কড়া নজরদারি কেন্দ্র-কলকাতার গোয়েন্দাদের! মহানগরে কমেছে পাক-বধূদের ‘আত্মীয়’

সামনে লোকসভা নির্বাচন। তার উপর কলকাতাতেও (Kolkata) ISI জঙ্গি সংগঠনের সদস্য ধরা পড়ায় কড়া নজর কেন্দ্রের ও কলকাতার গোয়েন্দাদের। সূত্রের খবর, পাকিস্তান থেকে বিয়ে করে কলকাতায় আসা মহিলাদের আত্মীয়দের আনাগোনাও কমেছে। কারণ, পাকিস্তান থেকে বিয়ে করে আসা মহিলার আত্মীয় সাজিয়ে কোনও এজেন্টকে কলকাতায় পাঠাতে পারে ISI। তাই কোনও ঝুঁকি নিতে চান না গোয়েন্দারা। আইএসআইয়ের কার্যকলাপ রুখতে আত্মীয়দেরও অনুমতি দেওয়া হচ্ছে না।

বিবাহ সূত্রে কমপক্ষে ৬০ জন পাকিস্তানি (Pakistan) মহিলা রয়েছেন সারা কলকাতায়- খবর কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সূত্রে। নিয়ম অনুযায়ী, কলকাতার বাসিন্দাদের পাকিস্তানি স্ত্রীরা টানা ১৫ বছর থাকার পরে ভারতীয় নাগরিকত্বের জন‌্য আবেদন করতে পারেন। যদিও ইচ্ছামতো পাকিস্তানে বাপের বাড়িতে যাতায়াত তাঁদের পক্ষে সম্ভব নয় বলেই জানাচ্ছেন গোয়েন্দারা। সেই কারণে ওই বধূদের বাপের বাড়ির লোকজন পাকিস্তান থেকে কলকাতা এসে মেয়ের সঙ্গে দেখা করেন। তবে, পাকিস্তান নিয়ে কেন্দ্রের কড়া মনোভাবের কারণে এখন অনেক কমে গিয়েছে এই আনাগোনা।

কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সূত্রে খবর, এই মহিলাদের আত্মীয় পরিচয় দিয়ে আগে বছরে ১০০ থেকে ১৫০ জন পাক নাগরিক কলকাতায় আসতেন। কিন্তু কোভিডের আগে থেকেই কেন্দ্রীয় সরকার পাক নাগরিকদের ভিসা দেওয়ার ক্ষেত্রে রাশ টানে। ফলে ২০১৯ সাল পর্যন্ত এই সংখ‌্যা ৫০-এর আশপাশে নেমে আসে। ২০২০ সালে করোনা পরিস্থিতির জেরে দুবছর কোনও পাক (Pakistan) নাগরিককে কলকাতায় আসার অনুমতি দেওয়া হয়নি। এখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়েছে। ক্রিকেট বিশ্বকাপের আগে গোয়েন্দাদের ধারণা ছিল, কয়েকজন পাক নাগরিক খেলা দেখতে কলকাতায় আসতে পারেন। কিন্তু খেলা চলাকালীন একজন পাক নাগরিকও দর্শক হিসাবে কলকাতায় আসেননি বলে সূত্রের খবর।

গোয়েন্দাদের সূত্র খবর, এই কড়া মনোভাবের মূল কারণ পাক চর সংস্থা আইএসআইয়ের কার্যকলাপ। এর আগেও কলকাতা থেকে গ্রেফতার হয়েছে একাধিক আইএসআইয়ের এজেন্ট। কলকাতার পাক বধূদের পাক নাগরিক আত্মীয়দের নিয়ে কোনও ঝুঁকি নিতে চান না কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা।




Previous articleহৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু ইনস্পেক্টরের, তপসিয়া থানায় চাঞ্চল্য
Next articleদক্ষিণ দিনাজপুরের বাসুরিয়াতে বিস্ফোরণে আহত তিন শিশু