাণিত, দুর্নীতি নিয়ে কথা বলার অধিকারই নেই মোদির দলের। আর এজেন্সিগুলির ভূমিকা এখন দলবদলের জন্য ভয় দেখিয়ে চাপ তৈরি করা। বিরোধী নেতাদের প্রতিক্রিয়া, এই প্রতিহিংসার রাজনীতি আগামী দিনে বুমেরাং হবে বিজেপির জন্য।

তৃণমূলের রাজ্যসভার দলনেতা ডেরেক ও’ব্রায়েন এক্স হ্যান্ডলে লিখেছেন, ভোটপ্রক্রিয়া শুরু হওয়ার পরেই এই ঘটনা! বিভিন্ন বিরোধী রাজনৈতিক দলের নেতা, মুখ্যমন্ত্রী, নির্বাচনী এজেন্ট, কর্মীদের হেনস্থা গ্রেফতার করা হচ্ছে। তাহলে আমাদের গণতন্ত্রের ভবিষ্যৎ কী? ডেরেক লিখেছেন, বেআইনি অধ্যাদেশ জারি করে কেজরির প্রশাসনিক ক্ষমতা কেড়ে নেওয়া হয়েছে। ভোটের আগেই যদি এভাবে মুখ্যমন্ত্রীদের গ্রেফতার করা হয়, কীভাবে নিরপেক্ষ ভোট সম্ভব? যদি সুপ্রিম কোর্ট এবং নির্বাচন কমিশন যদি এখন পদক্ষেপ না করে, বিজেপির এই প্রতিহিংসামূলক রাজনীতির বিরুদ্ধে কারা এগিয়ে আসবে?

We vehemently condemn the arrest of Arvind Kejriwal, an elected CM, especially when EC is in charge & MCC is in place. Earlier his administrative powers were snatched through an illegal ordinance. How can we expect fair elections in India if sitting CMs & prominent opposition…
— Derek O'Brien | ডেরেক ও'ব্রায়েন (@derekobrienmp) March 21, 2024