মোদি পরিবারের রেখা পাত্র মমতার স্বাস্থ্যসাথী কার্ডের উপভোক্তা! তথ্য তুলে কটাক্ষ তৃণমূলের

দুয়ারে সরকারের মাধ্যমে রাজ্যের বিভিন্ন প্রকল্প আজ মানুষের ঘরে ঘরে পৌঁছে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী

বাংলার মুখ্যমন্ত্রী তথা দেশের একমাত্র মহিলা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মস্তিষ্কপ্রসূত একের পর এক জনমুখী প্রকল্প আজ শুধু দেশ নয়, বিদেশের মাটিতেও সমাদৃত। বিশেষ করে নারী ক্ষমতায়ন ও মহিলাদের স্বনির্ভর করে তুলতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের একের পর এক প্রকল্প কেন্দ্রের বিচারে দেশের সেরা। মিলেছে বিদেশি স্বীকৃতিও। কন্যাশ্রী থেকে রূপশ্রী, লক্ষীর ভাণ্ডার থেকে স্বাস্থ্য সাথী, সবক্ষেত্রেই মহিলাদের সম্মান দিয়েছেন মমতা।

দুয়ারে সরকারের মাধ্যমে রাজ্যের বিভিন্ন প্রকল্প আজ মানুষের ঘরে ঘরে পৌঁছে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। দল-রং-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকারের জনমোহিনী প্রকল্পের সুবিধা পাচ্ছেন বাংলার প্রতিটি মানুষ। তৃণমূল পরিবারের মানুষ জন যেমন সেই সুবিধা পান, একইভাবে দিলীপ ঘোষের পরিবারও প্রকল্পের উপভোক্তা।

এই যেমন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্বাস্থ্য সাথী প্রকল্পের সুবিধা নিয়েছেন সন্দেশখালির “প্রতিবাদী” মুখ রেখা পাত্র! মোদি পরিবারের সদস্য রেখা আবার লোকসভা ভোট বসিরহাট কেন্দ্রে বিজেপি প্রার্থী। আবার সেই রেখা-ই সন্দেশখালি কাণ্ডে রাজনৈতিক লাভের গুড় খাওয়ার জন্য স্থানীয় মানুষকে বোকা বানিয়েছেন। আন্দোলনের নামে বিজেপির টিকিট পাওয়াই যে তাঁর মূল এজেন্ডা সেটা আজ প্রমাণিত।

তবে এবার হাতেনাতে ধরা পড়লেন মোদি পরিবারের রেখা পাত্র! বসিরহাটের বিজেপি প্রার্থী চুপিচুপি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্বাস্থ্য সাথীর সুবিধা ভোগ করে ভণ্ডামির চূড়ান্ত খেলা খেললেন।

এদিন বিষয়টি প্রকাশ্যে এনে রেখার মুখোশ খুললেন তৃণমূলের আইটি সেলের প্রধান তথা তমলুকের প্রার্থী দেবাংশু ভট্টাচার্য। এক্স হ্যান্ডেলে রেখা পাত্রের স্বাস্থ্য সাথী কার্ডের বিস্তারিত পোস্ট করে দেবাংশু লেখেন, “বিজেপি প্রার্থী রেখা পাত্রও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়নের স্বাদ পেয়েছেন…! রইল তার স্বাস্থ্যসাথী কার্ডের ডিটেলস।”

অন্যদিকে, এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পরই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে কটাক্ষ করে তৃণমূল এক্স হ্যান্ডেলে লিখছে,
“পরেরবার যখন আপনি তাঁকে (রেখা পাত্রকে) ফোন করবেন, তখন তাঁর স্বাস্থ্য সাথী কার্ড সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করতে ভুলবেন না। তাহলে আপনার বুঝতে সুবিধা হবে, যে কীভাবে আমাদের নেত্রীর মস্তিষ্কপ্রসূত স্বাস্থ্য সাথী, আপনার ব্যর্থ আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্পকে ছাপিয়ে গেছে।”