বারাসতের পদ্মপ্রার্থী মাদক পাচারকারী! স্বপন-ইস্যুতে বিজেপিকে তুলোধনা তৃণমূলের

বাংলায় লোকসভা ভোটে প্রার্থী দিতে হিমশিম খেয়েছে বিজেপি। দু দফায় যখন ৩৮ আসনে প্রার্থী দিতে পেরেছে গেরুয়া শিবির, তখন সেই প্রার্থী তালিকা নিয়েও উঠছে নানা প্রশ্ন। এবার বারাসত থেকে পদ্মপ্রার্থী হয়েছেন স্বপন মজুমদার (Swapan Majumder)। ইনি ২০১৭ সালে ভিনদেশ থেকে ভারতে মাদক পাচারে দোষী সাব্যস্ত হয়ে দশ বছরের শাস্তি পেয়েছিলেন। তাঁকে প্রার্থী করায় তীব্র আক্রমণ করেছে তৃণমূল (TMC)। নিজেদের এক্স হ্যান্ডেলে (X Handle) এই ইস্যুতে বিজেপিকে তীব্র আক্রমণ করেন তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh) ও কাউন্সিলর অরূপ চক্রবর্তী (Arup Chakraborty)।

মায়ানমার থেকে মাদক নিয়ে এসে অসম, নাগাল্যান্ড মনিপুর-সহ সারাদেশে কারবার করতেন স্বপন মজুমদার। এই অভিযোগে ২০১৭ সালের মার্চে তাঁকে গ্রেফতার করে অসম পুলিশ। গুয়াহাটি-কামরূপ জিআরপি এই মামলাটি করে। 21/C ধারায় স্বপনের বিরুদ্ধে এফআইআর করা হয়। মামলা নম্বর 109/2017। গুয়াহাটি দায়রা আদালতে বিচারে দোষী সাব্যস্ত হন স্বপন মজুমদার। তাঁকে ১০ বছরের কারাদণ্ড নির্দেশ দেয় আদালত। যখন তাঁকে শাস্তি দেওয়া হয় সেই সময়ের বাংলা দৈনিকে সেই খবর প্রকাশিত হয়েছিল। সেখানে স্পষ্ট লেখা আছে স্বপন মজুমদার বিজেপি (BJP) নেতা। ২০২১- এ বনগাঁ বিধানসভা কেন্দ্রে এই স্বপন মজুমদারকেই প্রার্থী করেছিল গেরুয়া শিবির। সেই সময় মনোনয়নপত্রে হলফনামায় নিজের শাস্তির কথা উল্লেখও করেন স্বপন মজুমদার।

এভাবে কি বিজেপি মাদক পাচারকে বৈধ করতে চাইছে? প্রশ্ন তুলে তীব্র আক্রমণ করেছে তৃণমূল। রাজনৈতিক দৈন্যদশায় প্রার্থী খুঁজে পাচ্ছে না গেরুয়া শিবির। তা বলে একজন ড্রাগ মাফিয়াকে প্রার্থী করে কী বার্তা দিতে চাইছে তারা! বিজেপিকে তীব্র আক্রমণ করে কুণাল ঘোষ এক্স হ্যান্ডেলে লেখেন,
“ইনিই কি বিজেপির এবারের বারাসতের প্রার্থী? যদি হন, তাহলে তিনি মাদককান্ডে ঘোষিত অপরাধী। বিজেপি ব্যাখ্যা দিক।
Is this man now BJP’s candidate from Barasat? If ys, then they have chosen a convicted drug mafia. BJP should give the clarification.
প্রার্থী খুঁজে না পেয়ে শেষে মাদক ব্যবসায়ী?”
লেখার সঙ্গে সেই সময়কার খবরের কাগজের কাটিং এবং বিধানসভায় প্রার্থী হিসেবে দেওয়া স্বপন মজুমদারের হলফনামার প্রতিলিপিও পোস্ট করেন কুণাল।

তৃণমূল কাউন্সিলর অরূপ চক্রবর্তী নিজের এক্স হ্যান্ডেলে লেখেন,
“ভাল করে দেখুন তো, এই হেরোইন পাচারকারী বিজেপি নেতাই কি বারাসাত লোকসভা কেন্দ্রের প্রার্থী স্বপন মজুমদার? এতো রীতিমতো ইন্টারন্যাশনাল ড্রাগ ডিলার তা হলে! আসাম পুলিশ মাদক পাচারের অভিযোগে একে গ্রেফতার করেছিল”।

প্রার্থী না পেয়ে শেষে আন্তর্জাতিক মাদক পাচারকারীকে প্রার্থী করছে বিজেপি! এই ইস্যুকে সামনে রেখেই তুমুল আক্রমণ শাণিয়েছে ঘাসফুল শিবির। এক্ষেত্রে বিজেপি (BJP) কোনওভাবেই রাজ্য পুলিশ- প্রশাসনের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের অভিযোগ করতে পারবে না। কারণ স্বপন মজুমদারের গ্রেফতার এবং তাঁর সাজা সবটাই হয়েছে অসমে, বাংলার পুলিশ প্রশাসন জড়িত নয়। এবার ড্রাগ মাফিয়ার হয়ে বঙ্গ বিজেপি নেতৃত্ব কী সাফাই দেয় সেটাই দেখার।




Previous articleরংয়ের উৎসবে ম.র্মান্তিক দু.র্ঘটনা! মা ফ্লাইওভারে মৃ.ত্যু বাইক আরোহীর
Next articleপ্রশিক্ষণই বাঁচালো প্রাণ! খলিলভ-ই এখন মস্কোর ‘হিরো’