জঙ্গল উড়িয়ে কীভাবে আদানির হাতে কয়লাব্লক? নেই পরিবেশ দফতরের অনুমোদন

কেন্দ্রের আমলাদের সংগঠনের তরফে থেকে সিএমপিডিআই-এর কাছে ফের দরবার করা হয় এই কয়লা ব্লক থেকে কয়লা উত্তোলনে অনুমতি দেওয়ার জন্য। ২০২৩ সালের অক্টোবরে এই সংস্থা নিজেদের রিভিউতে ফের সেই নিষেধাজ্ঞাই জারি রাখে

দেশের অন্যতম গভীর জঙ্গল এবার কেটে সাফ হয়ে যাবে আদানির (Adani) কয়লা খনি তৈরি জন্য। কেন্দ্রের পরিবেশ দফতরের নিয়মকেই বুড়ো আঙুল দেখিয়ে নির্বাচনের আগে এভাবেই মধ্যপ্রদেশের নিষিদ্ধ এলাকার কয়লা ব্লক (coal block) আদানিদের হাতে তুলে দিল কেন্দ্র সরকার। এমনকি এর পিছনে কেন্দ্রের আমলাদের সংগঠনেরও বিরাট হাত রয়েছে বলে উঠে আসছে। রাজনীতিকদের মতে ইলেক্টোরাল বন্ডে (electoral bond) বিজেপিকে ঢালাও অর্থ সাহায্য দেওয়া আদানিকে লোকসভা নির্বাচনের আগে বিজেপির উপহার।

মধ্যপ্রদেশের গভীর অরণ্য এলাকার মারা-২ মাহান (Mara II Mahan) কয়লা ব্লক নির্বাচন ঘোষণার কয়েকদিন আগে আদানি গোষ্ঠীর মাহান ইনারজেন লিমিটেডের (Mahan Energen Limited) হাতে তুলে দিয়েছে কেন্দ্র সরকার। অথচ কেন্দ্রের কয়লা ব্লক নিয়ে উপদেষ্টা সংগঠন সেন্ট্রাল মাইন প্ল্যানিং অ্যান্ড ডিজাইন ইনস্টিটিউট (CMPDI) দেশের ১৫ কয়লা ব্লক এলাকায় কয়লা উত্তোলনে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল। পরিবেশ দফতরের নিষেধাজ্ঞার জেরেই কেন্দ্রের কয়লা ব্লক উপদেষ্টা সংস্থা মধ্যপ্রদেশের সিঙ্গরৌলি (Singrauli) এলাকার এই কয়লা ব্লক সহ ১৫টি ব্লক থেকে কয়লা উত্তোলনে নিষেধাজ্ঞা জারি করে। কিন্তু আদানি গোষ্ঠীর মোহে অন্ধ বিজেপি এই সিদ্ধান্ত রিভিউ করার চেষ্টা করে।

কেন্দ্রের আমলাদের সংগঠনের তরফে থেকে সিএমপিডিআই (CMPDI)-এর কাছে ফের দরবার করা হয় এই কয়লা ব্লক থেকে কয়লা উত্তোলনে অনুমতি দেওয়ার জন্য। ২০২৩ সালের অক্টোবরে এই সংস্থা নিজেদের রিভিউতে ফের সেই নিষেধাজ্ঞাই জারি রাখে। এরপরই প্রশ্ন ওঠে পরিবেশ দফতর ও কেন্দ্রীয় পর্যালোচনা সংস্থার নিষেধাজ্ঞা টপকে কীভাবে কয়লা ব্লকের মালিকানা পেল আদানি গোষ্ঠী? পরিবেশ বা পরিবেশের উপর নির্ভরশীল সাধারণ মানুষের কথা যে কেন্দ্রের মোদি সরকার কোনওদিন ভাবে না তা লাদাখে (Ladakh) পরিবেশ রক্ষায় প্রায় একমাস ধরে অনশন আন্দোলনের ঘটনাতেই স্পষ্ট। কিন্তু কেন্দ্রের নিজের দফতর, মধ্যপ্রদেশের জঙ্গলমহালের স্থানীয় বাসিন্দাদের অধিকার নস্যাৎ করে এবার আদানির ঝুলিতে দেশের প্রাকৃতিক সম্পদ তুলে দিতেও দ্বিধা করছে না দেশের মানুষের করের টাকা নিয়ে ছিনিমিনি খেলা মোদি সরকার।

Previous articleবামেদের স্টার ক্যাম্পেইনারের মধ্যে মীনাক্ষীর চাহিদাই সবচেয়ে বেশি
Next articleড্রাগ মাফিয়ার হয়ে প্রচার করব না, বারাসতের প্রার্থীর বিরুদ্ধে বিজেপিতে বিদ্রোহ; কমিশনে দলীয় কর্মীরাই!