হঠাৎ তড়িৎ তোপদারের বাড়িতে দলবদলু অর্জুন সিং, জল্পনা তুঙ্গে

সোমবার সন্ধ্যেতে তিনি যান নোনাচন্দন পুকুরের বর্ষীয়ান নেতার বাসভবনে

ব্যারাকপুরের রাজনীতিতে বর্ষীয়ান রাজনীতিক তড়িৎ তোপদারের সঙ্গে অর্জুন সিংয়ের মধুর সম্পর্কের কথা সর্বজনবিদিত। ২০১৯ সালে লোকসভা নির্বাচনে বিজেপির প্রার্থী হয়েই তড়িৎ তোপদারের বাড়িতে এসে তাঁর আশীর্বাদ নিয়ে গিয়েছিলেন অর্জুন। বিজেপি ছেড়ে তৃণমূল ঘুরে ফের বিজেপিতে ফেরা সেই অর্জুন সিং এবারও সেই ট্রাডিশন বজায় রাখলেন। সোমবার সন্ধ্যেতে তিনি যান নোনাচন্দন পুকুরের বর্ষীয়ান নেতার বাসভবনে।

ভোটযুদ্ধে আবারও জয়যুক্ত হওয়ার আশীর্বাদ প্রার্থনা করলেন। বললেন, ওঁর আশীর্বাদ ছাড়া বারাকপুরে কিছুই হয় না। আশীর্বাদ আমি আগেও নিতে এসেছিলাম। এবারও এলাম।
আসলে তড়িৎবরণ তোপদার মানেই বারাকপুরের দাপুটে রাজনৈতিক চরিত্র। রাজ্যে ক্ষমতার পালাবদলে সিপিএম শূন্য হলেও এই অঞ্চলে এখনও য টিকে আছে তার নাম। বয়সের ভারে রাজনীতিতে সক্রিয়তা কমেছে তড়িৎবাবুর। একমাত্র এলাকার বড় মিটিংয়ে ভাষণ দেওয়া এবং দলকে গাইড করা ছাড়া সেভাবে দেখা যায় না। কিন্তু তাঁর বাড়িতে দিনভর বিভিন্ন দলের নেতাদের আনাগোনা লেগেই থাকে। প্রবীণ রাজনীতিকের পরামর্শ চাইতে আসেন অনেকে।

এদিকে ব্যারাকপুরের প্রাক্তন সিপিএম সাংসদ তড়িৎবরণ তোপদারের বাড়িতে আচমকা হাজির লোকসভার তৃণমূলের প্রার্থী পার্থ ভৌমিকও। সঙ্গে ছিলেন ব্যারাকপুরের বিধায়ক রাজ চক্রবর্তী ও পুরপ্রধান উত্তম দাসও।
এই প্রসঙ্গে, পার্থ ভৌমিক বলেন, তড়িৎবাবু একজন প্রবীণ নেতা। ৮৪ বছর বয়স। নিজেদের মধ্যে আলাপচারিতায় ব্যারাকপুরের পুরপ্রধান উত্তম দাসের থেকে জানতে পারি ওঁর শরীরটা একটু খারাপ হয়েছে। হাঁটাচলায় একটু সমস্যা হচ্ছে। তাই বিধায়ক এবং পুরপ্রধানকে নিয়ে দেখতে গিয়েছিলাম। রাজনীতি নিয়ে কোনও আলোচনা হয়নি। যা হয়েছে সবটাই ব্যক্তিগত এবং পুরোনো দিনের গল্প। পায়ে হাত দিয়ে নমস্কার করে ওঁর আশীর্বাদ চাইলাম।

 

Previous articleপাঞ্জাবের বিরুদ্ধে ম্যাচ জিতে অভিমানী বিরাট, দিলেন সমালোচনার জবাব
Next articleএকনজরে আজকের পেট্রোল-ডিজেলের দাম